জাগো চরবাসী জাগো
প্রতিদিন হতাশার কালো চিল আমার হৃদয়ে ডানা ঝাপটে চলে যায়। কিন্তু আমাকে ধরতে পারে না।
সে একদিন ছিল।
কঠিন দিন।
মঞ্চে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করতে হবে বলে ছুটে যেতাম ধ্যাধধেরে ছ্যাঙার চরে।
গিয়ে দেখতাম যে ছেলেটা আমার কবিতার ভক্ত সে আয়োজকদের সাথে ঝগড়া
রজনীরে বহুবার বলেছি দিওনা বিরহ
আমি দিনকাতর মানুষ
আমি ফুল শুঁকি প্রাণের ঘ্রাণে
রুটি আর মধু সহযোগে
আমি জলের উৎসে দাঁড়াই
মধু থেকে করি মোমকে আলাদা আর
নিজেই গলে যেতে থাকি
ভেতরকার সলতে থেকে মুহুর্মুহু জ্বলে দাবানল
রজনীকে বলি বিরহ দিওনা
অথচ সে যেন
তুমি নীল আকাশ হয়ে এসেছিলে আমার জীবনে
আমি হয়ে গেছি ফ্যাকাশে বিবর্ণ, নিঃস্ব
সেই নীলের দহনে__
আজ ও হৃদয়ের ক্ষতে দক্ষিণা জানালায়,
এলোমেলো হাওয়া বহে
নীল নক্ষত্রের আলো ছায়ায়
স্বপ্নরা নিমগ্ন ;
গোলাপ কুঁড়িরা
ফোঁটেনি তখনো
অথচ চারিদিকে সৌরভে মাতোয়ারা
তোমার জন্য–
শুধু তোমার জন্য
তবে কি
তারপরে
বিবর্তনবাদ খুবলে খেয়ে যায়
উড়তে থাকা অনুভুতির পাখনা;
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শরীর
হারায় উষ্ণতা,
মগজের কোষে যাদুমন্ত্র গুলো
নিজেকে জাগাতে নির্ভরতা ছোঁয়া খোঁজে নাগপাশে,
আর আমি তুমি কিংবা আমরা মানসিকতাকে দ্বায় চাপিয়ে
দাবা খেলার দায়িত্ব থেকে মুক্তি নেই।
তারপরে
কেউ চলে গেলে পিপাসায় জেগে উঠি মাঝরাতে,
পাশের বালিশে
আজ রোদের আলোয়
ভিজে পুড়ে গিয়েছি আমি।
তুমি হয়তো তখন
জানালায় দাঁড়িয়ে একা,
বৃষ্টি দেখছিলে অনুসৃতা।
সূর্য তার রাতের ক্রোধ
ছুঁড়ে দিয়ে শান্ত হয় বিকেলে।
কিন্তু আকাশ!! আকাশ,
বৃষ্টি দিয়ে মুছে দেয় সব
ক্রোধ, অভিমান আর নীচতা।
বৃষ্টিকে গ্রহণ না করে,
মনে পুষে রেখেছ বিষণ্নতা।
বৃষ্টি না পেয়ে তাই
আমি রোদে ভিজেছি,
বিষণ্নতা দূর করার আশায়।
বৃষ্টি ভালবাসি তাই
কাছে