এ এক অদ্ভুত হত্যাযজ্ঞ!
এ শহর যেন আজ এক মাংসাশী শহর!
প্রতিনিয়ত এখানে রক্ত, মাংস, হাড়, মাথার খুলি পড়ে থাকে।
বিকট বিস্ফোরণের সাথে সাথে এখানে শুরু হয় মৃত্যুর উম্মাদ নৃত্য,
অস্ত্রের বজ্রধ্বনিতে এখানে বেজে যায় বিস্ফোরণের গান।
এ যুদ্ধে সবাই জয়ী হতে চায় এবং জয়ের
মৃত্যু এমন একটা শব্দ এই শব্দ শুনে যারা ভয় পায় তারা আসলেই মৃত এমনকি তারা নিজের জীবন নিয়ে নিজেকে বিভক্ত রাখে। যখন আমরা জন্মগ্রহণ করেছি ঠিক তখনই আমাদের মৃত্যুর কারণ ও সময়ও লেখা হয়ে গেছে । শুধুমাত্র আমাদের না জানার মধ্যে আছে আমরা কোথায়
কানের ঠিক কিছুটা উপরে একটা পিস্তল তাক করা,
সামনে সাজানো রয়েছে বিশাল এক পেটোয়া বাহিনী,
পিছনেও পড়ে আছে রাজ্যের তামাম রক্ষি বাহিনী;
কারনতো একটাই জনতাকে ওদের মতো
করতে না পারা।
গণতন্ত্র নামক এক দিল্লিকা লাড্ডু ঝুলিয়ে রাখা সামনে,
একনায়কতন্ত্রকেও বৈধতা দিয়ে ; নাম তার আজ গণতন্ত্র,
স্বার্বভৌমত্ব ভেবে ছিনিয়ে নিয়ে দেখি
আমাদের পা আছে, অথচ !
আমাদের সবগুলো পা একত্রিত হয়ে আজ মিছিলে হাঁটে না।
আমাদের হাত আছে, অথচ !
আমাদের সবগুলো হাত একত্রিত হয়ে এখন আর গর্জে উঠেনা।
আমাদের মুখ আছে, অথচ !
আমাদের সবগুলো মুখ একত্রিত হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না।
আমাদের মাথা আছে, অথচ
মেয়েটির পিরিয়ডের আজ দ্বিতীয় দিন। তার আজকে পায়ে হাঁটার মতো শক্তি নেই, তার ঊরুগুলো পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে। মেয়েটি পেটের ব্যথা ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে এবং সেই যন্ত্রণায় মেয়েটি কাঁদছে। মেয়েটি দাঁতের উপরে দাঁত দিয়ে প্রচন্ড ব্যথা সহ্য করে আছে। ফার্মেসি ভর্তি মানুষগুলোর
আমি বলেছিলাম ভালোবাসার পথ কষ্টের হয়;
সে সুদীর্ঘ পথে তুমি আমার পাশে হাঁটতে পারবেনা,
তুমি একটা সময়ে ঠিকঠাক বদলে যাবে।
ভালোবাসার পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে অজস্র কাঁটা
তাই তুমি অন্য পথ ধরে হেঁটে যাবে একটা সময়।
আজ ভালোবাসার পূর্নতায় ভরিয়ে দিলে ঠিক,
কিন্তু আগামীকাল আজকের মতো
কোন এক আততায়ীর হাতে একদিন আমি খুন হয়ে যাবো।
পাথরের আঘাতে থেঁতলে দেয়া হবে আমার মুখমণ্ডল ;
যেন পরিচিত স্ব-জনরা আমাকে চিনতে না পারে।
পাশেই কোথাও পরে থাকবে জিহ্বার কাটা অংশটুকু ;
কারন একটাই যে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম।
আমার হাতটা খুঁজে পাওয়া যাবে কোন এক ডাস্টবিনে ;
কারন এই
প্রশ্ন করা মানা,
এ যেন এক আজব কারখানা;
প্রশ্ন যদি করো তবে হারাবে ঠিকানা।
প্রশ্ন করা মানা,
দেখবে শুধু বলতে কিন্তু মানা;
বলতে যদি চাও জেল হবে ঠিকানা।
প্রশ্ন করা মানা,
এ কিন্তু এক আজব জামানা;
প্রশ্ন যদি করো তবে তুমি ভালো না।
প্রশ্ন করা মানা,
আইন অন্ধ চোখেও দেখেনা;
আইনের কিন্তু
তার চেয়ে বরং আমাকে নিসিদ্ধ করো,
আর আমার কবিতাগুলো বাজেয়াপ্ত করে দাও ;
আমার কাটা মাথার মূল্যটাও নির্ধারণ করে দাও ;
সাথে রাষ্ট্রর প্রান্তর জুড়ে হুলিয়া জারি করে দাও।
তার চেয়ে বরং আমাকে মিথ্যা মামলা দাও,
রাষ্ট্রের অলি গলিতে আজ তল্লাশি চৌকি বসাও ;
আর রাষ্ট্রের সব রক্ষি বাহিনীকে পাহারায়
পুরোনো চুক্তিটার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে,
তাই পাওয়া না পাওয়া জলাঞ্জলি দিয়ে
পথচলা শুরু নব উদ্যমের নতুন চুক্তিতে।
বেহায়ার মতো তাকিয়ে আছে সকালটা,
এ যেনো প্রেয়সীর জন্য প্রিয়’র অপেক্ষা
আর মন ভোলানোর হরেক স্বপ্নের কথা।
পুরোনো চুক্তি ভেস্তে নতুন চুক্তি হয়েছে ,
স্বপ্ন আর সুখে’রা চাপা বাকির খোলসে
নব উদ্যমে সেও আজ খোলস
এই যে আজও আমি বেঁচে আছি
ঠিক যেনো এক লাশের মতো বেঁচে আছি
চারপাশে শকুনেরা ঘুড়ছে তবুও বেঁচে আছি।
এই যে আমি আজ যা কিছু বলছি
সেতো শুধু মাত্র মূকাভিনয় করে চলেছি
অন্যের দেয়া খুৎবা নিয়ে আলোচনাটা করছি।
এই যে আজও হেঁটে বেড়াই যে শহরে
জীবন্ত লাশের মর্গ আজ সেই
পৃথিবীর দেয়াল জুড়ে ছড়িয়ে দাও শব্দের গ্রাফিতি
প্রতিবাদী শব্দতে ধ্বংস করো সকল অন্যায় দূর্নীতি,
মনে রেখো তুমিই চে ফিদেল কাস্ত্রো কিম্বা অরুন্ধতি।
দগদগে ঘা এর মতো আজ পৃথিবী হচ্ছে সংক্রামিত
স্বাধীনতা আর ন্যায় বিচার শব্দগুলো আজ নিস্তব্ধ,
মুখ থুবড়ে পৃথিবীটাও পরে আছে বৃদ্ধকালের মতো।
সারা বিশ্বের নোংরা সিস্টেমটা দেখে জনতাও
অতীতের চোখে রাত ভেঁসে যায়,
সুখের মুহূর্তগুলো তখন ঢাল হিসেবে সামনে
এসে দাঁড়ায়;
ঢেউএর সাথে লেগে থাকে সমুদ্র উপত্যকার
সূর্যোদয়;
আকাঙ্ক্ষারা প্রবাহিত হয়; বায়ুও সময়ের
ডানায় উড়ে যায়।
স্মৃতির বারান্দা জুড়ে শুধু তুমি,
চোখের জলের আর্তনাদ সবার মতোই হয়তো
দেখেছো তুমি;
হৃদয়ের আর্তনাদ না লোকজন দেখেছে, না
দেখেছো তুমি;
তোমার স্মৃতিরা সরীসৃপের মতো প্রতিনিয়তই
আমাকে