আপন কুটির ছোটো হলে
আপনজনে রয়,
মন আনন্দে নেচে গেয়ে
থাকে নাকো ভয়। আপন কুটির খড়ের ছাওনি
রয়েছে মোর সব,
সেথায় আছে স্বাধীনতা
নাহি কলরব। ইট পাথরের দালান দিলাম
সুখ যে তাতে নাই,
এমন প্রাসাদ থাকার চেয়ে
নাহি ভালো ভাই। চড়ুই পাখির মতো পরের
ঘরে থাকা সুখ,
বাবুইপাখির আপন বাসায়
সহ্য করে দুখ। আপন হাতের তৈরি

যাবি কে আয় পাল তোলা নায়
ফুলজোড়র নদীর দেশে,
মন মোহিনী প্রেম কাহিনী
ভাসবি সুখে শেষে। নাওয়া খাওয়া নাহি পাওয়া
নদীর জলে তরী,
শাপলা ফুলে শালুক তুলে
আঁচল গেছে ভরি। ফুলজোড় নদী আমরা যদি
না ভেসে ওই চলি,
হাওয়ায় দোলে মনটা খোলে
শুধু গানই বলি। দলে ভাসে নাহি আসে
ওই না নদীর তীরে
নদীর কাছে মানুষ আছে
আপনজন পায়

থেকো না আর ঘরের কোণে
কাজে লাগাও মন,
কাজে করলে পাবে তুমি
গুপ্ত ওই না ধন। যত থাকবে তন্দ্রা ঘোরে
কেটে যাবে দিন,
বসে বসে বাড়বে তোমার
নিত্য দিনে ঋণ। আলসেমি না করে তবে
কাজের খোঁজে চল
যতই হোক সে কাজটা কঠিন
পাবে সুন্দর ফল। মুক্তা আনতে সাগর জলে
দিতে হবে ডুব,
তা ছাড়া কি মুক্তা পাবে
থাক না

মুঠোফোনের প্রেমে পড়ে
চিঠির চলন নাই,
বসে বসে ডাক পিয়নে
মাগনা হাওয়া খাই। আগের যুগে চিঠির চলন
নেই তুলনা তার,
ক্ষুদে বার্তার জন্য তবে
দেয় না চিঠি আর। সুন্দর ভাষা দিয়ে রে ওই
চিঠি লেখা হয়,
ডাক পিয়নই ডাক ঘরেতে
চিঠিবিহীন রয়। মুঠোফোনে কথা বলা
মুঠোফোনই সব,
বর্তমান ওই চিঠি খানা
রহম করো রব। আগের যুগে

বাপের বাড়ি যাবার কালে
খুশি কন্যার মন,
কত কিছু ভাবে সদা
শুধুই ক্ষণে ক্ষণ। বাপের গৃহে এলে কন্যার
দৃঢ় মনো’বল
স্বামীর গৃহে যাবার কালে
চোখে আসে জল। সুখে দুখে জীবন তরী
বাপের গৃহে টান,
ঘাত প্রতিঘাত জীবন মুখে
মান আর অভি’মান। বাপের গৃহে থেকে কন্যার
বেলা গেছে ওই,
স্বামীর গৃহে নেইতো কোথা
প্রাণের প্রিয় সই। বাপের

মাগো তুমি বলতে পারো
স্কুল কবে খুলবে
গুরুর সাথে সবাই মিলে
নানা ছড়া বলবে। কবে থেকে বন্ধ আছে
ওই না স্কুল কলেজ
তাতে কি মা বৃদ্ধি পাবো
সব শিশুদের নলেজ। ঘরে বসে সময় কাটে
যাই না কভু বেলা,
একা একা করি শুধু
আমি নিজে খেলা। কি যে করি ভেবে না পায়
বলো না মা কিছু,
জ্ঞানে গুণে রয়েছি

আমার মা ৩৩৩১ মাগো মোর মনে হয়
সাত রাজার ধন
তোমার ওই জন্য মোর
কাঁদে এই মন। ছোট কাল কত খেল
তোমার ওই সাথ,
কাছে মা থেকে ওই
গেছে তো রাত। সুখ দুখে মা তুমি
আলো তো মোর,
আসে ওই যত ঝড়
কাটবে যে ঘোর। বাপ ছাড়া মা সন্তান
মিল করে ভাই,

হঠাৎ করে পা’ মচকে
চিৎপটাং রাস্তায়
আশেপাশে কেউ ছিলোনা
তুলে ধরবে– আস্থায়! অগত্যা ঘর ফিরতে হলো
কাজের কাজ ভুলে
ঘরে পৌঁছে বুঝতে পারি
পা’টাও গেছে ফুলে। খানিকটাপর শীতে শরীর
কাঁপলো থরথর
থার্মোমিটার জানান দিলো
গায়ে ভীষণ জ্বর। এখন আমি সজ্জাসায়ী
বন্ধুরা সব কাজে
মোবাইল ফোনে টিপেটিপে
লিখছি

রাজাধিরাজ
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব ৪৪৪২ ধরা চলে প্রভুর কথায়
বুঝবে সবে কবে,
তার ইশারায় সূর্য ওঠে
মালিক তিনি ভবে। পাখির গানে মুগ্ধ সবাই
সৃষ্টিকর্তার লীলা
ধরার অপার সৌন্দর্য যে
প্রভু ক্যামনে দিলা। তুমি হলে রাজাধিরাজ
সকল কিছুর স্রষ্টা
তোমার দেওয়া বিধানে না
চললে সে পথ ভ্রষ্টা। নিয়ামতের শোকর

কবি তোমরা জ্ঞানের প্রতীক ৪৪
তোমায় পেয়ে খুশি দেশ ৪৩
তোমাদের ওই জন্য

২৪৪৪ মাগো আমার জান্নাত
হলে তুমি সবার সেরা,
মায়া জালে তোমার
মনটা থাকে সদা ঘেরা। তোমার স্নেহের সাথে
নেই তুলনা কারো কভু
মাকে আমরা সবাই
বাসবো ভালো পণ যে তবু। তোমার পরশ পেয়ে
ধন্য আমি মাগো ভবে
তুমি খুশি থাকলে
সহজে স্বর্গ মিলবে তবে। সুখে দুখে সদা
থেকো মাগো পাশে পাশে,
বলো পৃথিবীতে
কারো দায়ে কে’যে আসে। জীবন সংগ্রামে যে
মাগো একলা

কৃত্তিকা ছন্দ ৩৩ শব্দ
৪ শব্দ আছে কবি যত – গান লেখে শত
নদী গিরি রূপে শোভা,
নর নারী দেখে -নানা রঙ মেখে
নভে জ্বলে খুব নোভা। নদী বয়ে চলে -জল কল কলে
পাখি গায় কত গান,
ফুল ফুটে আছে – নানা গাছে গাছে
দেখে

অহংকার ওই পতনের মূল
বিজ্ঞ জনে কয়,
অহংকারীর সঙ্গীসাথী
কখনো কেউ নয়। অহংকারের চূড়ায় উঠে
দেখায় কত বল
পরকালে পাবে তুমি
কৃতকর্মের ফল। প্রাচুর্যের ভাই মধ্যে থাকে
যতোই করো ছল,
মৃত্যুর দূতের কাছের তোমার
হবে সবি জল। কর্ম যেমন ফল তেমনি
শাস্ত্র বলে তাই,
ইতিহাস ভাই সাক্ষী আছে
রেহাই তো পায় নাই। সবি ভুলে একত্র হয়ে
গায় মানবের গান,
সকল অহং চুর্ণ

পুবাকাশে প্রভাতকালে
উঠলো সোনা রবি
চারিদিকে আলো ছাড়ায়
কি অপরুপ ছবি। পাখির ডাকে হলুদ আভা
ভীষণ লাগে ভালো,
একদিন রবি না উঠিলে
ধরা হবে কালো। রবির আলো ঝিকিমিকি
জলের উপর পড়ে,
তাই না দেখে মাছরাঙা ভাই
প্রচুর মাছ ওই ধরে। ঘাসের বুকে শিশির কণা
প্রভাতকালের আলো,
কবির লেখা কাব্য খানি
ভীষণ লাগে ভালো। রচনাকালঃ
১৬/০৭/২০২১
৪৪/৪২

মিথ্যা ছাড়ো সত্য ধরো
নইলে মিথ্যায় পুড়ে মরো
আখের হবে ভার,
সত্যের পথটি ধরে রাখো
জনম জনম সুখে থাকো
তবেই হবে পার। সত্যের পথে শান্তি মিলে
মিথ্যার পথে ভয়’যে দিলে
মনটা কাঁপে আজ,
ধরার বুকে সত্য হলো
মিথ্যার চেয়ে ভীষণ ভালো
নেই বলতে আর লাজ। ধরার যত সাধু লোকে
সত্যের পথে তারা থাকে
করে না তো ভুল,
ধরার বুকে