তোমার বিষাদগুলো কাজল করে
চোখে এঁকে নিলাম চেয়ে দেখোনা
একদিন একটা সুন্দর আইভিলতার
ফাঁক দিয়ে দেখে নেব তোমার হাসি
জলেতে ভেসে যায় যে হাঁসের পালক
তার উপরে একটা করে প্রিয় আখর
যখন ঝুম বর্ষায় ভাসবে বকুলতলা
তখনি একমুঠো স্বপ্নবীজ ছড়িয়ে দিও।
কতবার ভেবেছি তুমি যদি মাঝি হয়ে
আমায় জলের বুকে ভাসিয়ে নিতে
দাঁড় বেয়ে বেয়ে চলে যেতে বহুদূর
আমি শাপলা পদ্ম তুলে নৌকায় রাখি
তুমি না হয় একটা মালা গড়ে দিও
কানপাশা খুলে ছোট্ট একরত্তি চুমু
তারপর নিয়ে যেও অচেনা এক পারে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫১ বার দেখা
| ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
আনন্দে অনিকেতের কাছে যাই
অনিকেত নীরব থাকে
কখনো তার শরীর থেকে ঝরে
অযুত সহস্র আলো
কখনো আঁধারের চেয়েও গভীর
মিশকালো তার মুখ।
সহসা আমার মুখ কালো মেঘে
ঢাকা পড়ে যায়
চোখ থেকে, মুখ থেকে, গাল থেকে
ঝরে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি
মাটিতে তৈরী হয় ছোটোখাটো স্রোত,
স্রোতে ভাসতে থাকে
অনিকেত ফুল আর
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৩ বার দেখা
| ৪৩ শব্দ ১টি ছবি
ভোরের বেলা যখন বাসি
বেলি আর জুঁইয়ের গন্ধ
তখনো ছড়ানো আমাদের
ওই ঝুলবারান্দায়,
আহা কি মধুর সে গন্ধ
ভেসে আসে অদূরে
পাশের বাড়ির আমবাগানে
যেথায় মুকুল ধরে আছে,
ডালে ডালে, বাতাস
দুলিয়ে দেয় আম্রমঞ্জরী
পাশেই সুপারি গাছে
লেগে থাকা শিশির
ঝিকমিক করতে থাকে।
মাটিতে কাঁপা কাঁপা
দোদুল্যমান পত্রছায়া।
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭০ বার দেখা
| ৩৪ শব্দ ১টি ছবি
কখনও যদি মনে হয় আমি কোথায়
নিজের বুকের মাঝে খুঁজে নিও
আমি লুকিয়ে আছি খুব সংগোপনে
গভীর গোপনে তা কি জানো প্রিয় ?
এক দিন কোনো হরিণ শাবকের মত
শকুন্তলার আঁচলে লুকিয়ে যাব।
তখন যেন আবার বোলো না আমায়
তুমি রাখতে আমায় পারো নি তাই।
একটু হেসে একটু
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৪ বার দেখা
| ৬৩ শব্দ ১টি ছবি
সব বক্তব্য এক একে হারিয়ে যাচ্ছে
কথাশূন্যতা গ্রাস করেছে
দূরের ওই শাল্মলী বৃক্ষকে
আমার উন্মুক্ত দুটি চোখ দেখে
তোমার সদরে চলে যাওয়া
আমারই বুক মাড়িয়ে
নীল বিষে ভোরে গেছে
পরিত্যক্ত ক্লান্ত রাত,
আর ফিরো না –
অচঞ্চল এগিয়ে যাও।
আমার পরিপূর্ণ সম্মতি রইল
এত ঘৃণায় ভরা ভালোবাসা
না হয় নাই বা দিলে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৫ বার দেখা
| ৪১ শব্দ ১টি ছবি
মেয়েটি বসে থাকে নতমুখে
বাইরে থেকে তির্যক আলো
এসে তার মুখের ওপর এক
আলো আঁধারি ঢেউ তোলে।
তার কোঁচকানো সাটিন জামায়
কিছু মনের অব্যক্ত অভিব্যক্তি
হাত দুটি কোলের ওপর ন্যস্ত
মাথায় পড়া মেপল পাতার টুপি
এক পাশে হেলে আছে অযত্নে
মাঝে মাঝেই দাঁত দিয়ে সে তার
ঠোঁটের ওপর ছোট্ট কামড়
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮১ বার দেখা
| ৪৮ শব্দ ১টি ছবি
তুমি কি হেলেঞ্চালতার মত দুলে ওঠো?
আকাশে ছড়িরে পরে তোমার স্বর্ণপ্রভা
রামধনুর সাতটি রং এসে তাতে মিশে যায়
মনে মনে ভাবি তুমি কি সেই যাকে দেখে
ইন্দ্র দেবতার হাজার চোখ ফুটে উঠেছিল?
বিশ্বামিত্র মুনির তপস্যা ভঙ্গ হয়েছিল?
চতুর্দিকে দেবতারা বাজিয়েছিল শঙ্খনিনাদ
তোমায় পাদ্য-অর্ঘ্য দিতে নতজানু হিমালয়
ময়ূর ভুলেছিল
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮১ বার দেখা
| ৫৭ শব্দ ১টি ছবি
মৃত্তিকা-নদী খেয়ে পারাপারের
সংযোগস্থল পাথুরে, জনাকীর্ণ
অন্ধত্বের ভাণ করে পড়ে থাকা
মানুষের দল ভিক্ষারত প্রত্যাশা
কোজাগরী চোখে আলতো ভাবে
ছুঁয়ে যায় শীর্ণ, মলিন বসবাস
সামান্য উপঢৌকনে সাজায় হাত
সদ্যবিবাহিতা এক বধূ এস্ত্যভাবে
এদিক ওদিক চেয়ে ঘাটের তোরণে
এক পা এক পা করে জলে নামে
কুলবধূদের উলুধ্বনিতে পালিত
হয় কোনো আনন্দদায়ক কুলাচার।
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৩ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি