কালঝড়ের প্রশাখার দিকে তাকাই। আজ মন
ভালো নেই স্ট্যাচু অব লিবার্টি কন্যার। কয়েক দফা
গুড়িগুড়ি বৃষ্টির পর খুব মন ভারী করে আছে আকাশ
পাখিদের নীরবতা দেখে, অনুমান করছি – পৃথিবীর
অন্য কোথাও এই ঝড় রেখে যাচ্ছে তার দাগ,
মানুষ ছুটছে, মানুষ ছুটছে, মানুষ ছুটছে
নীরব আরাধনায় যেখানে বসে আছেন আমার
ক্ষেতের আলে হেঁটে আকাশে তাকাই
ঐ যে দেখ আকাশ পড়েছে নুয়ে
ঐ দূরের গাঁয়ে, চলো আকাশ ছুঁয়ে আসি।
মেঘগুলো ঐ যাচ্ছে উড়ে
থাকছে না আর এ আকাশে,
চলো মেঘদের করি তাড়া
ফিরিয়ে নিয়ে আসি আমাদের আকাশে।
যদি হাঁটতে না লাগে ভালো
চলো মেঘের ভেলায় রাখি পা
ভেসে যাই দুজনে
পৃথিবীর শেষ মানুষটা যেদিন বলেছিল
নিশিই সব অন্ধকার শুষে
আস্ত একটা দিন পায়ের কাছে রেখে যায়
সেদিন অবিশ্বাস জেগেছিল
পরে ভেবে দেখেছি কথাগুলো মিথ্যে নয়
এরপরে কত রাত গড়িয়ে গেছে ঊষার দিকে
সেই মানুষকে আর খুঁজে দেখিনি
একটা মানুষ, আস্ত মানুষ
ছায়া হতে হতে
গলে যেতে যেতে
রয়ে গেছে মূর্তি হয়ে
যে মূর্তি প্রতি রাতেই
বলা হয় বাংলা সাহিত্যে ধুমকেতুর মতো যার আবির্ভাব, তিনিই হলেন আমাদের জাতিসত্তার প্রধানতম কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ধুমকেতুর সাথে তুলনাটি মোটেই অমুলক নয়। যখন তাঁর লেখালেখির জীবন সবেমাত্র যৌবন ছুঁয়ে যেতে শুরু করেছে, তখন তিনি লেখার ক্ষমতা
মানুষের কাতারে দাঁড়াবার দৌড়ে আমি বারবারই পরাজিত হই।
আমার শয়নকক্ষে যে অর্ধভাঙা ঝাড়বাতি দু’দশক থেকে ঝুলে
আছে, তা বদলাবার সাধ্য আমার জুটেনি এখনও। তাই মাঝে
মাঝে বাতিটির অর্ধ আলোয় নিজেকে চিনতে বার বার ভুল করি।
নিজস্ব কোনো ইমেজ না থাকায় কখনও ঢেউ, কখনও ধ্বনির কাছ
থেকে ধার নিই উত্থান
নীল আকাশের চাঁদটার থেকে অভিমান তুলে নিয়ে, যদি ইচ্ছে করে উড়ে যাই হাওয়া পথ ধরে! সেই যে পথে কবে ভেসে গেছি ছোট্ট আমি। বৃষ্টির ফোঁটা জলে মিশে নিয়ে গেছে সবটুকু আলো, এই আমাকে অন্ধকারে রেখে।
এখন ছায়ারা শুধু ভিড় করে
সব বিকেলের গাঢ় আলোয় জিব মেলেছে
এক সংকেত চিহ্ন নিয়ে, দূর হতে ঢুকে পড়ে
সাপখেলা দুপুর, এখানে দরজার খিল খুলে
প্রবেশ করে জীবনের কথা, ভাতের চেয়ে
তবু জ্যোৎস্না খায়, অন্ধ বাঁদুড়। দাঁত থেকে
রাত্রি বেরোয়, তাতে লেগে আছে সাক্ষরতা।
তোমাদের দুপুর আর আমাদের দুপুরবেলার
বিস্ময়ের রূপ বুঝতে গেলে কোনো এক
শুক্রবারের আশপাশে
ছুটির দিন বিকেলের রোড, থেকে যায় ফাঁকা,
সেই রোডে থাকে গোধূলি রঙ আঁকা
ব্যস্ততা আর ছুটে চলা হন্তদন্ত লোক নেই
নেই গাড়ির বহর, চলো ঘুরি রিক্সায়
সময় কেটে যাবে আনন্দেই।
শাপলা ফোটা মতি মিয়ার ঝিলে
জল ছিল কি তখন, জানতে ইচ্ছে এ দিলে,
এমন পাপড়ি মেলা শাপলা
অবাধ সুষ্ঠু ভোট দানে
আমেরিকার ভিসা
বাহ বাহ কি চমৎকার!
কেউ আর বলতে পারবে না
মামা বাড়ির আবদার;
কি সাঙ্ঘাতিক চিন্তা রে বাবা
হোক না অবাধ সুষ্ঠু ভোট
ইতিহাস শুধু সাক্ষী থাক
অসুষ্ঠু ভোটে ভিসা নাপাক
নতুন আঙ্গিকে হোক ভিসা ভোট।
১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ২৯ মে ২৩
সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া।
সামার ব্রেকের পর পুরো-দমে ক্লাস চলছে। প্রকৃতিতে শরতের আগমনী বার্তা। একদিকে পাতা ঝরছে, অন্যদিকে দিনগুলো ছোট হয়ে আসছে। তেমনি এক দিনে ডিন অফিস খবর দিল আরও ৫জন বাংলাদেশি আসছে আমাদের কলেজে। ইউক্রেইনের ঝাপারোজিয়া শহর হতে রেলে করে আসছে