নারী দিবসে সকল নারীকে সম্মান জানিয়ে
শান দিয়ে রেখো
মরচে ফেলো না,
ঝলমলে তরবারী
কোন দিবসের
সুতো বাঁধা নয়
উজ্জ্বল তাই নারী।।
নারী নয় কোনো
দেয়ালের ছবি
দিন যাওয়া
কোন মতে
পদরেখা তার
ছড়িয়ে গিয়েছে
মরু নদী পর্বতে।।
ইতিহাস ঘেঁটে
পৃথিবীকে দেখ
হাজার লক্ষ
গল্পহীন নদীটার কথা অনেক অনেকদিন বলা হয়নি
সে এখন না নদী আর না নারী
অথচ একদিন সে কতো লাবণ্যময় কবিতা ছিলো!
শীতলপাটির মতো প্রাণের উপর প্রাণ বিছিয়ে দিতো
তার শব্দেরা মৌমাছির আজন্ম গুনগুন হতো
সেও ছিলো টুকটাক কোনোএক অলৌকিক জীবন;
সেখানেও তামাশার রাত কোনোদিন শেষ হতো না
অবলীলায় হারিয়ে যেত
নারীর রূপ বোরকাবন্দি
বোরকার অন্ধকার জেলে করে বাস,
নারীর রূপ মুক্ত পৃথিবী
দেখতে পারে না
বোরকা জেলে করে হা-হুতাশ।
নারীর রূপ বোরকাবন্দি থাকবে
মুসলিম ধর্মকোর্টে পাশ,
নারীর রূপ মুক্তি পাচ্ছে না
বোরকার অন্ধকার জেলে হচ্ছে নাশ।
নারীর রূপ বোরকাবন্দি
থাকবে কৃতযুগ,
জেগে উঠো নারী
নিজের রূপ উন্মোচন করে
ধর্মান্ধদের আইনের ধরিয়ে
দিবসকে পাশে রেখে আমি খুঁজি তরল আকাশ
যে আকাশ চিরদিন ছায়া হয়ে থেকে যাবে পাশে,
পাখিদের গানে গানে, পুষ্পদের
স্বতন্ত্র বিন্যাসে
এ জীবন সম্মিলিত- এ জীবন
প্রেমের প্রকাশ।
তোমাকেই ধ্যানী জেনে, পাপড়িগুলো দেবো প্রিয়তমা
অক্ষরের অনুরাগে যে ঋতু অপেক্ষায় থাকে
বসন্তে সুবাস ছড়ায়, বর্ষায় ঢেউচিত্র আঁকে
জলাচলে এই প্রেম চিরদিন রেখে
তোমাকে ভালোবাসি বলে
ফিরিয়ে দিয়েছিলাম তারে
জানিনা আজ কোন ভুলে
তুমি ফিরিয়ে দিলে মোরে।
এখন আমি মুক্ত বিহগ শূন্য গগনে
উড়তে পারি দিকবিদিক দিগন্তে।
ঘরছাড়া পাখির মতো নেই পিছু টান
আজ হলো ভালোবাসার অবসান।
আমি গরম দেশের মেয়ে
এপ্রিল থেকে আগস্ট পেরিয়ে
যখন চৌচির হতে শুরু করে মাটি
তখনও থাকতে জানি
নির্বিকার- জল কাদায় হাঁটাহাঁটি।
আমার ছেলেও তেমন
অথচ দূরদেশ ওকে বার্তা পাঠালো,
এই দেশে আয়, আয় ছেলে আয়-
অমন হিমের ভেতরে ও’ নির্দ্বিধায় হেঁটে
সতেরো
নারকোলগাছের গাব্ড়ো দিয়ে ব্যাট বানিয়ে ক্রিকেট চলছিল উঠোনে, হঠাৎ খেলা ভেঙে শুরু শিশুকিশোর নাচ। সঙ্গে গান এক লাইনের — আজ মাংসো খাবো। আআজ মাংসো খাবো। তখন নির্মল স্তব্ধ ও সুচিন্তিতভাবে বাজারের ব্যাগ তুলে দিচ্ছে মায়ার হাতে।
কলোনির কোনও ঘরে মাংস রান্না হলে আশপাশের বাড়িগুলোর
অর্থ
অর্থ কেন এবং কি কারনে রাষ্ট্রীয় সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে প্রয়োজন আর এর ব্যাবহারিক ভূমিকা ও উৎস কি সেটাই খুঁজে বের করবো।
প্রয়োজন বা চাহিদা।
আপনার প্রয়োজন, চাহিদা বা চাহিদার প্রয়োজনে “অর্থ আমাদের এই মহাবিশ্বে প্রথম ঈশ্বর” অর্থই শক্তি শক্তি অর্থ এই
এই সন্ধ্যাপথে, একটা সবুজ বিকেল নিয়ে
বুকের বাহাসে বেঁধে রাখি আর অন্তর রঙ
যেমনি হোক সকল দূরত্বকে জানা হবে
কেন ঝরে গিয়েছিল সব সুন্দর, লজ্জামান-
কাঁচের গ্লাস থেকে জলটুকুর বনিবনা এবং
একটু পর পরই ভাত ফুটতে থাকার মতো
গাঢ় হয় সেসব ভাপ, এমন প্রস্থান মুহূর্ত
কেবল পালটে দেয় কামনা রূপ, কাকাতুয়া;
ফলে
ভর দুপুরে আমার উত্তম কুমার গেছেন ইউনিভার্সিটিতে, নতুন ছাত্র ছাত্রীদের অভিষেক অনুষ্ঠানে ঘন্টা দুয়েকের জন্য। একা ঘরে আমি কমপিউটারে ধারাবাহিক ‘সুবর্ণলতা’ দেখছি। কিছুক্ষণ আগে বাইরে থেকে দরজার লক খোলার শব্দ পেয়ে বুঝলাম, অনুষ্ঠান শেষ করে উত্তম ফিরে