মাথায় কি মাছ রেখে দেব?
না গো, কাতলের মুড়ো খেতে চায় না বাড়িতে
তুমি শুধু কানকো ফেলে ব্যাগে ভরে দাও, ডগি-টা রয়েছে
রান্নাঘরে বাজার নামিয়ে এক ঝটকায়
স্নানখাওয়া সারি
অফিসের গেটে মাছওলা বড় এক
ভেটকির আঁশ ছাড়িয়েছে
বাবু, মাথায় কি মাছ রাখতে হবে?
নারে ভাই, পাঁচ-ছ’ টুকরো করো,
ক্যান্টিনের আশপাশে
দূর থেকে স্বচ্ছ মনে হতো
কাচ জেনে প্রথম প্রথম যত্নে রেখেছিলে
অর্ধেক পানীয় ভ’রে সাবধানে দু’ঠোঁটের
মাঝখানে নিতে
আর যা যা ভাগ হয়ে দুই
ধাতু-আচরণ আমিও নিয়েছি শিখে ততদিনে
কিন্তু যেই ভালোবাসা পাঠাও, সাত রঙে
বিশ্লেষণ করে ফেলি
সমস্ত শ্রাবণজন্মে এই কাদামাংসময় ধারাপাত দেখে রেগে আছড়ে ভেঙেছ আমাকে
তারপর
আজকে পোষের শেষ দিবসে
মেলা-মিটিং যাব না
মাস্ক দেখব সবার মুখে
হাসি দেখতে পাব না
বন্ধু লেখে — পিঠে খেলাম
পাটিসাপটা, দুধপুলি আর
তোর ঘরে কী বানিয়েছিলি?
— আমার পিঠে সোয়েটার।
ফ্যাক্টরি খুব বন্ধ, জানি
মালিক ফেরার, শ্রমিক নিঃস্ব;
মানুষ গড়ার কারখানাতেও
তালা — নতুন এমন দৃশ্য!
কিম্বা যারা লকডাউনে
বাছল দোসর আর মনমিত;
তত্ত্বে পেল
আমাকে ফেলে গেছ যে ছাইয়ের গাদায়
সেখানে আরও অন্য বেড়াল রয়েছে
প্রথমে বুঝিনি; ময়লার শীর্ষে বসে ভাবতাম
নিজের অন্নপ্রাশনের ভাত
কীভাবে জোটাব? আকাশের চিল থেকে
গৃহস্থের ঢিল রোজ এ-শরীর
নতুন জন্তুতে বদলে দিয়েছে
যৌনকর্মীর মতো জড়িয়েছি
অচেনা বাইকের চাকার ফোকরে
তারপর সব ইহুদির সঙ্গে পরিচয় হল
শুনি, চোখ না ফোটা
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৫ বার দেখা
| ১০৪ শব্দ
ভি-ওয়ান বাসের পেছনের সিটগুলো উঁচুতে থাকে। সেই উচ্চতার আবার দুই ধাপ: মাধ্যমিক, হায়ার সেকেন্ডারি। হঠাৎ চিৎকার শুনে দেখি হাতদুয়েক দূরে একটা মেয়ে আমাকে আঙুল তুলে হিন্দিতে শাসাচ্ছে — কী হল, পেছনে অতটা খালি জায়গা রেখে দাঁড়িয়ে আছেন, আর আমরা এখানে চাপ খেয়ে মরছি। এগোন
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৩৪ বার দেখা
| ৪৭৯ শব্দ
আমরা সব একা ফুল। আবার কোনও ফুল সঙ্গে আনে সুতোও।
স্কুলযুগের শেষকালে আমি এক রাজনৈতিক মতবাদ মিক্সড উইথ চিন্তাধারা-র ‘ছোঁয়া’-য় পড়েছিলাম। ছোঁয়া প্রথমে ছদ্মবেশে সাহিত্য-সমালোচনার সরু লাইন ধরে এগোল, তারপর বিজ্ঞান-দর্শন-অর্থনীতি করতে করতে হঠাৎ তুলে দিল সব পর্দা-হ্যায়-পর্দা: এতদিন তোমাকে যা বলেছি, সব দলের
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৮ বার দেখা
| ২৬২ শব্দ
আমার প্রেমিকারা হারিয়ে যায় শীতের শুরুতে
যখন পুরোনো ফুলহাতা শার্ট হেসে উঠছে আলনায়
রোদ এমন থেবড়ে বসেছে সমাজে — সিদ্ধেশ্বরী চমচমের প্যাকেট খোলা হল
আর আমি ভাবছি, এখানেই তো রেখেছিলাম — চোখের ড্রয়ারে
আমার প্রেমিকারা হারিয়ে যায় শীতের কারগো
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৯ বার দেখা
| ১৫১ শব্দ
[পুশকিনের এই কবিতাটা কোথাও যেন উর্দু শায়েরির সঙ্গে মিলে যায়।
আমার খুব প্রিয়। বাংলায় ভাবানুবাদের এক অক্ষম চেষ্টা চালানো হয়েছে]
১
ভালোবেসেছিলাম তোমাকে। সেই প্রেম মৃত্যু-অস্বীকারী।
কে জানে হয়তো আজও বুকে ছটফট জ্বলছে চিঙ্গারি
২
প্রার্থনা রাখি, কষ্ট পেয়ো না। নিজে থেকে আমি কোনও দিন
বিশ্বাস করো, দিইনি তোমাকে
এক
এগারো শতকের মানুষ কাজী শু’এব ছিলেন কাবুলের এক রাজ-পরিবারের সদস্য। অন্যমত বলে, রাজ-আমাত্য তিনি। আফগানিস্তানে তখন শাহ শারুখের শাসন। কিন্তু গজনীর মামুদ কাবুল দখল করে নিতেই পরিবারটির কপাল পুড়লো। এখনকার পাকিস্তানে চলে এলেন এই কোরান-সাহিত্যে সুপণ্ডিত ভদ্রলোক, আর শেষ পর্যন্ত ডেরা বাঁধলেন লাহোরের কছাকাছি
আমার দাদা হাভার্ডে গেল,
আর বাবা কিনলেন একটা বন্দুক
৯জুলাই
লক্ষ্যভেদের অভ্যেস ছাড়া অন্য কাজে
বন্দুক ব্যবহার করার কথা সেনেটর অস্বীকার করেছিলেন
বিয়ার্ড বলেছিল, গাড়ির মেঝেয় পড়ে থাকা
মেয়েকে নিয়ে সে জায়গাটা ছেড়ে চলে যায়
এক শ্বেতাঙ্গ পরিবার ওদের অনুসরণ করে
রাস্তা পর্যন্ত আসে, বিয়ার্ডের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার
প্রস্তাবও দেয়
রাজ্যপুলিশের নিরীক্ষক
তার দুকোটি তিরিশ লক্ষ কারণ আছে
কেন আমি ভিক্ষে করব
চুরি করব
বা ধার করব
তোমার মানুষটাকে
এক রাত বা সারা জীবনের জন্যে
ও-আমার বোন, আমার মেয়ে
দায়িত্ব বিষয়ে : বড় বেশি, বড্ড তাড়াতাড়ি
খুব অল্প, খুবই দেরিতে/ক্যারোলিন বিয়ার্ড হুইটলো
অজ্ঞতা আর অনিয়ম থেকে তোমার জন্ম হয়েছিল
তোমার জন্ম হয়েছিল অস্বচ্ছন্দে
ঋতুস্রাব এমন এক