কিছুটা অন্তর্মুখী আমি প্রায় পঞ্চাশে দাঁড়িয়ে আছি
এখনও শামুকের মতোন চিরায়ত খোলস বন্দি,
যেই পথ দিয়েই হেঁটে যাই সেই পথই চিনি না
কত প্রেম কতোবার নিরবে এসে এসে ফিরে গেছে,
আমি এমনি অচল কখনও প্রেমিক হতে পারিনি!
কখনও সখনো নিজেকে জড়বস্তু ভেবে বুনিয়াদি
আত্মতৃপ্তিও কম নিইনি, এরও বেশ কিছু
গল্পহীন নদীটার কথা অনেক অনেকদিন বলা হয়নি
সে এখন না নদী আর না নারী
অথচ একদিন সে কতো লাবণ্যময় কবিতা ছিলো!
শীতলপাটির মতো প্রাণের উপর প্রাণ বিছিয়ে দিতো
তার শব্দেরা মৌমাছির আজন্ম গুনগুন হতো
সেও ছিলো টুকটাক কোনোএক অলৌকিক জীবন;
সেখানেও তামাশার রাত কোনোদিন শেষ হতো না
অবলীলায় হারিয়ে যেত
আজ আবার একটা তরতাজা প্রেম এইমাত্র বাসি হলো,
এখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নতুন প্রেমিকা,
আমিও স্মিতহাস্যে ওদের অদল-বদল করে নিয়েছি;
যেভাবে অদলবদল হয় নতুন-পুরাতন লাল-নীল
কোর্তা ঠিক ঠিক সেভাবে; তবে এবার সে ধরা খাইছে,
ধরা খাইছে পলাতকা বেদুইন বেদিল সময়ের হাত ধরে!
বলছিনা গেলো
কিছুক্ষণ হয় একটা স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন দেখেছি
তখন রাত যেমন নেই, তেমনি দিনও নেই
অক্ষরেখা বরাবর দিনবদলের তাবিজ কবচ আছে,
অথচ আমার আসক্তিহীন স্বপ্ন বেচারার
কোনো পুংলিংগ যেমন নেই, তেমনি স্ত্রীলিংগও নেই!
কিছু কিছু কবিরাজি ব্যথা আতশবাজির চেয়ে
কোনোঅংশে কম নয়, ওদের যতোই গোঁয়ার
গোঁফের আড়ালে লুকিয়ে রাখি না কেনো
মরিচ
রাস্তার একপাশে মাথা নিচু করে হাঁটছিলাম
আমার সাথে হাঁটছিল একাকি ষোড়শী চাঁদ
হাঁটছিল আদমসুরত, সপ্তর্ষিমণ্ডল ওরাও!
কেউ কোনো কত্থা বলছিলাম না না আমি
আর না ওরা; প্রহরের পর প্রহর শুকোয়
আচানক কথা বলে উঠে একটি গাছের গোড়া!
ইদানিং পাতাঝরার মতোন মানুষও ঝরে যায়
আকস্মিক উল্কাপাতের মতোন
একবার মাটিতে গড়ালে আর
বাংলা সাহিত্যের কথা বললেই যে নামটি সর্বাগ্রে আসে তিনি আর কেউ নন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিক বললেও অত্যুক্তি হবে না। যিনি “গুরুদেব”, “কবিগুরু” “বিশ্বকবি” ইত্যাদি অভিধায় ভূষিত। ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ,
ক’দিন ধরে আমার সুখ যেনো উপচে উপচে পড়ে
আমিও কম না পরিত্যাক্ত একটি ডায়েরির পাতায়
লুকিয়ে রাখছি সেই উপচানো জলের খতিয়ান,
তবুও সবাই বেসুরো জানতে চায়, কেমন আছো?
আমিও সংকোচহীন বলে দিই তাবত বয়ান—
বলি, বেশ ভালো আছি আছে দুই পাটাতনে পা
কেবল অন্তক্ষরা গ্রন্থিটার খবর কাউকে
এখন বেশ আছি আঁতুড় ঘর, ক্ষুধা আর শীত
শূন্য হাত সকরুণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে
আর বাজখাঁই গলা বেসুরো হাঁকে
এ জীবনের নিবেদন; এখন মানুষগুলো
যেনো কেমন কেমন, কেউ তাকিয়েও দেখে না!
ওই পাড়ায় গিয়েছিলাম জ্ঞান দর্শন; সেখানেও
ঈশ্বর জেগে জেগে ঘুমিয়ে আছে; কামলা আর
আমলা ওরাই এখন বেশ
একদা নিস্তব্ধ রাত্রির কাছে কাদঁতে শিখেছি
কত শামুকের পা সেদেঁছি, কত ঝিনুকে পা কেটেছি
তবুও একটা কবিতা লিখতে পারিনি!
অথচ একদিন শতরুপে ভালোবাসা এসেছিলো
যাত্রীর ভিড়ে নৌকোয় আমার ঠাঁয় হয়নি
এখন হাজার রুপে রুপালি ভালোবাসা আসলেও
আমার কোনো পরওয়া নেই কেননা
এখন আমি কবি নই, পথের মাঝেই পথ খুঁজি।
এখন
একদিন তোমাকে কবিতার কথা বলেছিলাম
বলেছিলে, প্রীতিলতা, সূর্যসেন, তিতুমীর ওদের বলো;
আমি কোনো কিছু বলতে পারিনি!
বলতে পারিনি, ঠাট্টা ছলে তুমি সেদিন যথার্থ বলেছিলে
প্রত্যেকটি কবিতাই এক একটি জ্যান্ত বিপ্লব !!
বলতে পারিনি আমার কাছে ভালোবাসা আর বিপ্লব
একই ফুলে গাঁথা মালা!
কবিতা কোনোদিন কালোকে সাদা বলে না
কবিতা কোনোদিন হেমন্তকে
বিশ্বটা যে কাঁপছে এবার
কাঁপছে ক্রিকেট জ্বরে
ব্যাটার আর বোলার এরা
যাচ্ছে সবাই লড়ে।
চার হাঁকছে ছক্কা হাঁকছে
হাঁকছে গলার স্বরে
জান তুমি কাপটা এবার
উঠবে কাহার ঘরে?
নানান দেশের নানা মানুষ
মাতছে সবাই খেলায়
ব্যাটে-বলে কাটছে সময়
সাজছে ক্রিকেট মেলায়।
এই কাপটা বাংলাদেশের
কেউ নিও না ভাগ
টাইগাররা বোলিং ব্যাটিং এ
ভাঙ্গবে সবার দেমাগ!
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৯ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
আগামী বছরের সম্ভাব্য খাদ্য সংকট এবং খাদ্য নিরাপত্তা এখন টক অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের ছোট-বড় সকল রাষ্ট্র এ বিষয়ে সোচ্চার এবং শংকিত। আর শংকিত হওয়াটাই একান্ত স্বাভাবিক। কেননা মারাত্মক খাদ্য সংকট মানেই দুর্ভিক্ষ। আর দুর্ভিক্ষ মানেই কোটি কোটি প্রাণহানি। কেবল
অনেকদিন ধরেই ঘাড়ধরা শব্দে কবিতা লিখি
গাছ থেকে বেলের বদলে তাল পড়লে যেমন
হাঁচি আর কাশি একসাথে বেরোতে চাইলে যেমন
আমার কবিতার বেখাপ্পা শব্দেরাও তেমন!!
তবুও কবিতা লিখি লেজ আর গোবর মাখামাখি
আমি ঋণগ্রস্ত অকবিবয়ে বেড়াই শব্দের দায়,
এভাবেই বেড়ে চলছে অপরিশোধিত লেনদেন
যে কেউ ইচ্ছা হলেই স্বত্তাধিকার কিনে