খুব কাছে গেলে যে মুখটা অচেনা হয়ে যায়
সবাই তাকে গোল্লাছুট ভাবুক
সে তো কেনা হয়ে আছে কবেই
সে যখন ভাবে ভ্রমন
তুমি ভেবে নিও রেডিও
যা ইথার ছাড়িয়ে ছড়িয়ে যেতে পারে অনেকদূর।
সে যখন দেখতে আকাশের মতো
সে যখন ভেজা গাছ, বৃষ্টিময় রোদ
তোমার দৃষ্টি পথে সে যখন পোড় খাওয়া
তোমার কাঁপন দেখলেই বুঝতে পারি, কেউ
সমুদ্রে গভীর রাতে খেলেছে ঢেউখেলা। দিগন্তের
আড়মোড়া ভেঙে উঠছে পূবের সূর্য। কামকুয়াশায়
ভেজা পৌষের শেষ সন্ধ্যা- কয়েকটি রক্তজবা হাতে
অপেক্ষা করেছে আরেকটি কাঁপনের।
পৃথিবী কেঁপে উঠলে ভয় পায় মানুষ। মানুষ কেঁপে
উঠলে গোলাপ ছড়িয়ে দেয় তার প্রথম পরাগ।
পরাগায়ণের প্রথম নিশীতে-
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৪ বার দেখা
| ৬৩ শব্দ ১টি ছবি
আয়না তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা। ঠকে যাবে । তোমার বুঝতে হবে, নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে।
বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০২ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
যে খেতে দেয়, তার তত ক্ষিদেই থাকে না
দানে-দানে পাদুটো ভেজায়
এই দেখে সব্বাই দল বেঁধে তার
গোড়া খুঁড়তে বসে —
“আছে, মিষ্টিআলু আরও আছে!”
স্বাদ-গন্ধ ঘেঁটে ঘেঁটে জেনে গেছে খাবারের শিরাউপশিরা
চব্বিশ ঘন্টাকে বিতরণে বদলে দিয়েছে শুধু প্রস্তুত দাঁড়িয়ে থেকে
থাকা বড় ক্ষণস্থায়ী — হাসি, ভেলকি, অস্ফুট কুকুর।
তাই তো সে
কবি হতে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে কবিতার আঙ্গিনার কোন এক কোণে মাতৃআচঁলে ঘুমিয়ে পড়ি
শুনেছি সমৃদ্ধ কবিতা মানুষকে মানুষ করে গড়ে তোলে
সত্যকে সত্য, মিথ্যেকে মিথ্যে আর অন্যায়ের প্রতিবাদী হতে শেখায়
এসো কবিবৃক্ষ হই, সত্য ও সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৬ বার দেখা
| ৩৬ শব্দ ১টি ছবি
শহরে বসে ঝিঁঝিঁর ডাক শোনা যায় না বলে
ইজিচেয়ারের পাশে চারটি কোরাস গানের
সমস্ত দিন কুড়োতে থাকে গতকালকের রাত-
আর নিঃসঙ্গতার সায় পুঁতে এখানে রাত গলে
ঝুলবারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অর্কিডের টবগুলো;
গ্রীবা উঁচু করে নেচে যায় বর্ণহীন শহর, রাতভর-
ছিটকে আসে বেডরুমের কাউন আলো,নীরবে-
অপেক্ষায় লিখতে থাকে-এসো, ভাবতে পারো
আমি মৃত্যুর দ্বিতীয়