সারাক্ষণ ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়াও অরণ্যে
তুলে নিতে থাকো অজস্র ফটো খুব আদরে;
হে নিখুঁত ফটোগ্রাফার
একটা সেল্ফি চাই তোমার।
আমি এক পথিক অজানা
পড়ে থাকা বিষণ্ন হলদে পাতা;
উড়ে যাই, থেমে যাই
তবু কেউ কখনো খোঁজ রাখে না।
এই নির্জন বুকের ওপর
যদি হেঁটে যাও সকাল-দুপুর;
শোনাব তোমায় আমার গান
যদি পাই একটু
আয় খোকা, একটুখানি বোস এখানে,
অনেকদিনই দেখিনি তোকে!
তোর ছায়ার সঙ্গে কথা বলে
ছায়ার গায়ে হাত বুলিয়েই
কেমন করে দিন কেটে যায়।
আবারও একটা বিবর্ণ দিনের স্বরলিপি;
এখন তো আর শুরুও নেই
শেষও ধোঁয়ায় ভারাক্রান্ত।
খুবই এখন ব্যস্ত থাকিস?
বাবা ডাকটা কেমন যেন…!
আবছা কুয়াশায় মনেও পড়েনা…
কাল নাকি তোর
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭৩ বার দেখা
| ৭৪ শব্দ ১টি ছবি
কাগজের নদীতে শব্দের জোয়ার আর নয়
এই লেখাই হোক আমার শেষ লেখা।
সমস্ত বন্দী শব্দদের আজ মুক্ত করে দিলাম
উড়ে বেড়াক তারা আপন খুশিতে,
এতো বছরের জমানো শব্দগুলো হয়তো
উড়াল দেবে সমস্ত বায়ু স্তর পেরিয়ে
স্বর্গের সীমানা ছাড়িয়ে
কিংবা ওই কুকুর ছানাটির মতো
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৪ বার দেখা
| ৯৭ শব্দ ১টি ছবি
পরিযায়ী পাখি
কোনো পরিযায়ী পাখি নই আমি
বৃহস্পতিতে এলাম
শনিতে ফুড়ুৎ ।
আমি তোমার বারোমাসের আহ্নিকে আছি
উড়েউড়ে
ঘুরেঘুরে
আদরে
অবহেলায়।
তোমার বুকের বাম অলিন্দে
এক টুকরো অনাবাদী জা’গা দিও শুধু
খড়কুটোর সুখাগুনেনীড়
তোমার জন্য আমার অঙ্গীকার
আমি কোনো পরিযায়ী পাখি নই
দিবারাতের প্রহর-অণুতে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৯ বার দেখা
| ৪৭ শব্দ ১টি ছবি
মৃত মানুষের মুক্তি কি ?
মানুষ মরার পর পৃথিবীর সকল
অবয়ব তাঁর জীবনগ্রন্থ থেকে প্রত্যাবর্তন করে।
মানুষ মরার পর তাঁর কিছুই প্রাপ্তি নাই;
মাটির সাথে, মাটির মাঝে নিঃশেষ হবে
এভাবেই মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
প্রিয়তমার নাকে তাঁর ঘ্রান থাকবে না
প্রিয় বাবা মায়ের চোখে তার স্বপ্ন
উদ্বাস্তু শিবিরে ত্রাণ বিতরণ মানবতার কাজ বটে কিন্তু প্রকৃত মানবতার কাজ, সওয়াবের কাজ হচ্ছে সেই ব্যবস্থা করা যেন কোনো মানুষ আর উদ্বাস্তুই না হয়। সেটা হচ্ছে এমন কিছু করা যা সাম্রাজ্যবাদী আর শাসকদের যুদ্ধকে বন্ধ করবে।
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৯ বার দেখা
| ২০১ শব্দ ১টি ছবি
তোমার দেয়া বিষ গ্রহণ করেও বেঁচে থাকতে পারি
যদি তুমি একবিন্দু বিষের বিষক্রিয়াকে অনুভব করতে পারো
কেননা ভালোবাসাকে আজ আমি স্বার্থের বাটখারায় পরিমাপ করি
ভাগ করি স্বার্থ তিন প্রকার, পিতা-মাতার স্বার্থ, ভাল ও মন্দ স্বার্থ।
মেঘবালিকা-
শোন;
তোকে বলা হয়নি ইদানিং আমি ভালোবাসা শব্দের
নতুন মানে খুঁজে পেয়েছি
এই যেমন ভালোবাসা হচ্ছে ভরনপোষণ
আবার হাসি ঠোটে না খুঁজে চোখে খুঁজি
আর আঙ্গুলে স্পর্শে হৃদয় খুঁজি
কুয়াশার রাতে চাঁদকে মনে হয় স্মৃতির তিলক
হাসছিস? হেসে যা তোর গতানুগতিক জীবনে একটু
হাসির যে বড্ড প্রয়োজন
গোধূলির আকাশে এই কথাটি প্রায়শই লেখা
নীলাকাশে যখন হেসে হেসে ছন্দতুলে নেচে যায়
নানারঙের শাড়িপরা উর্বশী পেজাপেজা মেঘ;
তখন আমার কবিতারা বারবার উঁকিঝুঁকি দেয়
উড়ে যেতে চায় ঐ সুন্দরী-নর্তকীমেঘের ভেলায়
মনটাও মোচড় দিয়ে ওঠে কী প্রচণ্ড প্রসব-ব্যথায়।
পাখপাখালি জারিগেয়ে সারিসারি উড়ে যায়
ধীরে ধীরে মিলিয়ে তারা দূরনীলিমায় বহুদূরে যায়
সাথে সাথে সুরমিলিয়ে আমার পাগল-কবিতারাও
ছুটে যেতে চায়,
দলছুট বিরুদ্ধ বাতাস এসে পাল্টে দিয়েছে জীবন
এবার তবে যাই, শীত রোদ্দুরে ভিজে নিই নাড়ির খবর
গভীর নিশিতে শূন্যতার হাহাকারে পুড়ছে যে জীবন
তারও আছে আঁধার রাতের দায়বদ্ধতার ইতিহাস।
এ কেমন হিসাব তোমার, বাটখারা পাশে রেখে
তুলাদণ্ডে মেপে নিচ্ছ সব রাখাল বংশীয় আয়ু
কোনো শাস্ত্রে আমাদের বিশ্বাস নেই
যে পথে
প্রতিদিনের মতো অফিস ফেরত একজন বাবার ভূমিকায় শিহাব। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘর থেকে ঘুরে এসে নিজের বেডরুমে। কণা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নি:শ্বাস পতনের শব্দ এবং কিছু অংগের উত্থানপতনে বুঝা যায় সে গভীর ঘুমে।
ঘুমের ভান নয়।
ভান শব্দটা এজন্যই শিহাবের মনে
আয়না তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা। ঠকে যাবে। তোমার বুঝতে হবে, নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে।
বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির চোখের
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৯ বার দেখা
| ১০০ শব্দ