জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে।
* চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না ।
* আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।
স্বপ্ন বিহীন জীবন
সৌরভ হীন পুষ্পের ন্যায়।
যা সহজে কেউ গ্রহন করে না,সদা বর্জনীয়।
যা জীবনের দীর্ঘ পথের বিচরণকে
কঠিন থেকে কঠিনতর করে।
স্বপ্ন বিহীন জীবন
নদীর স্রোতে খড়কুটোর মতো উদ্দেশ্য বিহীন ভাসতে থাকে,
যা খুজে পায় না কূল বা ঠাঁই।
তাদের জীবনটা আবার-
বসন্ত দূতের ন্যায়
শিক্ষাকে অবহেলা করো না, সর্বনাশ হয়ে যাবে
শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি,
সভ্যতার শিখরে আহরণ করতে পারে না।
মনোযোগ সহকারে পড়ো। পড়ার মর্মার্থ বুঝে পড়ে
গবেষনা করে করে পড়ো। পড়ো, পড়ো এবং পড়ো।
দেখবে সফলতা আসবে।
ব্যর্থতার কালো হাত স্বপ্নকে ধ্বংস করে।
জানি তোমার পড়তে ভালো লাগেনা
৪৪/৪৪/৪২ ত্রিপদী স্বরবৃত্ত ছন্দ
জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত ডানা
ইচ্ছে খুশি উড়তে মানা।
প্রাণে শুধু কষ্ট,
মনে জাগে কত আশা
বুকটা ভরা ভালোবাসা
স্বপ্ন গুলো নষ্ট।
সুখের সাথে দুখের সাথে
চলতে হয় যে দিনেরাতে।
ক্লান্ত পথিক হয়ে,
প্রাণে আসে নানা বাধা
নোনা জলে হয় যে কাদা
দুখের তরী বয়ে।
ঘাত
অক্ষর বৃত্ত ছন্দ ৮৬
জ্ঞান আহরণ করো নাও ভালো শিক্ষা
সত্যের পথেই চলো এটা হবে দীক্ষা।
হারিলে পেয়ো না ভয় করো তবে চেষ্টা
সফলতা আসিবে তো চেষ্টার শেষটা।
জ্ঞান অর্জন করেই ছাড়ো তারই আলো
জ্ঞানের আলোতে যাবে পৃথিবীর কালো
কুপ্রথা দূর করিতে সবে মিলে চলো
শিক্ষা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা
৮৬ অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
যাকে আমি বাসি ভালো সদা পড়ে মনে
হোক সে তো যত কালো নিখিল ভুবনে।
নব নব স্বপ্ন আশা দিতে প্রিয়া তুমি
তারই জন্য আমি তবে তোমাকে তো চুমি।
হাতে হাত রেখে প্রিয়া ঘুরে কত বেলা
মন অভিলাষে মোরা খেলেছেি যে খেলা।
বলেছি বাঁধিবো ঘর দিয়েছিলে আশা
বলেছিলে হবে না
রফিক শফিক সালামদের জন্য বাঙালি
পেল মায়ের মুখের ভাষা,
সেই ভাষাতে মিটায় বাঙালি তাদের
নিত্য মনের আশা।
বাঙালির স্বপ্নকে ভেঙ্গে দেওয়া ছিল
পাকিস্তানীদের কাজ,
জঘন্য এই কাজের জন্য পাকিস্তানীরা
পায়নি তো কভু লাজ।
অন্যায়ভাবে বাঙালির উপর পাকিস্তানিরা
চালিয়েছে মেশিন গান,
রফিক শফিক সালামেরা নির্ভীক ছিল বলে
ভাষার
আমি আজ শূন্যতায় পূর্ণতা খুঁজি
নিরাশার মাঝে দেখি আশার ক্ষীণ আলো।
আমি বেদনার কবি, বিরহের কবি
আমার হৃদয়ের অন্তঃপুরে দুঃখকে
অতি সমাদরে পুষি।
নিজের বক্ষ ভেদে বৃক্ষ যেমন মানুষেরে করে
পুষ্প দান, আমিও আমার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে
পেয়েছি শুধু অপমান।
আমি নিস্তব্ধ নির্বাক কবি
কল্পনায় আঁকি প্রিয়জনের ছবি।
আমি
৬৬৬২
৬২
মাত্রা বৃত্ত ছন্দ
কান নিলো চিলে তাই ভাবে দিলে
খুঁজে শেষ সারা পাড়া,
খুঁজি দিন রাতে বহু লোক সাথে
কান হলো মোর হারা।
নানা স্থানে খুঁজি নাই আসে বুঝি
কেঁদে ভাসে মোর বুক,
হেনকালে ভাই মোর কান নাই
দেখাব ক্যামনে মুখ।
ছুটি চিলে পিছু নাই বলি কিছু
সাথে মোর
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
স্মরণ করি প্রভু তোমায়
দিবানিশি ভোরে,
তোমার কৃপা পাওয়ার জন্য
থাকি তোমার দোরে।
তোমার বিধান মানি প্রভু
আমি প্রতিক্ষণে
বিচার দিনে তুমি বিনে
নেই কেউ আমার সনে।
তোমায় খুশি করতে প্রভু
চলি ভালো পথে,
খারাপ পথে চলে গেলে
কষ্ট জীবন রথে।
তোমার বিধান মানলে প্রভু
জীবন ধন্য হবে,
তুমি হলে দয়ার
৮৬ অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
বিরহ অনলে দগ্ধ ভুল নাই করি
অন্যায়ের পথ ছেড়ে সঠিকটা ধরি।
শেষ বিচারের দিনে ক্ষমা করো মোরে
নিত্য প্রভাতে প্রার্থনা বিধাতার দোরে।
পুলসিরাত কেমনে হবো তবে পার
যা হীরার চাইতে যে অতি সূক্ষ্ম ধার।
প্রভুর হুকুম মতো চলি তবে ভাই
প্রভুর মতো দরদী আর কেউ নাই।
আমরা শান্তি চাই
আমরা ভারতের অধিকার বঞ্চিত নির্যাতিত কৃষক জনতা
আমরা অধিকার চাই,
শান্তি চাই,শান্তি।
আমরা উইঘুরের নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়
আমরা নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই, বাঁচতে চাই
শান্তি চাই, শান্তি।
আমরা কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়তে চাই
আমরা মানুষ হিসেবে অধিকার চাই,
শান্তি চাই,শান্তি।
আমরা কাশ্মীরের নিরীহ জনগণ
যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই, শান্তি।
পূর্ণিমার রাতে জোনাকির ছুটে চলার