‘সুন্দর’ ভাবলেই বাড়ে অসুখ! দেখতে ইচ্ছে করে সে মুখ
আড়াল ভেঙে; কোথাও ফুটেছে নাম অজানা ফুল- অপরূপ
নির্জন বনে; বাতাস যখন সুবাস আনে- নেই তার খুঁত!
ভরে রাখি ফুসফুস- এই দূষণীয় যুগে এমন অদ্ভুত
রহস্যময়ী, তবুও অপলক থাকি চেয়ে- ভেংচি কাটুক!
দিতে চাই ডুব- সাঁতার না জেনেই
পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে গেলে
মা আমাদের শোনাতে আসতো বরফের গল্প
আমরা নাকি বালক বালক লাগি
অবশ্য তখনো আমাদের মুখে দাড়ি ওঠে নাই
কেবল গলার স্বরটা ভাঙছে মাত্র।
নদীতে নাইতে গেলেই মায়ের সাবধান বাণী
দেখিস খোকা! সাবধান! ডুবে যাবি
মা যদিও জানে- দুরন্ত সাঁতার জানি
ডুবে মরে যাবার বয়সটাও পেরিয়ে এসেছি
সেদিনের দিনগুলো
থমকে যাওয়া মুঠোয়
আটকে দেওয়া সময়ের
নীরব ঘর কুঠোয়।
দিনগুলো সব পিছিয়ে গেছে
সময় চলছে এগিয়ে
সুখ দুঃখের জীবন পথে
স্মৃতি নেয় বাগিয়ে।
ফেলে আসা সময়
ফেলে আসা দিন
রেখে যাওয়া স্মৃতি
কখনও বিষন্ন মন
কখনো রঙিন।
এভাবেই বয়ে যায় সময়
এভাবেই হয় লেনাদেনা
হয় কিছু ঋণ
হয় বেঁচে যাওয়া
হয় বেঁচে থাকা।
কখনো
না আজ আর কোন সংকোচ নাই, দ্বিধা নাই
এবার পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে চাই- তোমার আমার প্রেমের সাত কাহন।
দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ কবিতা খানি রচিত হয়েছিল তখন-
যখন আমার চোখের পাতায়- তোমার হিজল পরাগ ঠোঁটে দিয়েছো চুম্বন!
পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে চাই
একদিন যেই বুকে নীল মৃত্যু জেঁকে
মাঝে মাঝে প্রথম আমি দ্বিতীয় বার একা হয়ে যাই
আশে পাশে তাকিয়ে দেখি সবকিছু ঠিক ঠাক আছে
কেবল ঠিক নাই
সমস্ত কবিতার বইয়ের মলাট,
অবাক তাকিয়ে দেখি অন্ধকারে—-
কারো হস্তরেখায় ঝলসানো আমার হতভাগ্য ললাট!!
গায়ে জড়িয়ে নিতে নিতে অনুভব করি রক্তের ওম
এই চাদর গায়ে দিয়েই নদী পার হয়েছিলেন আমার
সহোদর, আমার বুকের ভেতর যে পাখি দম নেয়
প্রতিদিন, তার জন্য জমা রাখি অমর উষ্ণতা।
এই বিজয়ের ভোরে
আমি বার বার পাঠ করি সেই চাদরের ভাজ
বার বার খুলে দেখি কিছু নাম
৪-৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
আমার কথা বন্ধু তোদের
আছে কি ওই মনে,
আমি কিন্তু তোদের কথা
ভাবি প্রতিক্ষণে।
হাসি মজার প্রহর গুলো
দিয়েছি ওই পাড়ি,
কোনো কিছু না পেলে ওই
ধরতাম ভীষণ আড়ি।
কর্মব্যস্ত শহরবাসী
হয়ে গেছিস তোরা,
গাঁয়ে একলা পড়ে আছি
নেই তো কোনো জোড়া।
নিত্য দিনে নিত্য ক্ষণে
পথটা চেয়ে থাকি,
কবে আসবি সেই