জীবনের সমান্তরালে এক নদী বয়ে গেছে
তার বুকে ফুটে ওঠে থোকা থোকা ফুল
পাহাড় মাঝে মাঝে সেই ফুলে হাত রাখে
সবুজ ছায়া মেলে পাইনের সারি দাঁড়িয়ে
আকাশ তখন তারাদের গানে বিভোর
ভোরের আলো ফুলের রেণু মেখে উচ্ছ্বল
মেঘের ঢেউ মুছে দিয়েছে রাতের কালোরেখা
শিশির ভেজা মাঠে কদমের পাতা ঝরে যায়।
একটা সময় আসে যখন ডাকনাম ধরে ডাকার মানুষগুমো কমে যায়। একটা সময় আসে যখন ভীষণ আপন ভেবে ভালোবেসে শাসন করার মানুষ কমে যায়। একটা সময় এমন আসে যখন মুখোশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, স্বার্থের হিসেব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
একটা সময় আসে
পাখিভাষ্য শিখতে পারে না মানুষ। কিন্তু মানুষ পোষে পাখি,
উড়ে যেতে চায় পাখির ডানায়- চলে ও চালায়
জীবন, জীবনের ছায়া- জলের একান্ত প্রতিবিম্ব।
মানুষ যে অক্ষর ধারণ করে বুকের পাঁজরে- তার মাঝে
কি থাকে পাখির জন্য সামান্য ভালোবাসা!
অথবা যারা বৃক্ষ হত্যা করে, নগর পোড়ায়,
দখল করে নদী- তাদের
খোলা আকাশের নিচে একান্ত আমার কিছু সময় হত যদি
চোখ দুটি বানিয়ে রাখতাম নদী,
কাঁদতাম আবার হাসতাম
আবার কল্পতরীতে সুখে ভাসতাম।
কিছু অভিযোগ তুলে ধরতাম প্রকৃতির কাছে
আহারে মনে কতই না অভিমান জমা আছে
দেখিয়ে দিতাম আকাশকে হয়ে উর্ধ্বমুখী,
উচ্ছাস ফিরে পেতে সবুজে দিতাম উঁকি।
একটি নির্জন প্রহর
হর্সরেস শেষ হয়ে গেছে বেশ আগেই। যারা দেখতে এসেছিল ঘোড়দৌড়
তারা সবাই ফিরে গেছে নিজ নিজ গন্তব্যে। আমি একা দাঁড়িয়ে আছি।
আমার নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য না থাকায়— পথ থেকে পথে দীর্ঘদিন বড়
সুখে বাজিয়েছি সানাই। উৎসব নয়, তবু আনন্দে নেচেছি নদীর মতো।
আর আকাশের সীমানা থেকে ধার নিয়ে
১
জোছনা চুরির গল্প অনেক শুনেছি
পলিগামী পুরুষের রসায়ন
ভাবতে ভাবতে
নিঃশ্ছিদ্র মশারীর আকার-প্রকার
নির্ধারন করে ফেলি
চাঁদও কি জোছনাভূক প্রানী নাকি
চাঁদেও ফোটে নানাবিধ ফুল!
আমাদের এখানে বৃষ্টি হত
মনে রাখবার মত রাত্রিও নামত
ঋতুবতী গুহানারী একবার চাঁদে ফেলে
এসেছিল লাল রঙটার অর্থ
অন্ধকার আর নীরবতা
যোগ হয়েছিল আলোর সমগোত্রে
যার কারনে গল্পগুলো খরস্রোতা হয়ে গিয়েছিল।
সেই
কোথা দিয়ে যে সময়গুলো পালায়, পাই না আর টের
সময় হতে নিজের জন্য সময় আর করতে পারি না বের;
সময় ব্যস্ততার যাতাকলে ফেলে
আমি ছেড়ে উড়ে যায় দূরে, ডানা মেলে।
পাই না নিজের জন্য সময় আর অফুরন্ত
মন যে হয়ে উঠলো দুরন্ত;
সয় না আর সয়
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬১ বার দেখা
| ১৭১ শব্দ ১টি ছবি
আমার পাশাপাশি একটা বিকেল—ডুবে যাচ্ছে
হাওয়ার ভেতরে—তারপর গতদিনের জ্যোৎস্না
আজও ফিরে এল, শরতের আলাপে বসে থাকি
দীর্ঘ আলাপ শেষে—পাহাড়ের গারোভাষা যেমন
পাতাছেঁড়া বিদ্যাগ্রন্থ–টিলার গাছ আয়ত্ত করছে
ঘাসেদের বুক চিরে পথ করা মানুষের মনস্কতা—
কখনো তোমার মুখ—কখনোবা আধুলি রূপ
আর বিষণ্ণতা জানতে চেয়ে এখানে দণ্ডিত হই
আমাদের আলাপ বেঁচে থাকলে দেখা হবে
চোখ আর
আমাদের বাসার সামনে দিয়ে যে সরু রাস্তা
সবুজ পরিধান করি তুমি রোজ যাও;
তুমি বোধহয় নবম শ্রেণী,
আমিও। তোমাদের স্কুলের বিপরীতে
শ্যাওলা পরা যে দালান ক্রমে ক্ষয়িষ্ণু
হচ্ছে; তার কোন এক ক্লাসে
এলজেব্রা কষতে গিয়ে আটকে যাচ্ছি।
অমনোযোগী ছাত্রের প্রতি
বিপিন পালের কোন দয়ামায়া নাই।
এলজেব্রা কষতে গিয়ে
আমি
১
কোরবানি ঈদের পরদিন, রাত ৮টা। সুনসান পাড়া, নিরবতা বিদীর্ণ করে কেউ একজন তীব্র গতিতে বাড়ির কলাপসিবল দরজা ঝাঁকাচ্ছে। কল বেল থাকার পরও এভাবে দরজা ঝাঁকানো ভীতিকর, ভয় পেতে শুরু করেছি।
আতঙ্ক আর কৌতূহল মিশ্রিত মন নিয়ে দ্রুত দরজার সামনে গেলাম, মহল্লার