কসাইয়ের দোকানটা মাছ বাজারের সাথেই। দুটি গোশতের দোকান পাশাপাশি। একই মালিকের। গরুর দুইটা রান ঝুলছে। এর বিপরীত দিকে রাস্তার ওপারে, এক বুড়ো কুকুর দুপায়ের উপর মাথা রেখে চুপচাপ হামাগুড়ি দিয়ে আছে। তবে দৃষ্টি গোশতের দিকে নিবদ্ধ। ওর হাত পাঁচেক তফাতে,
একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর করে বাবা-মার সাথে ছিলাম। দেশের অন্যতম এক সমৃদ্ধ বিভাগীয় শহরে। পরিপূর্ণ জীবন আমলা বাবার নিয়ন্ত্রণে বেশ আনন্দময়। ইচ্ছেঘুড়ির নাটাই বাবার হাতে থাকলেও যথেচ্ছা উড়াবার স্বাধীনতা ছিল আমার। উড়াচ্ছিলাম। বাউরি বাতাসে
ডান চিবুকের নিচে একটি কালো তিল। ভালবাসার একজন মানুষ। আর ক্লান্ত কুহকী প্রহর- এই তিনের মিশেলে এক চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে মিলি। সামনে আঁধার। পর্দার ওপারে দৃশ্যমান আলো কেবল অনুভবে জ্বলে উঠে।
বারান্দায় শাহেদ। বিছানা থেকে ওর আর
এক শ্রাবণ মেঘের প্রচণ্ড ঘনঘটার দিন। প্রথম দেখেছিলেম তাঁরে। প্রথম দেখায়-ই সে হয়ে গেলো আমার হৃদয়ের আরাধ্য কাছের মানুষটি! এরপর আরো একটি ঘোর ঘন বরষায় ভিজে ভিজে একমাত্র কাছের মানুষে পরিণত করলাম তাঁকে!
কেউ কি জানো,
প্রতিদিনের মতো অফিস ফেরত একজন বাবার ভূমিকায় শিহাব। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘর থেকে ঘুরে এসে নিজের বেডরুমে। কণা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নি:শ্বাস পতনের শব্দ এবং কিছু অঙ্গের উত্থানপতনে বুঝা যায় সে গভীর
‘বেজে উঠল কি সময়ের ঘড়ি?
এসো তবে আজ বিদ্রোহ করি,
আমরা সবাই যে যার প্রহরী
উঠুক ডাক।’*
চারিদিকে অবক্ষয় নৈতিকতার চরম পদস্খলন! পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র কে ঘিরে রয়েছে অমানিশার কালোমেঘ। রক্ষক ভক্ষকের রূপে দূর্নীতি আর দুঃশাসনে জনজীবন অতিষ্ট। দুই প্রধান
একটা গল্প শুনবেন? আপনাদের কাছে গল্প মনে হলেও, এ একজন অতৃপ্ত নারীর গল্প। ‘অতৃপ্ত’ শব্দটি শুনে আবার ভুল বুঝলেন? না, ভুল বুঝবার অবকাশ নেই। শরীরের অতৃপ্তির সাথে সাথে আমার মনোদৈহিক অতৃপ্তি ও জড়ানো রয়েছে এখানে।
আমি কে?
নিউমার্কেটের চারটি প্রবেশদ্বার। পূর্বপাশের পার্কিং এরিয়ায়, বসা অবস্থায়ই বাইক স্ট্যান্ড করায় শিহাব। চাবি খুলে নিয়ে ঘাড় লক করে। নামে না, আকাশের দিকে তাকায় একপলক। ঘুমোট হয়ে আছে। ঘোমটার আড়ালে মেঘবালিকাদের ভ্রু কুঁচকে আছে, স্পষ্ট অনুভব করে
জীবনের এক বিষম সময়ে পারুর সাথে আমার পরিচয়। বেঁচে থাকার কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। জীবন এক দুর্বিসহ দূর্ণিবার রুপে আমার সামনে উপস্থিত। শব্দে সেই রুপ আমি ব্যাখ্যা করতে অক্ষম। এমনই সময় ছিলো তখন।
টুকটাক লেখালেখির অভ্যাস
বিমান বন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেন খুলনা অভিমুখী। ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। সময়ের বুক থেকে বের হওয়া আরো অনেক কু-ঝিকঝিকের সাথে ট্রেনের গুলোও মিলায় বাতাসে শব্দ তরংগ।
যুবক ওরা চারজন। এক টেবিল মাঝে রেখে সামনাসামনি। টুয়েন্টি নাইন খেলছে।
বাবা কিছুক্ষণ লড়াইটার মাঝখানে বসে রইলেন। এক সময় চাপা গলায় বললেন,
– অসম্ভব!
কর্তা পুরুষ নিজের অজান্তে ঘোষনা দিয়ে ফেললেন। বিদ্রোহ সইবেন না।
কেউ জিজ্ঞেস করল না কি অসম্ভব। সবাই বুঝতে পারছিল, একসাথে থাকা অসম্ভব। মা আসলেই রুপার জেদ
অবশেষে ৪০০তম অণুগল্পটিও লেখা হলো। আরো ৬০০ অণুগল্প লেখা বাকী এখনো
_________________________________________
চলার নামই জীবন। জীবন সুখ-দু:খের মহাসম্মেলন। প্রত্যেকেরই যার যার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এ ব্যাপারে। প্রাপ্তির নিরিখে এই দেখার ভিন্নতা এবং বিচিত্রতা।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে শায়লা নিজেকে