নাজনীন খলিল-এর ব্লগ
সারভাইভ্যাল অব দ্য ফিটেস্ট/মুক্তগদ্য
এক প্রচণ্ড ঝড় উঠলো। ধুলোর। যেখানে যা কিছু ছিল স্থির, সব ছিটকে সরে গেল এখান থেকে ওখানে। লণ্ডভণ্ড। ল্যাম্পপোস্টের গায়ে লেপ্টে থাকা মৃত প্রজাপতির চোখে তখনো সরব হয়ে ছিল এক বিস্মিত তীব্র জিজ্ঞাসা– আলোর কাছাকাছি গেলেই পুড়তে হবে কেন! কিছুক্ষণের ভেতরই মৃতমাংস সন্ধানী পিঁপড়ারা ভীড় পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৫ বার দেখা | ২২৮ শব্দ
শুভ্র শূন্যতা
আয়না তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা। ঠকে যাবে । তোমার বুঝতে হবে, নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে। বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭০ বার দেখা | ১০০ শব্দ
পিছনে পায়ের দাগ রেখে আসি
বিমুগ্ধ-আবেশ কেটে গেলে শরাব মিথ্যে হয়ে যায়
তবু লালপানির পেয়ালা হাতে বসে থাকি;
জীবন দোল খাচ্ছে অবিরত ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। এখনো এ ঘরের সব কোন ছেয়ে আছে শেষ বিকেলের সুরভি-মদিরা
এখনো মুছেনি তানপুরার শেষ ঝংকারের রেশ
গোধুলীর কনে দেখা আলোর ঘেরে ফুটি ফুটি সন্ধ্যামালতী
আকাশে পাখসাট বাজে- বিহঙ্গম ফিরছে কুলায়;
নিষ্প্রাণ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬১২ বার দেখা | ৯৩ শব্দ
কবিতা
তুমি হুইসেল বাজাতে জানো?
নিমেষে খান খান
ভেঙ্গে ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারো
স্থবির পাথরের জগদ্দল স্তব্ধতা?
একটি আকাশপাতাল জোড়া খাতা খুলে বসে আছি।
অমিয় ঘোরে নিষিক্ত নতুন শব্দ লেখা হোক কিছু
এমন ভাবতে ভাবতে
চুরি হয়ে গেলো ভৈঁরো রাগে বাঁধা বেলীর সুগন্ধ।
বাতাসের কানে কানে রেখে দেই পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৩ বার দেখা | ৪৬ শব্দ
রঙীন কাচের চশমা
দৃশ্য বদলায়না
কেবল চশমার কাচ বদলায়। মাঝে মাঝে
যখন—শীতের কুঁকড়ে যাওয়া পাতার মাঝেও
লিখে ফেলছি জীবন ;
বিবর্ণ ঘাসে
এক টুকরো সবুজ উষ্ণতা গড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি স্বপ্নের ভেতরে আমি যে ঠিকানা খুঁজি ,
কাগজকলমে সেই নাম
কেবলই লিখে যাচ্ছি ভুল বানানে।
বানান-বিভ্রাটে গন্তব্যের ভুল ! ফেলে যাচ্ছি রঙীন কাচের চশমা। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৬ বার দেখা | ৩৯ শব্দ
কবিতা
কোন কোন ঘুম ভাঙ্গা রাতে দেখি
পৃথিবীটা নিঃসম্বল ভিখিরির মতো
ফুটপাথে কানা উঁচু থালা পেতে বসে আছে।
তন্দ্রাবেশে কুয়াশাভেজা নিস্তেজ রাত। বাতাসের গায়ে গন্তব্যের প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে
একটি নিশাচর পাখি উড়ে গেলে; তুমুল
পাখসাটে হু হু করে বাজে অস্ফুট ব্যথাচ্ছন্ন এক সুর।
কখনোবা মানুষও তো পরিযায়ী পাখি! শোনা না শোনার পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৯ বার দেখা | ৭৪ শব্দ
ইনকোগনিটো
সবাই সতর্ক খেলছে। চেস,ট্র‍্যাম্পকার্ড, হাউজির খেলা।
ছায়ার অন্তর্গত ভিন্ন ছায়াবাজির খেল ;
ইন্দ্রজাল আর ছদ্মবেশের চৌকাঠে
পা আটকে যাচ্ছে বারবার। হয়তো-
তোমার পিংক বাথটাবের কানাভর্তি স্বচ্ছতার
আড়ালে আছে কোন প্রাণঘাতী দাহক ;
উপুড় অডিকোলনের শিশি ঢাললেই
রুদ্ধ হবেনা তার জ্বলনস্বভাব। বিপরীতে –
গায়ে ভীতিকর রোঁয়া ফুলিয়েফাঁপিয়ে
ভয় দেখাচ্ছে যে হতকুৎসিত শুঁয়াপোকা ;
সে-ও একদিন ঠিক মধুবর্ণী পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০১ বার দেখা | ৯৬ শব্দ
চলে যাবার ঠিক আগে
চলে যাবার ঠিক আগে মনে হচ্ছে আচমকা কোথাও চলে যাবো। যেতে হবে। প্রবল জ্বরের পায়ের কাছে শুয়ে আছে প্রাণঘাতি ভাইপার।
মাত্র একটি ছোঁবলেই তুলে নেবে সমস্ত উত্তাপ, আর
উজাড় ঢেলে দেবে বিষথলির সম্পূর্ণ গরল। চেনা-জানা পাখিদের চঞ্চুগুলো খুব আদরে মুখর
সবুজপাতায় অবিরল ঢেলে দিচ্ছে সোহাগঅমৃত।
গোধূলিতে– নীড়ের কোটরে ঢুকার আগেই
মাধবীর পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৩০ বার দেখা | ১৯৮ শব্দ
রঙ
রঙ
কারো গাঢ় নীল চোখ
বেজে যাচ্ছে বেদনার্ত সেতারের মতো ;
যেন ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে এক খণ্ড আকাশ,
যেন এক্ষুণি জন্ম নেবে এক নতুন সমুদ্র।
অথবা মনে করো
এক বিভোর উদ্যানে অপরাজিতা ফুটেছে অনেক
যেন নীল নীল ভোরের আধখোলা জানালায়
সবুজ ঝালরের ফাঁকে উঁকিঝুঁকি দেয়া পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৩ বার দেখা | ১১০ শব্দ ১টি ছবি
বেহুলার ভেলা
বেহুলার ভেলা উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন দুঃখেরা
‘ভালবাসা’ চাতকের মতো
এক ফোঁটা নোনা জল চঞ্চুতে তুলে নেয়
‘প্রেম এসেছে কি’ বলে মেয়ে দুয়ারে দাঁড়ায়। অহল্যার পাষাণ ভেঙ্গে রক্ত কমল ফোটে ;
গোপন-কলসীর এক বিন্দু নীরে
শাপ তার কেটে গেছে বুঝি ? বারিধি-বিম্বে শকুনের ডানার ছায়া কাঁপে
তবু সরোজ-শিহরে কাঁপে আয়ুষ্মতী-জল
মৎসাকাংখী পানকৌড়ি ডুব-সাঁতার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৭৬ বার দেখা | ৬৮ শব্দ
শুভ্র শূন্যতা
আয়না তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা। ঠকে যাবে। তোমার বুঝতে হবে, নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে। বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির চোখের পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪৮ বার দেখা | ১০০ শব্দ
ছবিটা নিখুঁত হয়না
আবারো সেই হিমগন্ধের বিভীষিকা, নিঃশ্বাস আগলে রাখা কালো হাত। মেঘের প্যাস্টেলে আঁকা বহুবর্ণ ছবিগুলো উলটে পালটে দিয়ে
ছুটে যাচ্ছে উন্মাতাল এক মৃত্যুরং ঘোড়া ;
কিংকর্তব্যবিমূঢ় লাগাম- সময় কখনো ইজেরের কোমরে বাঁধা ইলাস্টিক ফিতে নয় যে
চাইলেই – দীর্ঘ অথবা হ্রস্ব হবে।
তবু
তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কখনো বা ভেসে যাচ্ছে সময়ের পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৫৫ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
চন্দ্রাহত
চন্দ্রাহত প্রতিটি উড়ালের আগে পাখিকেও শিখতে হয় আকাশের ভাষা। শিল্পিত আঁচড়ের টানে
আঁকা হোক বা না হোক নাম
কি আসে যায়?
আকাশে কেউ লিখে হা-হুতাশ,
জলের গোপনে হাত রেখে
কেউ খোঁজে পাথরের নুড়ি। স্মৃতি থেকে তুলে আনছি কেবলই খড়কুটো;
যদি বাসা বোনা যেতো কোন
পাখির আদলে! বালি-পাথরের হৃৎপিন্ডে রক্তক্ষরণ হচ্ছে,
লুনাটিক হয় কেন কল্পবিলাসী মানুষ? পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৪৪ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
কিছু আচ্ছাদন থাক
কিছু আচ্ছাদন থাক প্যাস্টেল পটচিত্রে মোড়ে যাক
দেয়ালের বুদবুদ ওঠা নোনাক্ষতগুলো। বেজে যাক যুথবদ্ধ নান্দনিক শব্দের ম্যাজিক
উঠুক করতালে ঝমাঝম ধ্বনি
চকচকে ব্লেডের ধারে কাটা আঙ্গুলের ডগা
ধ্রুপদী তালের কিছু রাগরংয়ে ঢাকা পড়ে থাক।
শোণিতস্রোতের ফল্গু বয়ে যাক গোপনে গোপনে। প্যাডলকে হাত রেখে চাবি খুঁজে না পাওয়ার মতো
অনুচ্চারে আটকে যাওয়া কথাগুলো
বাতিল পড়ুন
সাহিত্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭২১ বার দেখা | ১০৩ শব্দ
সেই আমিইতো আছি
প্রবল ঘুর্ণাবর্তে
সবুজ পাতারা উড়ছিল
উড়ছিল ঘাস
উড়ছিল খড়কুটো
সুদূর অতীত থেকে————
সবুজ ঘাসগুলো ধুসর খড়কুটোগুলো
জড়ো হচ্ছিল চারপাশে স্তুপ থেকে স্তুপাকারে। পৃথিবীটা ঠিক তেমনি তো আছে আজো
রোগাক্রান্ত মানুষের বিষাক্ত নিঃশ্বাস
আজো বুকে টেনে নেয় সবুজ পাতারা।
সেই আনন্দে উল্লসিত হওয়া আছে
প্রতীক্ষার ব্যাকুলতা আছে
ক্ষণে ক্ষণে যন্ত্রনাক্ত হওয়া আছে। সব ঠিক তেমনিতো আছে। সময় কি মুছে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫৩ বার দেখা | ৬৫ শব্দ