এখানে দুঃখিত হওয়ার কিছুই নেই মিতালি। তুমি আমার মা-বাবার প্রতি রাগান্বিত থাকা স্বাভাবিক। তা ঠিক এক সময় প্রচণ্ড রাগ ছিলো

ঘুম পায় আমার ঘুম পায়, তপ্ত দুপুর বেলা,
ইচ্ছে করে ভাসাই ঘুমপুরীতে স্বপ্ন ভেলা,
অফিস কর্ম ভুলে, ঘুম এ যেন জেগে স্বপ্ন দেখা,
তার চেয়ে বরং চা খাই, চা ছাড়া সুখ ফিকা। চোখের পাতা ভারি,
ইচ্ছে হয় ঘুমের দেশে দেই পাড়ি
ইচ্ছেগুলো গুঁড়ে বালি,
চা কোথায়

স্বাদের তাল,
তালের মৌসুম হলো বর্ষাকাল
রসে তাড়ি হচ্ছে বহুকাল
তাড়ি খেয়ে হয় মাতাল! স্বাদের তাল,
কেটে বেচে কচি তাল
সুস্বাদু শাঁস দামও আজকাল
শক্ত হলেই হয় তালবেতাল। তালের স্বাদ,
তাল গুলিয়ে খেতে স্বাদ
সাথে মুড়ি আরও স্বাদ
বেশি লবণে পুরোটাই বাদ! তালের স্বাদ,
তাল গুলিয়ে ভাজা বড়া
যার

এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে।
রংধনুর রঙ এর লুকোচুরি দেখতে দেখতে পথ হাঁটছি। সোনালী বিকেলটাকে আবার এতো তাড়াতাড়ি যে ফিরে পাবো ভাবিনি। কিছুক্ষণ আগেই নীলচে কালো মেঘেরা সব গুড়ুম গুড়ুম করে আকাশটাকে দখল করে নিলো। টিউশন শেষ করে মেসে ফেরার তাড়া

তপ্ত রোদে মরুর বুকে
যেমন –বটের মায়া
মাথার উপর বাবা শুধু
হয়ে থাকেন ছাঁয়া।
এই ছায়াতে সুখে দুঃখে
যাদের জীবন যাপন
তারা জানে এই জগতে
বাবার’চে কে আপন! হাতটি ধরে বাবা যখন
হাঁটতে নিয়ে শেখান
দূর আকাশে তারার মতো
দূরের পথটি দেখান।
হোঁচট খেয়ে পড়লে কখন
ভীষণ পেতাম ভয়
বাবা

আমার আব্বা তাঁর দশ সন্তানকে কী কিছু শিখিয়ে যেতে পেরেছিলেন! সেরকম চেষ্টা করেছেন বলে মনে হয় না। প্রথাগত সদুপদেশ হয়তো শুনিয়েছেন অনেকবার কিন্তু আমল করার জন্য জোর করেননি। আমার আব্বার স্বভাবে জোর জবরদস্তি ছিল না। তবে একটা কথা মন্ত্রের মত সবসময় আওড়ে যেতেন সেটা

টানা বৃষ্টি, ভারত থেকে আসা উজানের ঢল আর নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হার মানিয়েছে সকল প্রস্তুতিকে। ক্রমশ বাড়ছে পানির উচ্চতা। দুর্ভোগ বর্ণনাতীত। গলা পানিতে ভেসে থাকা মানুষগুলো খড়কুটো ধরে ভেসে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। উদ্ধারকর্মীদের নৌকা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে

বৃষ্টি মোহন জোছনায় নামি চল …
চোখের অতলে টলকে উঠা নেশার মাদকতায় চলো ভিজি,
যৌবনের উচ্ছল সম্মোহনে চল দু’জনে মিলে বৃষ্টি চুমি ! দেখো শিউলি ঝরা উঠোনে বুদ বুদ নৃত্য
রতি মত্ত পতঙ্গের মত
মুঠো মুঠো জোছনা আর বৃষ্টির অদ্ভুত আলিঙ্গন! চল, ভিজিয়ে নিই আগুনের হল্লামাখা

আমার তন্দ্রাচ্ছন্ন শ্রান্ত দুটি আঁখি
বিরল জনপথ ছাড়িয়ে প্রান্ত সীমায়
এসে বিশ্রাম নেয় কোনো নদীর ধারে,
তবু তোমার দেখা পাওয়া যায় না ।
ঘুম আসে আবার ভাঙে, তোমায় খুঁজি
হয়ত একদিন দেখা পাব এই আশায় ।
আবার ঘুমিয়ে পড়ি, শতাব্দীর ঘুম
তোমার ভরসায় থেকে থেকে প্রদীপ
ম্লান হয়, নতুন প্রদীপ খুঁজে পাই

মা বুনেছিলেন লাউ গাছ। এক ছুটির দিনে বাবা বেঁধে দিলেন মাচা। মায়ের যত্নে গাছটা তরতরিয়ে বেড়ে উঠল। মাচার ওপরটা ভরে গেলো খসখসে সবুজ পাতায়। একদিন দেখা গেলো মাচার নিচে ঝুলছে নধর নধর লাউ। মায়ের যত্ন আর থামেনা। গোড়ায় পানি দেন। সার

নয় ভাবনার ছয় কথা ১
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করবার ব্যার্থ চেষ্টা নিয়েও দেখি কোথাও যেন জেগে উঠছে নতুন চর। চরের দখলদারিত্ব নেবার সৎ সাহস নেই বলেই এড়িয়ে যাচ্ছি এই শোকবার্তা। আমরা মানবিক নই। এখনও ভয় পাই সামনে এগিয়ে যেতে। একজন ঋষি অনেক আগেই

আমরা নদীতীরে দাঁড়িয়ে যখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলাম,
তখন আমাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল একটি শান্ত বাঘ,
তার হলুদ-কালো গায়ের চামড়ায় ডুবেছিল দুপুরের রোদ
কয়েকজন রাখাল, বাঘটিকে চরাতে চেয়েছিল ধূসর মাঠে। মাঝে মাঝে বন্যপ্রাণীরা তৃষ্ণার্ত হয়ে লোকালয়ে ছুটে আসে,
জীবনের জন্য নির্মিত জলস্তম্ভের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ওরা চায়,
সবুজ নিঃশ্বাস। মানুষেরা