অনেক আগের লেখা, একদম সেই প্রথম দিকের। নাটকীয় ভাবে লেখা। তখন ওর কম বয়েস, মেয়ে হয়নি। পাহাড়ের সরু পাকদণ্ডী বেয়ে গাড়ি চালিয়ে একদম টপে ভিসিটর এরিয়ায় ওঠা। এখনও সে চাইলে পারে, কিন্তু আমরা দিই না। আলাস্কার একই রকম রাইড প্রায় আট ঘন্টা, বাস ট্যুর নিয়েছিলাম।
যশোমতির পাহাড়ি উপত্যকায় আমি প্রথম
দেখেছিলাম তোমার চোখে আমার সর্বনাশ,
সেই থেকে পাহাড় আর আমার ভাল লাগে না।
আমি তাই ছুটে চলি আটলান্টিক থেকে
প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রতটে, ভেসে যাই
বিচ্ছিন্ন কিছু লক্ষ্যবিহীন জলজ উদ্ভিদের মত।
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের শীর্ষে
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বন্ধ করি চোখের পাতা,
হাত বাড়িয়ে দিই তোমার হাতের স্পর্শকামনায়।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সুবিস্তীর্ণ বর্ণবৈচিত্রময়
গিরিখাত নব্যতা আনে আমার ভাবনায়,
খুঁজে পাই তোমার মনের বিপ্রতীপ ভাবনার দোলাচল।
অবশেষে জ্যামাইকার সমুদ্রের বিশালতায়
নতুন করে তোমাকে খুঁজে পেলাম,
তুমি মিশে আছ প্রতিটি বালুকনায়, প্রতিটি জলকণায়।
অহল্যার তপস্যা সফল হলো তোমার পায়ের স্পর্শে
মৃন্ময়ী শিলাপাথরের চিন্ময়ী রূপদানে,
এইরূপে সার্থক জীবন ফিরে গেল যশোমতির উপত্যকায়।
অনিন্দ্য শব্দ সম্মিলনে যেন অনুভূতির বাঙময়। অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু। শুভ সন্ধ্যা।
খুব সুন্দর লেখা I
বেশ ভাবনাময় কবি দিদি