জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে।
যতদিন থাকবে বাংলাদেশ,
ততদিন থাকবে তোমারিই নামের রেশ।
যতদিন থাকবে বাংলার গগনে মুক্ত চন্দ্র সূর্য বহমান
ততদিন কীর্তি থাকব তোমার জাতির জনক,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যতদিন থাকবে বাংলায় লাল সবুজ পতাকা
লাল দেখলে মনে জাগে,
চোখে আমার রঙিন স্বপ্ন
সাজাবো কেমন করিয়া
সুখ দুঃখের জীবন সংসার
কাটবে কেমন করিয়া।
জগৎ সংসার ভীষণ কঠিন
সুখ দুঃখের চক্র যেমন
পালাক্রমে দেয় ধাওয়া।
সংসার হল সমরাঙ্গন
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ
সমর যেমন ধ্বংস করে
অসুর দস্যু হায়েনা।
সংসার হায়েনার কবল থেকে
বাঁচতে
অবাক পৃথিবীর অবাক মানুষ
মানুষ নাকি ওরা ফানুস?
ধর্ম বলে মানুষ আশরাফ
তার কাজ কেন আতরাফ?
পৃথিবীতে যত মানুষ আছে
তত প্রকারই ধরণ রয়েছে।
মানুষের বাহ্যিক রুপ ভালো
অভ্যন্তরীণ রুপ বেশ কালো।
গড়ার বেলায় নেই তারা ধ্বংসের দিকে আছে
খারাপ করার জন্য মানুষ ঘুরে ঘুরে
মাগো একটি ছবি আকব
অনেকক্ষণ বসে ভাবছি
রং তুলি হাতে আছে
কি ছবি আকব
ভেবে পাচ্ছি না।
অকস্মাৎ আমার মনে পড়ে
১৯৪৩ সন।
মাগো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজরা বাংলাকে
হেলা করেছে
সেই হেলার কারণে বাংলায় নাকি দুর্ভিক্ষ হয়েছিল
তখন নাকি বাংলার অলিতে-গলিতে
এমনকি রাজপথে ফুটপাতে
আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই প্রেমিক প্রেমিকা
নেই কেউ খল।
আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই ফুলকে ভালোবাসে
কেউ পদতলে নিষ্পেষিত করে না ফুলকে।
আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই পাখিকে রক্ষা করে
কেউ মারে না
এই গগন নক্ষত্রের তলে
আছে অজস্র লোকালয়
এই পৃথিবীর অজানা দীর্ঘ পথ
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে
দূর্গম দূর্ভেদ্য অন্ধকার
আমি অতিক্রম করতে চাই
দেখব আমি পৃথিবীর অপার
সৌন্দর্য ঘুরে ঘুরে
প্রকৃতির সম্ভারে প্রবেশ করে
কখনো উঠব পাহাড় পর্বতে
কখনো ও বা পাখির ডানায় ভর করে
দেখব অপার সৌন্দর্য
একদিন আমি ফুলজোড় নদীর তীরে বসে
নিঝুম নিরালায়ে একাকি শৈশবের স্মৃতির খোঁজে
কাটিয়েছি অজস্র সময় অতীতের কথা ভেবে,
এখানেই আমি হারিয়ে ফেলেছি
আমার শৈশবের সোনালী দিন গুলো।
করেছ স্নান ভোজ এই ফুলজোড় নদীর জলে
আর কত হারিয়েছে আমার সুন্দর মূহুর্ত গুলো,
শৈশবের স্মৃতি ডায়েরি খুলে ছিড়েছি
এক সাগর রক্তের দামে
কেনা বাংলা
চাইলে পারে না কেউ
করতে হামলা।
বাংলা আমার মা বোনের ইজ্জতের
দামে কেনা
চাইলে থাকতে পারে না বাংলায়
কোনো হায়েনা
বাংলার মাটি শহীদর
রক্তে ভেজা
পারে না করতে চাইলে
যখন যে যা।
লাল আর সবুজের পতাকা উড়বে
বাংলায় যতদিন
আবার যে দিন দেখা হবে তোমার সাথে
কোনো জ্যোৎস্না শোভিত রাতের গভীরে
অথবা ভোরের দোয়েলের মিষ্টি গানে
হয়তো বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সময়
যখন তুমি উড়বে বুনো শালিকের দলের সাথে
আমি উড়ব তোমার মিলন পাওয়ার আশায়
তোমার স্পর্শ পাওয়ার জন্য গুনবো প্রতীক্ষার প্রহর
গোলাপ ফুলের সৌরভে মুখরিত হব
আমি তো উপন্যাসিকের সেই উপন্যাসটা
যেথায় উপন্যাসিক সযত্নে লেখে
সুখী মানুষের সুখের কথা
আর দুঃখী মানুষের দুঃখের কথা।
আমি তো প্রেমিকার অপ্রয়োজনীয়
ডায়েরির সেই কষ্টের পাতাটা
যে ডায়েরির পাতার নেই কোনো প্রয়োজন
শুধু অবহেলা আর অবহেলা।
আমি তো নিঝুম দুপুরে তৃষার্ত পথিকের
জল পানের
আমি তো কোনো কিছুতে করি না ভয়
অন্যায়কারী পদতলে পিশায়ে মারি
সমালোচনা করি সম্মুখে
যদি আমার মাথায় মেশিন গান লাগানো থাকে
করি না তো আমি এই ধরার শত্রুর ভয়
যদি তাতে আমার মৃত্যু লেখা না রয়।
করি আমি এটাই ভয়
না যেন মৃত্যু অতি সহজ
আমার জীবন পত্রবিহীন বৃক্ষের শাখের
ফুল যেমন বেমানান তেমন
কষ্ট দিয়ে জর্জরিত একটা কাব্য কথা
সেটায় তো আমার জীবন।
আমার জীবন কোকিল পাখির মতো
যার নেই স্থায়ী কোনো আবাসন
বৃক্ষের শাখে শাখে ঘুরে বেড়ানোর মতো
সেই ভাসমান দৃশ্যটা আমার জীবন।
আমার জীবন তো মৃত নদীর
বলতে পারো সোনার বাংলা এমন হবে কবে?
কামার কুমার চাষা শ্রমিক সম মর্যাদা পাবে।
দূর্নীতি আর ঘুষের খেলা বাড়ছে সারাবেলা
এসব কিছুর বড় কারণ আদর্শের অবহেলা।
খুনখারাবি রাহাজানি বাড়ে কমছে না তো সমাজ আরো
স্বদেশীয় সংস্কৃতি পালন কর বিজাতীয়টা ছাড়ো।
যানজট আর পরিবেশ দূষণ মুক্ত
এই যে শিশু
ভাবছ কিছু
তাকিয়ে গগনে প্রাণে
ও পথিক ভাই
এই গগনের তারকারাজির হিসাব কি,
এই ধরার কি কেউ জানে
আমি তো জানিনে বাপু।
শোন শোন পথিক ভাই বলি তোমারে
সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায় শূন্যে কি করে
এই প্রশ্নটি রইল পথিক ভাই তোমার