রাষ্ট্রভাষা বাংলা হয়েছে বলেইতো আজ মাতৃভাষা বাংলা হয়েছে
আজ আমি চিন্তা করি বাংলায়
ভাবি বাংলায়, দেখি বাংলায়
ভেসে ওঠে চোখে বায়ান্নর ছবি, একুশের ছবি – আমি দেখি বাংলায়।
ভেসে ওঠে –
বুলেট বিদ্ধ নিষ্প্রাণ সন্তানকে দু হাতে তুলে ধরে
কত মা যে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সেদিন!
ভেসে ওঠে –
কতগুলো ঈদের
॥ক॥
সবুজ ঘাসের কাছে নত হয়ে দেখি
একটা ছবির কংকাল
পড়ে আছে খুব কাছে
তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে
আরও কিছু জলের সকাল।
॥খ॥
আমিও কাঁপতে গিয়ে ধরেছি যে হাত
সেই হাতে লেগেছিল আকাশের রঙ
ছিল দুটি লাল বালা,
ছুঁতেই দেখেছি বিনম্র আষাঢ় এসে
ঝরিয়েছে রোদ
আর আমি হেসে হেসে মুছেছি ঝড়
বৃষ্টিকে থেমে যেতে দিয়েছি
পৃথিবী ঘুরছে, সাথে ঘুরছে গ্রহ নক্ষত্র,
ঘুরছে মানুষ, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মানুষের ভাগ্য–
এখানে সেখানে সর্বত্র।
কেউ উড়ছে, কেউ ঘুরেছে, কেউ লড়ছে,
কেউ পাচ্ছে, কেউ হারাচ্ছে, কেউ মরছে–
পৃথিবী শুধু ঘুরছে।
স্বাধীনতা তুমি বড় অবাধ্য শব্দ
শুধু তোমার জন্য
উজানচন্ডী বিলের ধারে পড়ে আছে কত লাশ
কত মা কত বোনের হলো সর্বনাশ।
কাজল দিদির সিঁদুর বিহীন ললাট
পড়ে আছে ধবল রঙের শাড়ি
পাক সেনারা তুলে নিয়েছে ওর স্বামী সন্তান ফেরেনি আর বাড়ি।
দুখিনী মায়ের বিরহ পরান সোনা মুখ চাই
স্বাধীনতা তুমি
অনেকদিন হলো ইচ্ছে করেই রাতের বেলায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বেশি বাইরে বের হই না। রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিই। তারপর একটা চা আর বিড়ি টানার জন্য বাইরে বের হই। রুম থেকে বের হয়ে মিনিট তিনেক হাঁটলেই
এক দিন হয়তোবা ঝড়
জল হয়ে পাল্টে দিবে
অচিন নদীর মোহনা,
হয়তোবা একদিন ঝরে যাব আমি
শূণ্য পড়ে রবে আমার ঠিকানা ।
একদিন হয়তোবা থাকবে মেঘে ঢেকে
শেষ দেখা তোকে বর্ষপূর্তির দিনটা,
অনুসৃতা, হয়তোবা একদিন
ফিরে আসবে আবার;
তোর সাথে কাটানো আমার –
সেই শেষ বিকেলটা
“বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা।।
আ মরি বাংলা ভাষা!”
বাংলা আমার মাতৃভাষা। এই মাতৃভাষা নিয়ে আমি গর্বিত, কেননা এই ভাষার রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য। জনসাধারণের কথ্য ভাষা থেকে এই ভাষার জন্ম। বাংলা ভাষার ইতিহাস
রাজনৈতিক নেতারা একরোখা স্বভাবের হয় তাই মোঃ আলি জিন্নাহ হতে আজকে আধুনিক বাংলাদেশের নেতারাও এইটা ছাড়তে পারে নাই। ৫২তে যদি জিন্নাহ বলতো, যে রাজ্যে যে ভাষা আছে তারই চর্চা হবে তবে ইংরেজি হবে প্রধান ভাব প্রকাশের মাধ্যম। তখন আর
ক’দিন আগেই আমি পা রেখেছি বিশে’র ঘরে
জানি এর সাথে আর এক যোগ করলে একুশই হবে।
তবুও বড় আফসোস!
সত্যিকারের একুশ দেখা হয়নি বলে, কারন
বিধাতা আমার চক্ষুদ্বয়কে স্বর্গীয় করে রেখেছিলো তখন
তাই যাওয়া হয়নি সেই অধিকার আদায়ের মিছিলে
একদিন চক্ষু পেলাম, পেলাম তার মাঝে আলো
শুরু