এই যে আজকে আপনারা বসবাস করছেন আমার বুকে এই আমি ঢাকা মহানগরী। এক সময় কিন্তু আমি এত বড় ছিলাম না। নবাবদের আমলে মাত্র কয়েকজন নবাব বাড়ির নায়েব, গোমস্তা আর খানসামারা এখানে বসবাস করত এবং তাদের সেবা যত্নের জন্য কামার, কুমার,
আমি কোন লেখক বা সাহিত্যিক হবার জন্য হাতে কলম ধরিনি বা এই বিজ্ঞানের যুগে যেহেতু কলম দিয়ে লেখার প্রচলন উঠেই গেছে তাই বলা যায় কম্পিউটারের কি বোর্ডে হাত দেইনি। তবে মনের গোপন কোণে যে এমন একটা সাধ সুপ্ত নেই সে
কয়দিন যাবত শরীলডা কেমন কেমন লাগতেছে মাথায় ঝিম ধইরা থাকে, খালি খাই খাই ভাব কিন্তু দাতে ধার নাই তাই কিছু চাবাইতে পারিনা, চোখে সব সময় সইরষা ফুল দেহি, হাত পাও নিতে চাই একদিকে চইলা যায় আর এক দিকে। কি মসিবত!
এক দোস্ত কইল কবিরাজের
জানেন তো আমি বিজ্ঞানী হইতে চাই বলে সব সময় নানা রকম ভাবনা আমার মাথায় দৌড়াদৌড়ি করে। সেদিন বিকেল বেলা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে একটু একটু চুমুক দিচ্ছি আর ভাবছি, মানুষে তেলাপোকা বলে কেন? তাকে তেলাপোকা বলে অসম্মান কেন করে? তাহাকে তেলা পাখী বলে সম্মান
কয়দিন যাবত ভাবতেছি শব্দ নীড়ে বা ফেস বুকে কিছু লেখুম না আবার ভাবি তাইলে যদি লেখাপড়া ভুইলা যাই!
কি এক দোটানায় পরলাম! এই কূলে না ওই কূলে যাই? কার কাছেই বা বুদ্ধি চাই তাও বুঝতেছি না। আইজ কাইল কেউ কেওরে সুবুদ্ধি দেয় না খালি কুবুদ্ধি
করোনার ডরে ঘরবন্দী থাকতে থাকতে মাথার ঘিলুতে ভূমিকম্পের মতন থরথরি ঝাকুনি শুরু হইলো বইলা সেদিন আকাশে গেলাম একটু পায়চারি করার জন্যে। যাইতেছি যাইতেছি হঠাত মাইকের শব্দ পাইলাম। এদিক সেদিক খোজাখুঁজি কইরা ওই দূরে দেখলাম বিশাল জমায়েত। আরে এইখানে আবার এরা আইলো কইত্তিকা? আস্তে
কয়েকদিন আগে সুইস ব্যাংক সহ কয়টা বিদেশি ব্যাংকে গিয়া কইলাম ১ কেজি সুখ দেন ভাই। বেটারা কইলো আমাগো কাছে যত সুখ ছিল সবতো আপনেগো দেশের গরীব মানুষেরা নিয়া গেছে।
তাইলে কি করা যায় ভাই, আমার অন্তত ১কেজি সুখের খুব বেশি দরকার, রাইতে ঘুম হয়না
৮৬।
রাশেদ সাহেব অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। আস্তে আস্তে তার অজান্তে দুচোখ টলমল করে উঠল। এইটুকু ছেলে বলে কি? তার কণ্ঠ চেপে আসল। মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। মনি দেখ, এইটুক ছেলে বলে কি? মনে মনে মনিকে ডেকে এনে দেখিয়ে বললো দেখ
৮৫।
কাজের শেষে উপরে এসে দেখে প্রবীণ বসে সিগারেট টানছে। নেপালি বলে ওরা কেও যেমন একে কাছে টানে না তেমনি এও ওদের সাথে তেমন মিশতে চায় না। কাজের শেষে কখনও নিচে যায় শুধু টিভি দেখার জন্যে। কিছুক্ষণের জন্যে যায়, খবর দেখেই চলে আসে।
-আরে ভাইয়া
৮৩।
পরের অফ ডেতে সকালে উঠে নাস্তা সেরে দেরি না করে বেরিয়ে পরলেন অক্সফোর্ডের উদ্দেশ্যে। চেনা পথ, সেদিন যেখান থেকে গিয়েছিলেন সেই ভাবে এসে অক্সফোর্ড থেকে লন্ডনের রিটার্ন টিকেট কিনলেন। ফিরবেন আগামীকাল। গত সপ্তাহে ফিরোজের সাথে কথা হয়েছে। ও বলেছে সরাসরি ব্রিকলেন যেতে। ওখান থেকে
৮২।
এর মধ্যে আসাদ সাহেব চলে গেছে। তার জায়গায় প্রবীণ নামে নেপালি এক ছেলে এসেছে। প্রবীণ আসাতে নুরুল ইসলাম নিচের রুমে চলে গেছে। এখন তার রুম মেট প্রবীণ। অল্প বয়সের ছেলে। লেখাপড়ার নাম করে এদেশে এসেছে কিন্তু কলেজে নাম লিখিয়ে রেখে কাজ করে যাচ্ছে দুই
৮১।
এর মধ্যে তিন দিন অফ গেছে। অপেক্ষায় থেকেছে পরবর্তী অফের দিন মেইল পাবে। তার নয়ন মনিরা সবাই চিঠি লিখবে, তার মনি লিখবে। প্রতি অফের দিনে সাত দিনের প্রতীক্ষিত মেইলের আশায় লাইবেরিতে গেছে। বাড়ি থেকে পাঠানো মেইল মন দিয়ে পড়েছ। এক বার, দুই বার, কয়েক
৮০।
আজ শুক্রবার। বিকেলে রেস্টুরেন্ট খোলার পর থেকেই শুরু হলো সেফ এর চিৎকার চেঁচামেচি। রাশেদ সাহেব রীতিমত ভয় পেয়ে গেলেন, এ কয়দিন তবুও কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু আজ সবই কেন যেন ভুল হচ্ছে। এখানে ভুল ওখানে ভুল, আর সেই সুযোগে সেফ এর অশ্লীল গালাগালি। রাশেদ