সুখের খোঁজে ছুটছে মানুষ
সুখের খোঁজে ভাঙছে ঘর
সুখের জন্যই দিচ্ছে জীবন
গড়ছে আবার নতুন ঘর।
যাচ্ছে যাঁরা সুখের খোঁজে
পাচ্ছে কী সে সুখের পথ
মিটছে কি তাঁর পাবার আশা
কমছে কি তাঁর চাওয়ার ঘর?
জীবন যদি সে সুখেই বিতান
দুঃখ কি তা জানবে কেউ
জীবন কি তবে বাঁধা পড়া
আছড়ে
কবির মন, শুধু ভাবে কী যে লিখি এখন
কারণে আর অকারণ, রাতদিন যখন-তখন,
বিচলিত কবির মন, কী লিখবে যে কখন
ঘুমহীন চোখে, কবি ভাবে বসে সর্বক্ষণ!
কবির মন, স্রষ্টার সৃষ্টি নিয়ে ভাবে
কীভাবে হয়েছিল শুরু, শেষ হবে কীভাবে?
কী কথা ছিলো, আর কী করছি ভবে
যখন যাবো
তারপর একা রাত, কেটে যাক অন্ধকার
পাশাপাশি সেই কিছু কথা বলা দরকার।
এই শোনো, এসে বস পাশে
বাড়িয়ে দাও হাত ভালোবেসে।
তুমিহীন যে কটা দিন কেটেছে আমার
তার চেয়েও বেশি কষ্টের কথা না বলার।
এই শোনো, চেয়ে দ্যাখো আকাশে
চাঁদ হাসে তোমাকে ভালোবেসে।
বৃষ্টি আর ঝর্না দুটোই ধারাপাত ধর্মী
পার্থক্য কেবল এক জন পতিত হয় নিরবধি
আরেক জন গলে কেবল মেঘেরা হাত পাতে যদি
নিজস্ব ভাষায় শীৎকারে দুটোই সুরের প্রেমী।
পতিত জমি বুঝে জলজ ভাষা
চির যৌবনা খনিজ উত্তাপে ঝর্নার অনিন্দ্য প্রেম লীলা
সুর ছন্দে প্রেমজ সন্তর্পণে
ডাক বাক্সগুলো কেঁদে বলে
হে পথিক একটু ফিরে চাও,
আমি এখন কর্মহীন বেকার
আমার বাক্সে চিঠি দাও।
আমি ছিলাম খুবই ব্যস্ত
তোমাদের সেবায় নিয়োজিত,
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে
আমি হলাম এখন অবহেলিত!
একসময় যখন ছিলো না
এই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি,
আমাকে ছাড়া তোমাদের কেউ
হতোনা পেতও না কখনো মুক্তি!
তোমাদের দেওয়া চিঠি
সকাল থেকে রাত শুধু তোমাকেই দেখি
দেখতে দেখতে হয়রান হই
তোমার উজ্জ্বল মুখ, মায়াভরা চোখ
সবই কি আমার জন্যই ?
বাস্তবতা হারিয়ে হতাশা আঁকড়ে ধরতেই
তোমার দিকে ফিরে তাকাই।
তোমার নীরব চোখদুটো হেসে বলে,
ভয় কি ? আমি ত আছি।
আমি ত তোমায় ভালোবাসি তবে
কেন এত ভেঙে পড়ো
সুমনের একটাই ইচ্ছা সেতারা যেচে এসে তার হাত ধরবে। সেতারা নামটা সেকেলে হলেও মেয়েটা সেকেলে নয়। পুরো-দস্তুর মর্ডান। সেতারা না হয়ে সুহাসিনী নাম হলে মানাতো ভালো। নামের সাথে ব্যক্তিত্বের অমিল হলে বেখাপ্পা লাগে। সেতারা নামটাই সেকেলে কিন্তু মেয়েটি সত্যি সত্যিই তারা। আমাদের স্কুলের সবচেয়ে
ভারোত্তোলনের গল্প শুনলেই আমাদের পাহাড়ের কথা
মনে পড়ে। যারা পর্বত কাঁধে নিয়ে ঘুরে-
তাদের কাছে আকাশকে খুবই তুচ্ছ মনে হয়।
তারা জানে, মানুষের রক্তের রং চিহ্নিত করেই
এই বিশ্বে একদিন উড়েছিল সাম্যবাদের পতাকা।
তারপরও সকলের ভোটের মূল্য সমান নয়-
জানতে জানতেই এই পৃথিবীতে বেড়ে উঠে শিশু,
শত চেষ্টা করেও রাজনীতিকরা বদলাতে
আকাশে মেঘ নেই, রোদ্দুর অতি,
সময় দ্রুত উড়ে, যেন সে প্রজাপতি,
আকাশ দেখতে গিয়ে হোঁচট খাই
সময় পারি না ধরতে, সময় যে আমার হাতে নাই।
আকাশের রঙ বদলায়, বদলায় জীবনের রঙ,
এই পৃথিবী যেন পেরেশানির আড়ঙ;
অফুরন্ত অবসর আর পাই না খুঁজে
আর পারি না রাখতে আকাশে
কোন্ দিক দিয়ে দিন যায়, কোন্ দিক দিয়ে
রাত যায়, কেউ গুনে রাখে না আঙুলের কড়;
তবুও তিলতিল করে গড়ে উঠে জীবন পাথর,
মাঝে মাঝে বুঁদবুঁদ ছুঁয়ে যায় স্মৃতির মিনার
অবলীলায় আমি হেসে উঠি একবার, আবার
কেঁদে উঠি আরেকবার; পালকের পর পালক
খসে খসে