খুব কাছে গেলে যে মুখটা অচেনা হয়ে যায়
সবাই তাকে গোল্লাছুট ভাবুক
সে তো কেনা হয়ে আছে কবেই
সে যখন ভাবে ভ্রমন
তুমি ভেবে নিও রেডিও
যা ইথার ছাড়িয়ে ছড়িয়ে যেতে পারে অনেকদূর।
সে যখন দেখতে আকাশের মতো
সে যখন ভেজা গাছ, বৃষ্টিময় রোদ
তোমার দৃষ্টি পথে সে যখন পোড় খাওয়া
গাছগুলো ভিজে শেষ।
এমনদিনে সেও যেন একলা থাকে কোনোদিন
এই আকাশের সারিমেঘ
শীত শীত ব্যাকুল বাতাস আর
ভেজা মন নিয়ে
সেও যেন কাঁদে আরো কয়েকবার
যে হারায় সে হারায়
যে জানে সত্যিকারের ভাসান দিতে
সে ডাকেনা কাউকে আর
ফিরে ফিরে আসে হাহাকার
বুক ভরা অভিমান
দিকছাড়া ক্ষ্যাপাটে শোক
যাকে শোক দিয়েছে সে তারই মতন
সেও অবিশ্বাসী
কত কথা চলে গেছে কার অতলে
বদলে গেছে সেইদিন, এইদিন
আমাদের দিন আর রাত।
জ্বরের কিনারে শর্তহীন তার প্রলাপ
এগিয়ে দিয়েছে বুকভরা ঘুম লিস্ট
নজরের উল্কিকাটা চোখ আর
মজার সব নক্সায়
খুলে গেছে বুঝি কল্যাণের স্বরলিপি।
যে চেয়েছিল গোপনে বাঁচতে
মৃত্যু তাকে পুড়িয়ে গেছে শতবার
মিথ্যে তার গ্রীবা সহসা ডুবে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮ বার দেখা
| ৭২ শব্দ ১টি ছবি
রাতগুলো কান্নার মতন এমন জরুরী নয়
এখানকার রঙ ওখানে ছড়িয়ে
কতই আর চিহ্নহীন হবে সাগর!
লোনা ঢেউছন্দ উঠে আসবে আরো কাছে
না চাইলেও ভাবতে হবে
ছিল না কেউ এখানে।
করুণ আর্তি যেটুকু দাঁড়ানো চোখের দরজায়
তাকে দেখা হয়নি এতকাল
যদিও দূরত্ব এক চোখ থেকে অন্য হাসি পর্যন্ত।
মিলিয়ে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪০ বার দেখা
| ৫৪ শব্দ ১টি ছবি
যে কোনো দিন তুমি বোন আমার, শুনবে
মৃত্যু কেমন করে উজ্জীবিত করেছিল আমাকে
সাদা ফকিরের খাঁচা বিষয়ক গানটির মত
আমি মুছে দিয়েছিলাম প্রিয় ভাইটির কপাল
সিঁথি আর সিঁদুর লেপন
নির্বিরোধী আমি তাই খাঁচাটা ভাঙ্গতে চেয়েছি
বরাবর নিজের শরীর থেকে।
অপরাধ নিও না বোন আমার
কান্না মানে আমি কখনো চোখ বুঝিনি
তোমার বুকের ঠিক
বন্দী বিনিময় শুরু হয়ে গেছে। একজন আসবে, একজন যাবে।
দূরে বিস্তীর্ণ ভূমি, কি দারুণ বিস্তৃত। রোদ থেকে ঝলসে উঠছে কাকলী, প্রাণের কাকলী। বাতাসে শিস দিচ্ছে দুলে ওঠা কচি ধানের সবুজ। নরম ভাপ ওঠা রোদ। লোকটা বারান্দায় বসে এসব দেখে আর ভাবে, ভাবে আর দেখে।
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮২ বার দেখা
| ২০৩৭ শব্দ
আমাদের ভ্রমণ শুরু হবার আগেই
তুমি, তুমি যেন পিছলে গেলে
সন্ধ্যা লাগি লাগি সময়ে
তোমার গালের ট্রান্সপারেন্ট আঁচিল
যাকে একফোঁটা পানি মনে করে
আমি চুমু খেতে চেয়েছি অনেকবার
তোমার ঢেউ ঢেউ ঠোঁট
আমাকে কম্পমান খরগোশের
নরম শরীরকে মনে করিয়ে দিয়েছে প্রতিবার
অথচ তুমি পিছলে গেলে
তোমার পতন দেখা হলো না
দেখা হলো না কত দ্রুত
সেই লম্বা ছায়া ততক্ষণে বুক সমান
পাশের ঘরটা ফিসফিস করে উঠল
কিছু আলো কিছু ছায়া
ত্রিরৈখিক
এক যুবক মধ্যমার যুবতীকে দেখে
চোখ ওঠে, চোখ নামে
নারীকণ্ঠ মৃদু লয়ে ঝরে,
‘জানো আমার ভীষণ জ্বর
প্রেমে তাপে পুড়ছিলাম অনর্গল
এখন শরীর বইছে না।’
ছেলেটা নিজের মমতা দুইহাতে মেখে নেয়
কিছুটা ছুঁড়ে দেয় প্রেয়সীর
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮০ বার দেখা
| ১৩৬ শব্দ ১টি ছবি
শব্দের পর শব্দ পেরিয়ে
যে গাছটির কাছে এসে দাঁড়িয়েছো
তার পাতাগুলো ঝরে গেছে আগেই
তুমি স্রোত খোঁজো
অথচ তোমার নদী লুকিয়েছে পাথরের খাঁজে
মানুষ অতীতে বাঁচেনা
তবু কত নির্ভয়ে অতীত বসে থাকে
ঘিরে থাকে চারপাশ
ঘাসের উপর বসে থাকা ফড়িং
তুমি দেখলেই না
ওই উঁচু প্রজাপতি সুখ দিয়ে যাক
তন্দ্রা নামুক চোখে
এর বেশী তুমি নিজেই