তপ্ত রোদে মরুর বুকে
যেমন –বটের মায়া
মাথার উপর বাবা শুধু
হয়ে থাকেন ছাঁয়া।
এই ছায়াতে সুখে দুঃখে
যাদের জীবন যাপন
তারা জানে এই জগতে
বাবার’চে কে আপন!
হাতটি ধরে বাবা যখন
হাঁটতে নিয়ে শেখান
দূর আকাশে তারার মতো
দূরের পথটি দেখান।
হোঁচট খেয়ে পড়লে কখন
ভীষণ পেতাম ভয়
বাবা
ছোট থেকে বড় হই
এই পরিবেশে বাস
বারো মাসে রোজা রাখি
হাতেগুনে এক মাস।
একে মিলে সত্তর
নেকি হয় বোনাসে
ইবাদতে, মুত্তাকী
ক্ষমা পাবে গুনা সে।
তিনি ‘রব’ জানি তার
মহিমা অপার
রমাজান নিয়ে আসে
বিশেষ এক ছাড়।
রোজা রাখি আল্লাহকে
রাজি খুশি করিতে
রহমতে নিয়ামতে
খালি ঝুড়ি ভরিতে।
লাওহে মাহফুজ
ইয়া আল্লাহ! ইয়া রাব্বুল আলামিন!
অফুরন্ত অসীম তোমার গুণ
ইচ্ছে হলেই সৃষ্টি করো তুমি
শুধু বলো ‘কুন-ফায়াকুন’।
তুমি শুধু বলো, ‘হও’ আর তা সব
নিমিষেই হয়ে যায়
দেখা-অদেখা বিরাজ অসীম
তসবিহ পড়ে সেজদায়।
কেউনা পারে দেখতে তোমায়
না পারে কেউ ছুঁতে
ক্লান্তি তোমায় ধরতে পারেনা
নিদ্রায় যাওনা শুতে।
এতো
তুমিতো সেই ক্ষণজন্মা
জন্মেছিলে এই বঙ্গে
জন্মঋণ শোধ করিতে
স্বাধীনতা এনেছ সঙ্গে।
তুমিতো সেই জনসমুদ্রের
উত্তাল গর্জিত তরঙ্গ
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের
অবিচ্ছেদ্য হৃদয় অঙ্গ।
মহাউচ্চারিত তুমিইতো সেই
একটি মাত্র নাম
যেই নামের পাশে একটি দেশের
দ্বিগুন হয়ে যায় দাম।
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২১ বার দেখা
| ৩২ শব্দ ১টি ছবি
স্বাধীনতার যুদ্ধ হলো ছাব্বিশে মার্চ শুরু
সাতকোটি প্রাণ ভয়াতংকে তখন ধুরুধুরু
লক্ষলক্ষ মা-বোনেদের সম্ভ্রম-শান-মান
দেশের জন্য বিলিয়ে দেওয়া তিরিশ লক্ষপ্রাণ!
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে খতম পাকবাহিনীর’কেচ্ছা
ডিসেম্বরের ষোল তারিখ, ‘বিজয়ের শুভেচ্ছা’।
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১২ বার দেখা
| ২৫ শব্দ ১টি ছবি
হঠাৎ করে পা’ মচকে
চিৎপটাং রাস্তায়
আশেপাশে কেউ ছিলোনা
তুলে ধরবে– আস্থায়!
অগত্যা ঘর ফিরতে হলো
কাজের কাজ ভুলে
ঘরে পৌঁছে বুঝতে পারি
পা’টাও গেছে ফুলে।
খানিকটাপর শীতে শরীর
কাঁপলো থরথর
থার্মোমিটার জানান দিলো
গায়ে ভীষণ জ্বর।
এখন আমি সজ্জাসায়ী
বন্ধুরা সব কাজে
মোবাইল ফোনে টিপেটিপে
লিখছি
কেউ কখনো জিজ্ঞাসিলে
বলব আপন মতে
মায়ের মত কেউ ছিলনা
কেউ পারেনা হতে!
মায়ের মত আপন হয়ে
কেউ আসেনি ধরায়
আমার সুখে হাসি ফোটে
দুঃখে অশ্রু ঝরায়!
অস্থিরতায় মা জননীর
গুটি কয়েক বানী
এক নিমিষে দূর’যে হত
বিষাদ যত গ্লানি!
আমার মায়ের মত করে
কে করে আর আদর
নিখাঁদ ভালোবাসায় বুনা
আস্ত একটা চাদর।
মা’র কোলেতে বসলে পেতাম
এক।।
ঘরে মিল্ক কফি নাই
নাই সুগার, নাই টি
মন চায় গিন্নির
ছিড়ে খাই নাইটি।
দুই।।
পাওনা টাকা খোঁজতে গেলে
দেবো দেবো বলেন মাসি
মাসির আশায় পথ চেয়ে
আমারতো ভাই গেলো মাস-ই।
তিন।।
বাবা মায়ে যত্ন করে
নাম রাখিলা আশীষ
একবার কেউ আদর
বড় ছেলে হাবা-গুবা
মায়ের মত কালো-শোভা।
তার পরেরটা ল্যাংড়া
সভাবে জাত চ্যাংরা
একটা যে রাত কানা
কারো নাই তা জানা !
যেই ছেলের নাম গাজী
আস্ত একটা পাজি।
ছোট ছেলে লাল্টুস
বাপের মতই পাল্টুস।
ঐযে গাছে ঝুলে আছে
এত্তো এত্তো কাঁঠালও
খাইতে ভীষণ মজা হলেও
খুলতে বড্ড আঠালো!
লটকে থাকা কাঁঠাল গুলো
একটাও যে আমার নয়
অন্যের কাঁঠাল দেখেদেখে
এই মনে আর কত সয়।
শর্সে তেলে হাত মেখে রই
তাতে মোটেই ক্লান্তনা।
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
দেখেই মনের শান্তনা।
যাদের আছে কাঁঠাল
দেশে যাবার ইচ্ছে হলো, দেশে গেছি
হাওয়াই জাহাজ চড়ে হাওয়ায়, ভেসে গেছি
গাল-গল্পে, মেতে-মেতে, হেসে গেছি
পাশাপাশি বা দূরত্বে
কোথাও আবার ঘেসে গেছি!
দেশে এসে বুঝতে পারি, ফেঁসে গেছি
এসব কারণ বলতে মানা, কেশে গেছি
যেখানে যাই সেইখানে সেই বেশে গেছি
সবার আগে গিয়ে দেখি
আমিই
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭৪ বার দেখা
| ৪৩ শব্দ ১টি ছবি