১।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিশাতের মনে কেন যেন বেশ একটা চক চকে ঝরঝরে ভাব। ভীষণ ভাল লাগছে। কিন্তু, কি যে সে কারণ তা সে নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না। বাইরে যাবে, নিজের খেয়াল
সঙ্গম শেষে এইমাত্র যে লোকটি মারা গেল তার যুদ্ধের কৌশল জানা ছিল কী না সে প্রশ্নে আমরা যাচ্ছি না আর। ধরে নিতে পারি সে প্লেটোনিক প্রেমের ভুল শিকার। কেননা নিষিদ্ধ গন্ধমের দিকে পুরুষের হেঁটে আসার কারণই হলো নারী। পুরুষের পুরুষ হওয়াটা নির্ভর করে কিসে?
বিশ্বাস করবে না জানি
অজস্র বছর আমরা অপেক্ষা করেছি ঘুমের মধ্যে ঘুমিয়ে, জাগরনের মধ্যে ঘুমিয়ে
প্রাচীন গ্রীস-মিশরীয় সভ্যতার স্কাল নোনা বিস্বাদ পৃথিবীতে
আদম ইভের জন্মআবার আদম ইভের জন্মঅজস্র অজস্র আদম ইভের জন্ম
সেই সময়ে যখন জন্ম নিয়েছিলাম পুরোনো পৃথিবীর জলজ আবহাওয়ায় কোন বিলুপ্ত লতাগুল্মের দেহ নিয়ে
তখন আদম ইভের
স্বপ্ন-নীল ও স্বপ্ন-নীল
চোখের মাঝে অতল ঝিল,
ডুবকি দিয়ে ঝিলের মাঝে
রাজার কুমার মুক্ত খোঁজে।
চাঁদের আলো উছলে পড়ে
ঝিলের ‘পরে আলস ভরে,
রাজার কুমার হন্যে হয়ে
মুক্ত খোঁজে দুহাত দিয়ে।
হঠাৎ পেয়ে মুক্ত – ছোঁয়া
রাজকুমারের অবাক হওয়া,
অবাক চোখ তুললো যখন
সামনে দেখে দাঁড়িয়ে জীবন,
বাড়ায়ে হাত সে হাস্যমুখী
খুশির আলোয় ভাসছে আঁখি।
মুক্ত লুকোনো তারই
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসেম বিন আবুবাকার ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে একজন বই বিক্রেতা হিসেবে প্রায় সব উপন্যাসের মধ্যে শুধু শহুরে অভিজাতদের জীবনযাত্রার কথা দেখতে পেয়ে নিজেই হাতে কলম তুলে নেন। এরপর ১৯৭৮ সালে কাসেম তার প্রথম উপন্যাস ‘ফুটন্ত গোলাপ’ লেখেন। তবে ‘মোল্লার উপন্যাস
পাতা উলটে চলে গেছ, কিম্বা গেছ পাতার আড়ালে
পাশাপাশি তাঁবু, তবু ছোঁয়া নেই বামুন-চাঁড়ালে
বসন্তশিশিরে এই শির চারভাগ হল, হে নূতন
আগুনে ঝলসে তাকে যন্ত্র করো — মায়াউচাটন
যে কীর্তনমালা শুধু চিৎকারে রাজ্যজয় করে
সেখানে গানের ফোঁটা ফ্যালে যেন তোমার নওকর-এ
বিন্দু থেকে ব্রহ্ম হবে — ভয় পেয়ে আকাশতরুণী
শঙ্খ
আর কোনও দিন বৃষ্টি এসে আমাদের ডাকবে না তাদের কাফেলায়।
বলবে না- চলো সমুদ্র দেখে আসি। দেখে আসি পাখিদের সংসার,আর
লাঙল কাঁধে যে পিতামহ প্রত্যুষে ছুটে চলতেন মাটির টানে-তার পদছাপ।
আর কোনও দিন আমাদের ডাক দেবে না কোনও প্রতিবেশী আগুন।
বলবে না- উষ্ণতা নেবে, উষ্ণতা ! সওদাপাতি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩১ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে আসার পরে নীচের ধোঁয়া ভরা খাদ ভয় দেখায়
রেকলেস যাপনছবিতে ভাঙাচোরা খুঁতগুলো পরে থাকে তোবড়ানো দৈনিক ডাস্টবিনে
রাত্রি ঘন হয়ে এলে একে একে হেডলাইট নিভে আসে চলন্ত যান স্থিত হয়
পাহাড়ী উপত্যকার নিবিড় গ্রামের কুমারী চলচ্ছবি চোখের পাতা বন্ধ করে
লুকানো গুহাচিত্র থেকে জ্যান্ত হয়ে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪০ বার দেখা
| ১১৬ শব্দ
ট্রেনের সিটে বসা ছিলাম
জানলা দিয়ে চেয়ে
পাশের সিটে বসল এসে
সুন্দরী এক মেয়ে
সুবাসিত সুগন্ধি তার
লাগল এসে নাকে
আশার আলো দেখা দিলো
মরা নদীর বাঁকে
সমাজবিধি খুলে গেলে
সহজ হই দুইজনা
জানা গেল প্রেমের পাঠে
খুব সে মুক্তমনা
প্রেমের মাঠে হেঁটেছে সে
জানা গেল আরও
রঙ নাম্বার দু একবার
ঘটছে নাকি তারও
সরল মনে কথার পিঠে
বলছি দুজন কথা
ট্রেন
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৮৯ বার দেখা
| ১০৮ শব্দ
এক অক্ষরের ‘না’
একটা মাত্র শব্দ
অথচ পুরো একটা কথা,
‘না’ কথাটা শুনতে কতই না সহজ,
অথচ কি বিশাল তার ব্যপ্তি;
‘না’ বলার বুকচেরা বেদনা বোঝে কজনা?
অনেক দিন অনেক ভাবে
‘না’ মন্ত্র জপ করে গিয়েছি তোর কানে,
সহজ শব্দটা সহজ করে
কখনো কঠিন হয়ে
প্রায়ঃশই বিরক্ত হয়ে,
তোকে বোঝাতে না
নাম তার জানিনা
একই বাসে আসি
সকাল বেলা আমার অফিস নয়টায়, তারো
আমি ভাবি আহা আমাদের মাঝে কত মিল
সে বাসস্টপে আসে ঠিক আটটায় কিংবা আরো আগে
আর আমি ঘুম থেকেই উঠতাম আটটায়
সময়ের সাথে মেয়েদের একটা বিপরীত
সম্পর্ক থাকলেও এইখানে তার ব্যাতিক্রম
এখন আমিও উঠে যাই সাতটায়
আটটার পাঁচ মিনিট আগেই
এমন দুর্লভ জগৎ
অনন্ত থাকবে প্রাণের পদচারণমুখর ;
এমন বিষ্ময় জাগানিয়া পৃথিবী
সৃষ্টির সমৃদ্ধিতে স্বতস্ফূর্ত থাকবে
শুধু গত হবে লেবাস ধারীরা;
টিকে যাবে তারাই যারা কোনো
ধর্মের আবদ্ধতা বিশ্বাস করেনা।
তারা বিচরণ করবে অসংখ্য
নব্য জগতের সন্ধানে
মানুষও প্রকৃতি একই নিঃশ্বাস
আদানপ্রদান করবে এই
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৭০ বার দেখা
| ১৪৭ শব্দ ১টি ছবি
২৯ এপ্রিলের পরদিন সকালের কথা-
সমস্ত বাগান লণ্ডভণ্ড!
লণ্ডভণ্ড না বলে নিঃচিহ্ন বলাই যথার্থ হবে,
শেকড় শুদ্ধ উপড়ে ভেসে গেছে প্রতিটি বৃক্ষের বসত ভূমি!
কিছু ফুল ফুটেছিল বসন্ত গুণে, কিছু ছিল বারোমাসি
আর কিছু একান্তই প্রাকৃতিক
আচ্ছা ফুলের কি আত্মা থাকে?
ফুলের আত্মারা এখন কোথায়?