নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু) জন্ম ৮ই জুন ১৯৬৩ ইং সালে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন বজরা রেলস্টেশনের পশ্চিমে মাহাতাবপুর গ্রামে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন লক্ষ্মণ খোলা গ্রাম সংলগ্ন আদর্শ কটন মিল অভ্যন্তরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৮০ দশকের দিকে আদর্শ কটন মিলটি সরকার কর্তৃক বিক্রি হয়ে গেলে নীড় হারা ঝড়ের পাখির মতো উড়ে উড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল এলাকায় আবার স্থায়ী হন। উনার পেশা ছিলো চাকরি। তাও আবার টেক্সটাইল মিলে। একসময় এদেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন টেক্সটাইল মিলগুলোও যখন বিলুপ্ত হয়ে যায়, তখন টেক্সটাইল মিল থেকে নজর এড়িয়ে তিনি ভিন্ন কাজে মনোনিবেশ করেন।
২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা “আমি রাত জাগা পাখি” শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।
সভ্য যুগের সভ্য মানুষ
স্বার্থের ধান্দায় থাকে বেহুশ,
মন্দের কদর ভালোর দোষ
ধর্মের বাণীতেও হয়না হুঁশ!
ধর্মের বাণী করে শ্রবণ
করে না কেউ দুষ্টের দমন,
পুণ্যের আশায় তীর্থে গমন
ফলায় না সভ্যতার ফলন।
সভ্য যুগে অসভ্যের শক্তি
দুষ্ট লোকদের করে ভক্তি,
জ্ঞানী লোকের খণ্ডন যুক্তি
কী করে
জন্ম সবার একইভাবে, ধর্ম ভিন্ন-ভিন্ন,
কর্মও ভিন্ন, তবুও কেউ ধন্য কেউ নগন্য।
কর্ম যার ভালো, ভাগ্যও হয় ভালো,
যদিও হয় কালো, জ্ঞানে বাড়ায় আলো।
মাথার মগজ একইরকম, জ্ঞান হয় ভিন্ন,
কেউ হয় সভ্য মানুষ, কেউ আবার বন্য।
জন্ম, কর্ম, ধর্ম, ভিন্ন-ভিন্ন মতান্তর,
এভাবেই চললে
হরি বলে হরি, আমি ক্ষুধায় মরি!
দাও কিছু মোরে, পেটখানা ভরি।
হরি বলে হায়, বলি যে তোমায়,
কর্ম দোষে মরে ক্ষুধার জ্বালায়!
যার যার ভাগ্য কর্মতেই বদলায়,
কর্মতেই শাস্তি ভোগ কড়ায় গণ্ডায়।
হরি বলে হরি, বুঝতে না পারি,
অভাবে স্বভাব নষ্ট, নিজে কি করি।
হরি বলে শুনো, নেইতো
আমি মজুর আমি গরিব আমি চির দুখী,
সারাদিনে একবেলা খাই তাতেই আমি সুখী।
নাইবা থাকুক টাকা-পয়সা প্রচুর ধনসম্পত্তি,
দিবারাত্রি খেটে মরি তবুও নেই কোনও আপত্তি।
খাই-বা-না খাই তবুও আছি অনেক ভালো,
যদি থাকতে ধনসম্পত্তি ছড়িয়ে দিতাম আলো।
সেই আলোতে আলোকিত হতো লোকসমাজ,
কেউবা হতো ডাক্তার
একটা দেশের রাষ্ট্রনায়ক মানেই অনেক অনেক ক্ষমতার অধিকারী। এককথায় বলতে গেলে রাষ্ট্রনায়ক হলেন গোটা একটা দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এতো এতো ক্ষমতার অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও কখনও-কখনও তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েন আততায়ীর কাছে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও কিছুই করার থাকে না
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫৯ বার দেখা
| ৫৭৯ শব্দ ১টি ছবি
ভয় ভয় মন
ভাবি বসে সারাক্ষণ,
কী যেন হয় কখন
কথা বলি যখন।
কথা বলি কম
পেছনে দাঁড়িয়ে যম
কান খাড়া হরদম
উল্টা-পাল্টা হলেই খতম!
ধর্ম অবমাননার অজুহাত
খুঁজে বেড়ায় দিনরাত,
ধর্মের গেলো জাত
ধর মার বেজাত।
তাই মনে ভয়
কখন যে কী হয়,
কেউ যদি কিছু কয়
ভেবেচিন্তে
কোথায় যে হারিয়ে গেলো
সেই সোনালী দিন,
ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে
কেটে যেতো সারাদিন।
বিকালে আমরা জড়ো হতাম
ছোট একটা মাঠে,
খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম
ঐ নদীর ঘাটে।
সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম
ঐ খরস্রোতা নদী,
সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে
কুমিরে ধরে যদি!
কারোর হাতে যদি দেখতাম
সেকালের ক্যামি ঘড়ি,
অবাক চোখে তাকিয়েই
বছর তিনেক আগে একটা জরুরি কাজে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলাম। যাচ্ছিলাম অটো চড়ে। হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট পেরিয়ে যখন কিল্লারপুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, রাস্তার বাম পাশে ময়লা আবর্জনায় মধ্যে একটা ডাকবাক্স দেখতে পেলাম। ডাকবাক্সটি অনেক আগে থেকেই এখানে বসানো হয়েছিল। তবে আগে ডাকবাক্সটির সামনে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪০ বার দেখা
| ১১৭৪ শব্দ ১টি ছবি
১।
অশান্ত এই মন
করে শুধু বনবন
ভাবে বসে সারাক্ষণ
কী করি এখন?
২।
দিতে চায় ওজন
সেরে সেরে মণ
মেলে না যখন
গোলমাল বাধে তখন!
৩।
ভাবতে হয় ভীষণ
হিসাব নেবে মহাজন
মেলাবে কে এখন
সময়ও নেই বেশিক্ষণ!
৪।
তবুও ভাবে কিছুক্ষণ
ফাঁকি চলে কতক্ষণ
হাতে সময় অল্পক্ষণ
কী হবে
যারা মহানবীকে নিয়ে করে কটূক্তি,
তাদের সাথে হবে না কোনও চুক্তি।
করবো বয়কট, দেখা দিক যত সংকট,
করবো ঘৃণা, চলবে প্রতিবাদ ধর্মঘট।
মুসলিম হিন্দু ইহুদী বৌদ্ধ খ্রিস্টান,
আমরা সকলেই একই মায়ের সন্তান।
নেই কোনও ভেদাভেদ, সকলেই সমানসমান,
আল্লাহ ঈশ্বর গড একজনই, তিনিই মহান।
মরতে চায় না কেউ বাঁচতে সবাই চায়,
বাঘের সাথেও করে যুদ্ধ বাঁচতে দুনিয়ায়।
এই দুনিয়ায় সুখশান্তি সবাই পেতে চায়,
ভাগ্যগুণে কেউ পায় কেউ বুক ভাসায়।
জায়গা জমি বাড়ি গাড়ি চায় যে সকলে,
একদিন চলে যাবে সবাই সবকিছুই ফেলে।
রাজা-বাদশা সাধু-সন্ন্যাস মহাজ্ঞানীও হলে,
মরণকে সবাই করছে
তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
না নড়ে গাছের পাতা,
কার এমন শক্তি আছে
ছিন্ন করে কারোর মাথা?
তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
হবেনা চন্দ্র-সূর্য উদিত,
কার এমন সাধ্য আছে
বিনা দোষে করবে দন্ডিত?
তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
হবেনা দিন আর রাত,
কার এমন ক্ষমতা আছে
ঝরাবো শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাত?
তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
হয়না জলোচ্ছ্বাস
আমার ঠাকুরদা’র সংসারে শুধু তিন ছেলে ছিলো। এই তিন ছেলের মধ্যে যনি সবার বড়, তিনিই ছিলেন আমার বাবা। আর যেই দুইজন ছিলেন, উনারা আমার বাবা’র ছোট ছিলেন। সেই হিসেবে ওই দুইজন
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৭ বার দেখা
| ৪৯৪ শব্দ ১টি ছবি