ইদানীং ছড়া ও ছোটদের কবিতা লেখার জোয়ার নেমেছে।
পত্রিকা সম্পাদনা করতে গিয়ে দেখেছি – লেখা আহবান করলে শ’য়ে শ’য়ে লেখা এসে জমা হতে থাকে। অবশ্য তার অধিকাংশ লেখাই পাঠযোগ্য হয় না।
ছন্দ না জেনে বা ব্যাকরণের অংক মেনে আঙুলের কর গুনেগুনে অক্ষর বসিয়ে আর যেনতেন
অনেক কবি-সাহিত্যিক দেখেছি- শিশুকিশোর সাহিত্যকে তারা বালখিল্যপনা ভেবে হেয় করেন। শিশুসাহিত্যিকদের হীনচোখে দেখেন। অনেক কবি তো ছন্দ-অন্ত্যমিলাশ্রয়ী কবিতাকে পর্যন্ত অচ্ছুৎ ভাবেন। একজন শিশুসাহিত্যসেবক হিসেবে এ ধরণের করুণ অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। অনেক সাহিতানুষ্ঠানে গিয়ে বা কবি-সাহিত্যিকদের কথায় এর ভুরিভুরি প্রমাণ আমি পেয়েছি।
এমনকী কবিসভায় শিশুসাহিত্যিকগণ বেশিরভাগ
পর্ব -১৩
সময়কে পেছনে ফেলে জীবন এগিয়ে চলে সামনের দিকে। চলতে চলতে পথিক কখনো সখনো অতীত পথের দিকে ফিরে তাকায়। সে পথের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে মনের চোখ দিয়ে দেখে নিতে ভালবাসে।
মিলু স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনমনে কখন যেন
পর্ব-১২
প্রতি বছরের মত মিলুর ঠাকুরমা এবারও অনেক আমসত্ব দিয়েছেন। আচার করেছেন।
সেগুলো একটা হোগলার চাচের উপর রোদে শুকাতে দিচ্ছেন ঠাকুরমা। সাথে সাহায্য করছে মিলু। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে অশোক।
মিলুদের বাড়িতে অনেক আমগাছ। আম পাকা শুরু হলে মিলুর প্রতিদিনের নেশা বারবার আমতলাতে যাওয়া।
পর্ব-১১
শীতের সকাল। চারদিকে ঘন কুয়াসা। এই কুয়াসার ভেতর দিয়ে ঘুরতে মিলু খুব ভালবাসে। চারপাশের আবছা পরিবেশটা তার চোখের সামনে এনে দেয় এক অলৌকিক জগতের চিত্রাবলী। অস্পষ্টতার ভেতরে সে যেন খুঁজে পায় কোনো এক সুস্পষ্ট সৌন্দর্য্য।
কুসুমকুমারী ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে
পর্ব -১০
সময়কে পেছনে ফেলে জীবন এগিয়ে চলে সামনের দিকে। চলতে চলতে পথিক কখনো সখনো অতীত পথের দিকে ফিরে তাকায়। সে পথের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে মনের চোখ দিয়ে দেখে নিতে ভালবাসে।
মিলু স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনমনে কখন
পর্ব – ৯
রাতে সত্যানন্দ নিজের পড়ার টেবিলে লেখালেখি করছেন। অশোক ঘুমোচ্ছে। পরিবারের সকলের রাতের খাওয়া হয়ে গেলেও মায়ের রান্নাঘরের কাজ শেষ হয়নি।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মিলু গতরাতে মায়ের বলা বেহুলার গল্পটার কথা মনে করছে। চাঁদসওদাগরের মধুকর কালীদহে ডুবে যাওয়ার কথা
পর্ব -৮
– মিলু দাদা, ও মিলু দাদা!
কারো একটা ডাকার শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ব্রহ্মানন্দ।
– ও মামুদালি এসেছো? – তা চল বাগানের দিকে।
– শুধু আপনে গেইলে তো হইবে না কত্তাবাবু। আমার যে মিলু দাদারে লাইগবে। – মামুদ আলি বলে।
মামুদ
পর্ব – ৭
মামাবাড়ি থেকে ফেরার পর মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় মিলুর। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকে। দুইদিন বাগানে উঠোনে তেমন একটা ঘোরাঘুরিও করেনি। আজ বিকেলে মায়ের বইয়ের তাক থেকে একটা কবিতার বই হাতে নিয়ে ঠাকুরমার ঘরের দিকে যায়।
ঠাকুরমার এই ঘরটি একটু
পর্ব – ৫
সন্ধ্যায় মিলু আর অশোক বসে আছে মামাবাড়ির ছাদে তাদের প্রিয় বড় মামা প্রিয়নাথ দাশের সাথে। হাসিখুশি আড্ডা প্রিয় আর শিশুর মত সরল বড় মামা -মামা নয় যেন মিলুর সমবয়সী বন্ধু। যত বায়না সবই এই মামার কাছে। আর
পর্ব -৪
রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পত্রিকা পড়ছে মিলু। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে দুভাই পড়াশুনো সেরে কিছুক্ষণ ঠাকুরমার এক ছোটভাই মামাদাদুর ঘরে গিয়ে গল্প করে এসেছে। ঠাকুর মায়েরা যখন বিক্রমপুর ছেড়ে এখানে চলে আসেন বাপ মা মরা এই মামাদাদুও তার
পর্ব – ৩
মিলুর বাবা সত্যানন্দ বরিশাল শহরের ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অল্প বয়সে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পক্ষে নন তিনি। বাড়িতে ভাল মত পাঠ দিয়ে তবেই স্কুলে ভর্তি করতে চান ছেলেদের। তাই স্কুলে যাবার বয়স হলেও মিলুকে স্কুলে ভর্তি না করে বাড়িতেই
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩১ বার দেখা
| ৫৮৪ শব্দ ১টি ছবি
পর্ব – ২
একান্নবর্তী পরিবারের ছেলে মিলু। মা বাবা কাকা কাকিমা জ্যেঠা জ্যেঠিমা পিসিমা ঠাকুমা খুড়োতো জেঠাতো ভাই বোন মিলে সে যেন হাটখোলা। সারাক্ষণ হই হট্টগোল লেগেই থাকে। কর্মসূত্রে কেউ কেউ বাড়ির বাইরে থাকলেও তাদের আসা-যাওয়া চলত নিয়মিত।
ছোট্ট মিলুর ভালো লাগে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫৫ বার দেখা
| ৪০৯ শব্দ ১টি ছবি