কারো গাঢ় নীল চোখ
বেজে যাচ্ছে বেদনার্ত সেতারের মতো ;
যেন ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে এক খণ্ড আকাশ,
যেন এক্ষুণি জন্ম নেবে এক নতুন সমুদ্র।
অথবা মনে করো
এক বিভোর উদ্যানে অপরাজিতা ফুটেছে অনেক
যেন নীল নীল ভোরের আধখোলা জানালায়
সবুজ ঝালরের ফাঁকে উঁকিঝুঁকি দেয়া
আয়না তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা। ঠকে যাবে। তোমার বুঝতে হবে, নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে।
বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির চোখের
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৪৮ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
আবারো সেই হিমগন্ধের বিভীষিকা, নিঃশ্বাস আগলে রাখা কালো হাত।
মেঘের প্যাস্টেলে আঁকা বহুবর্ণ ছবিগুলো উলটে পালটে দিয়ে
ছুটে যাচ্ছে উন্মাতাল এক মৃত্যুরং ঘোড়া ;
কিংকর্তব্যবিমূঢ় লাগাম-
সময় কখনো ইজেরের কোমরে বাঁধা ইলাস্টিক ফিতে নয় যে
চাইলেই – দীর্ঘ অথবা হ্রস্ব হবে।
তবু
তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কখনো বা ভেসে যাচ্ছে সময়ের
চন্দ্রাহত
প্রতিটি উড়ালের আগে পাখিকেও শিখতে হয় আকাশের ভাষা।
শিল্পিত আঁচড়ের টানে
আঁকা হোক বা না হোক নাম
কি আসে যায়?
আকাশে কেউ লিখে হা-হুতাশ,
জলের গোপনে হাত রেখে
কেউ খোঁজে পাথরের নুড়ি।
স্মৃতি থেকে তুলে আনছি কেবলই খড়কুটো;
যদি বাসা বোনা যেতো কোন
পাখির আদলে!
বালি-পাথরের হৃৎপিন্ডে রক্তক্ষরণ হচ্ছে,
লুনাটিক হয় কেন কল্পবিলাসী মানুষ?
প্রবল ঘুর্ণাবর্তে
সবুজ পাতারা উড়ছিল
উড়ছিল ঘাস
উড়ছিল খড়কুটো
সুদূর অতীত থেকে————
সবুজ ঘাসগুলো ধুসর খড়কুটোগুলো
জড়ো হচ্ছিল চারপাশে স্তুপ থেকে স্তুপাকারে।
পৃথিবীটা ঠিক তেমনি তো আছে আজো
রোগাক্রান্ত মানুষের বিষাক্ত নিঃশ্বাস
আজো বুকে টেনে নেয় সবুজ পাতারা।
সেই আনন্দে উল্লসিত হওয়া আছে
প্রতীক্ষার ব্যাকুলতা আছে
ক্ষণে ক্ষণে যন্ত্রনাক্ত হওয়া আছে।
সব ঠিক তেমনিতো আছে।
সময় কি মুছে
মাঝখানে কাঁচের দেওয়ালজোড়া অভিমান;
কে কাকে ফেরায়?
হাঁটতে হাঁটতে অবিসংবাদিত একটা গোলচক্কর
চারদিকে চারপথ ; কুহকীমায়ার ইশারা।
বেখেয়াল নাজুক হাতের বন্ধন খুলে
কে যে কোন পথ ধরে চলে গেলো!
রেখে যায়নি কোন পদছাপ।
এক ঘোরলাল কৃষ্ণচূড়া দুপুর
দূর গোধূলির পথে বেঁকে যেতে যেতে
পিছু ফিরে একবার দেখে নেয়
আর কতো বাকী আছে
রংয়ের প্রলেপ মাখা
আমি কেউ নই। কখনো আমি কেউ ছিলাম না।
সমুদ্রের ফেনায়িত মদে ভাঙ্গে প্রবাল-প্রাচীর
আমি তার কিয়দংশ;
মৃত;
ভঙ্গুর;
সামান্য।
রক্তস্রোতের মাঝে আদিমতম যাযাবর নেশা
তরঙ্গ-স্পন্দনে শিরায় শিরায় মাদলের বোল বেজে ওঠে; তবু
নিবিড় সমুদ্র-দর্শনে ব্যর্থ
তিন ঢেউ পেরুনো হয়না
প্রবল জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসে বালুকাবেলায় ফিরে আসি
বার বার।
ছুটে চলা কেবল গন্তব্যে পৌঁছানো নয়; অভ্যস্ত পদক্ষেপ।
মধ্যাহ্নের খররোদে অনায়াস-রপ্ত
না থাকাই ভালো ছিল এতোটা আগুন
মলাটের গোপনে
পাতা জুড়ে থাকে বিশাল প্রান্তরমাঠ,
আগুন?
আগেই বলেছি।
বুকের ভেতরে কেউটের বাস
তবু
তোমাদের বাগানে ফোটে বসরাই গোলাপ, ব্ল্যাকপ্রিন্স।
আর এখানে
এক বুক আগুন নিয়ে ক্লিষ্ট বসে থাকি
জ্বলতে পারিনা ;
গাছের বাকলে শুধু লিখে রাখি,
‘দহন, দহন’।
আজ আর এখানে এসোনা
মেঘমল্লারে মন নেই
দেখো ডানার
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮০ বার দেখা
| ৪৯ শব্দ ১টি ছবি
ঈশ্বর
আকণ্ঠসূরার ভারে
টলতে টলতে কোথায় যাচ্ছে এ মাতাল শহর!
আমাদের ঘরে কোন ঈশ্বর আসেন না।
মেঘ ছিঁড়ে ঝুম বৃষ্টি নামলেই,
আধোঅন্ধকার ঘরে
থোবড়ানো বিয়ারের ক্যান হাতে কেবলই ঝিমান।
আমরা দিনরাত্রি তার তপস্যায় থাকি
প্রার্থনারত হাতগুলো থেকে মাঝেমধ্যে ‘আহা’ ধ্বনি বাজে।
মাত্র আধহাত দূরে পানপাত্র রেখে
যে লোকটা অসীমধৈর্যে বসে আছে
ঠোঁটে ছোঁয়ালেই শেষ হয়ে
ইল্যুসন
হ্যাঁ তোমাকেইতো!
যুগ যুগ ধরে খুঁজেছি তোমাকেই।
শুধু যুগ? অনন্ত মহাকাল নয় কেন?
চেনাঅচেনা সমস্ত মুখের ভীড়ে তোমার আদল
ব্যস্ত সড়ক পার হতে হতে
প্রতিটি পথিকের দিকে খরচোখে তাকিয়েছি।
তুমি কোথাও ছিলেনা। হয়তো থাকোইনা।
তুমি যে থাকোনা — তুমি যে অলীক
কেউ বললোনা সে কথা। অনেকেই জানে।
হয়তো
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬১৬ বার দেখা
| ৮৩ শব্দ ১টি ছবি