বুধ থেকে শুক্র, রবি থেকে মঙ্গল-
আজ দেখা পাইনি তোমার।
আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা খাইনি কিছু;
আজ দেখা পাইনি তোমার
আজ শনি, আজ একাদশী তিথি।
ঘুমুচ্ছো তুমি-
রেগে নেই, ক্রোধে নেই-
অল্প একটু ভালো নেই,
ঘুমন্ত মানুষের উপর রেগে থাকতে নেই।
বুকের মধ্যে মাটি-
যার
পরবর্তী প্রেমিকা আমার,
খুব সৌভাগ্যবতী, খুব কপালী আর পয়মন্ত হবে।
পরবর্তী প্রেমিকা’কে খুব করব নিপীড়ন আর স্বৈরশাসন –
নির্যাতন করব – শাসন করব
বারণ করব – হরণ করব।
মারাঠি নথ আর ঘুঙুর বেঁধে
বন্দি করব রুদ্ধ প্রেমে;
মেদ গলা দুপুর গরমে-
শোনো ছেলে, শোনো গুম হয়ে যাওয়া প্রেমিক- তোমাকেই বলছি,
আমার প্রেমিকাটিকে বড্ড ভালোবাসি আমি
– কীভাবে বুঝাই কতটা ভালোবাসি!
পার্থিব দুনিয়ার অপার্থিব কিছু উদাহরণ দেই- যদি বুঝতে পারো!
একজন বাবা যেরকম ভালোবাসে তার কন্যাসন্তান’কে,
কিংবা ধরো একজন
কেউ একজন একটা চিঠি লিখুক
একটা পৃষ্ঠা নিক সে টেনে-
যেভাবে কেউ খুব কাছে টানে; হ্যাঁচকা-টানে আপনজনকে,
ভাঁজ করুক ডানে বামে,
যেমন ভাঁজে বই’এ জন্মে ময়ূর পালক।
তাথাপি,
যদি কিছু লেখবার না থাকে
তবে যেন খালি রেখেই সমাপ্ত করে চিঠি।
ও’টা আমা পর্যন্ত পৌঁছলে ছোটবেলায় শেখা খালিঘর
একই ভুলে;
একই কারণে
বিধিনিষেধ মেনে চলে-
থেকে যাওয়া আজীবন যেভাবে ছিলাম।
তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল প্রেমিকা,
দর-কষাকষি করে কতটা প্রেম তুমি নিজে পাবে
আমাকেই বা কী দেবে?
সংগ্রামে না হয় স্বাধীনতা আদায় করে নেয়া যায়,
কিন্তু পরাধীনতা? তা’কে কীভাবে করব আদায়?
মৃত্যু শব্দটিকে নিয়ে মানুষ ও ঈশ্বর দু’জনেই এত বেশী বালখিল্যপণা করেছে যে মানুষ আর এখন মরতে ভয় পায় না। মৃত্যুর মত এরকম আরও একটা শব্দ আছে, “ভালোবাসা”। ভালোবাসাকেও আজকাল সবাই এড়িয়ে চলে,
কবিতা|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৬৭ বার দেখা
| ৭৮৫ শব্দ ১টি ছবি
প্রথম পর্ব এখানে
রেস্টুরেন্ট থেকে যখন বের হয়েছি, বাইরে তখন বেশ কম গাড়িঘোড়া। কেবল সন্ধ্যা হয়ে এসেছে বলেই হয়ত সবাই যার যার মত ঘরে ছুটে গেছে, আর যার ঘর নেই সে গেছে অপরের কাছে৷
আমার আর অমিত
সোজাসুজিই বলি, একজন মানুষকে ভালবাসতাম। খুব বেশী ভালো বাসতাম। কীভাবে বললে বুঝবেন খুব, খুব এর গভীরতা কীভাবে বুঝাই? সবাই বলে প্রেমিকার চোখে গভীরতা থাকে, আমি নিজেকে আয়নায় দেখেছি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, আমার চোখে কোনো গভীরতা নাই। চোখের পাপড়ি এলোমেলো, চোখ
এই যে তোমাকে ছুঁয়ে আমার নতুন জন্ম হয় রোজ রোজ, তুমি মায়ের মত এক নারী;
এ তোমার নব-মাতৃত্ব!
যুগপৎ এই জন্ম আমার, এ জন্ম তোমার।
তুমি এক প্রেমিকা মাতৃ-জন্ম নাও,
আমি নেই সেই মানবজন্ম; যা পূর্ণ করে তোমার মাতৃ-প্রকৃতি,
যুগপৎ এ মাতৃত্ব
কখনো দিনের শেষে যখন মনে হয় এসেছে উপযুক্ত সন্ধ্যা –
অসীমে তাকাতে ইচ্ছে হলে চোখ লেগে থাকে আকাশের নীলে;
সমগ্র নীল যেন শোষণ করে নেই নিজের অভ্যন্তরে
যেন নেভী ব্লু জামা গায়ে বহুদিন পরে কেউ এসেছে স্কুলে হাজিরা দিতে।
হঠাৎ তারা খসে যেতে দেখলে-
বুকে হাত
মেয়ে আমি তোমার তেমন প্রেমিক নই
যার কাঁধে তুমি হাত রেখে পাবে নির্ভরতা।
আমি তোমার সেই ভালোবাসা নই
যার বুকে মাথা এলিয়ে পাবে পরম প্রশান্তি।
একই মায়ের গর্ভ ভাগাভাগি করে নেয়া আমি তোমার ভাই নই
যা’র সাথে তোমার নাড়ীর বাঁধন।
আমি তোমার পিতার মত নই-
যা’র আঙুল