নিজের ভাষা ছেড়ে যদি অন্য ভাষায় থাকো
তবে তুমি ভাবের প্রকাশ কিছু বোঝো নাকো।
যে ভাষায় পশু ডাকে পাখি গায় নদী বয়ে চলে
যে ভাষায় শিশু মায়ের কোলে কত কথা বলে,
যে ভাষায় সকলে প্রাণের আবেগ করে প্রকাশ
সেই ভাষাতেই গড়ে ওঠে ভালোবাসার নিবাস।
ভাষা তাই মানুষের নিজস্ব মর্যাদার পরিচয়
পৃথিবীর
আন্তরিক
আমাদের এখানে একটাও কৃষ্ণচূড়া পলাশ নেই। অন্য কিছু ফুল ফোটানোর লোভে মাটি খুঁজতে খুঁজতে পেরিয়ে যাচ্ছে যুগান্তর। ভাবছি রুক্ষ মাটিতে গোলাপ চাষ অসম্ভব হলেও অসাধ্য নয়। শুধু তুমি হৃদয় হয়ে দাঁড়ালে।
তুমি তো জানো, আমি গোলাপ ছাড়া কিছু পারি না।
বইমেলায় কি কি বই বিক্রি হয়? কি কি বইয়ের স্টল বেশি। কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ আর সাহিত্যের বই। আর অন্যান্য বই। তবে অন্যান্য বই খুব সামান্য বিক্রি হয়।
তার মানে বইমেলায় প্রায় আশি নব্বই ভাগ সাহিত্যের বই থাকে। সাহিত্যিক ও সাহিত্য প্রকাশকরা সেই সব বই
মা বললে আমি আজও কান পেতে শুনি।
ভাষা যে এত মধুর হয়
মনের কথা হয়
প্রাণের আকুল হৃদয় হয়
বেঁচে থাকার আমরণ অঙ্গীকার হয়
মা বললে,
আমি তাই আজও
মা বললে কান পেতে শুনি।
রোহন বসেছিল ঘরের দাওয়ায়। বাটিতে রাখা মুড়ি। সাথে একটু চানাচুর। ভাবছে ভিজিয়ে খাবে নাকি শুকনো চিবিয়ে। পেটের মধ্যে ভাল করে খিদে না লাগলে এমন ভাবনা আসে। সামনের নিষ্ফলা জমিটা আজকেই কুপিয়ে ফেলতে হবে।
তাই সবে পাঁচ সাত গাল খাওয়া শেষ করেছে এমন সময় বিলু হন্তদন্ত
গল্প|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৭ বার দেখা
| ৫৭৪ শব্দ
যা কিছু শিখেছি আমি সব কিছু বই
বোধ বুদ্ধি শিক্ষা জ্ঞানে সে আমার সই,
কালো অক্ষরেই তার ভরা আছে আলো
আমার জীবন দিশা সেই তো সাজালো।
জ্ঞানের উত্তাল ঢেউ চুপ করে আছে
পৃষ্ঠা উল্টালেই প্রাণ জগতের মাঝে,
লেখা আছে গতিপথ বেঁচে থাকা মর্ম
বাঁচিয়ে রাখা বন্দনা বই বই ধর্ম।
আসুক অনলাইন অ্যাপ্স
তোমার ইচ্ছে তোমার কাছেই ফিরে আসে,
এ জীবনে যা যা চেয়েছিলে
ব্যবস্থা অধিকার অনুরোধ উপাখ্যান
ভালো করে ভেবে দেখো সব তুমি পেয়েছো।
যে সব আবদারের অন্য পৃষ্ঠা ছিল
নাই নাই করে সে সবও জুটেছে তোমার কপালে,
তবুও অন্যের অঙ্গীকারে তোমার ইচ্ছে
গোধূলি খুঁজছে রঙের আকাশে।
কিছুটি পারি না আমি তা কখনো হয়
তুমি যা পার আমিও তা পারি অবশ্য
কিছু তাতে ভাল মন্দ কম বেশি হয় ?
তুলনাও করতে পার যে যার নিজস্ব ।
জগতের সব তারা থাকে কি উজ্জ্বল
তবুও আকাশে দেখি তাদের মিছিল
তোমাদের পাশে আমি তেমনি স্বচ্ছল
আমাকেই ছোট করে গড়ো
স্কুলে শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর ফলে পুঁথিগত বিদ্যাই মননগত বিদ্যাতে পরিণত হবে। শিক্ষার প্রারম্ভ তো পুঁথি দিয়েই শুরু করতে হয়। তাছাড়া পুঁথিতেই সব লেখা আছে। শিক্ষকের হাত ধরে, শিক্ষাগুরুর তত্ত্বাবধানে সেই পুঁথিগত বিদ্যা খুব সহজে মননগত হয়। শুধুমাত্র শিক্ষকদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে।
আমি যদি নিজে নিজে কোন
টুকু স্কুলে বেরনোর সময় মাকে বলে – মা, আজকে একটু অন্যরকম করে জুতোর ফিতেটা বেঁধে দাও না। মানসী আর এক প্যাঁচ ঘুরিয়ে বেঁধে দেয়। তাই দেখে টুকু বলে – মা, তুমি একদম পিকলু দাদার মত জুতোর ফিতে বেঁধে দিলে।
মানসী হাসে গতবার হোলির সময়
গল্প|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৪ বার দেখা
| ৪৪০ শব্দ
স্কুলে বেত থাকবে না তা কখনও হয়। স্কুল হচ্ছে মানুষ তৈরির কারিগর। শাসন ছাড়া কেউ কখনও মানুষ হয়? বেত হাতে টহল দিতেন আমাদের প্রধান শিক্ষক মহাশয়। আমরা সবাই ভয়ে কাঁপতাম।
ভয়ে কাঁপতাম তিনি মারবেন বলে নয়, ভয়ে কাঁপতাম পড়া জিজ্ঞেস করলে পারব না তাই। ক্লাস
ভণিতা না করে যা বলব সত্য বলব বলে গোপলা মানে আমি, খুব রেগে মেগে জ্বলে পুড়ে জ্বলে উঠেও কিছু করতে পারি না। কারণ ও চুপচাপ ঘরের কাজ নিজের আত্মভোলা মনে করতে লাগল। আমি যত বলি, এটা কি একটা সংসার কেউ কারো কথা শোনে না।
সত্যিই এবার আন্দোলন হোক ভুখা পেটের
একজনের খাবার এনে দেখি
বসে আছে তিনজন
তিনজনের খাবার যোগাড় করে ফিরে দেখি
হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে ছ’জন
ছয়জনকে কষ্টেসৃষ্টে খেতে দিলাম
দেখি পাত পেড়ে বসে আছে আরও বারোজন
বারোজন চেয়ে আছে খিদে পেটে
চব্বিশজনের গুনতি হিসেবে,
একজনের খাবার এভাবে ভাগ হচ্ছে
এ দেশের অলিতে গলিতে।
তাও সত্যিই এবার
আমি কখনও চাইনি হতে আমার বাবার মত
সব ব্যাপারে আমি আজও হয়েছি আমার মত,
আমি চাই আমার ছেলে হোক সে নিজের মত
যে যার সময় আঁকড়ে ধরে বাঁচুক নিজের মত।
যে যার মত বাঁচা মানে সকলের সঙ্গেই বাঁচা
মনের মধ্যে না রেখে কোন অভিমানের খাঁচা,
যা চাইব তাই নেব এ