৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত ছন্দ
ভবের মাঝে মানুষ হয়ে
করছি কত ভুল,
দুখের তরে জীবন মাঝে
পায় না সুখের কূল।
ঘাত প্রতিঘাত জীবন মুখে
আসবে কবে সুখ,
নাকি জীবন তরী-ভরা
আছে দুখ আর দুখ।
দুখের দিনে সুখে তরী
ভাসবে কবে মোর,
জীবন নদীর কালো কেটে
আসবে কবে ভোর।
এমন করে জীবন রথে
যাই না চলা ভাই,
জীবন
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বহুদিন পর বাজতে শুনি
একতারার ওই শব্দ,
বাংলার বুকে আছে থাকবে
অব্দের পর অব্দ।
একতারার ওই দারুণ সুরে
বাউলদের ওই গানে
একতারাটা আমার মনে
বাজে ক্ষণে ক্ষণে।
বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি যে
যায় না কভু ভোলা,
বারে বারে এসে তবে
মনে দেয়’রে দোলা।
বাউলগান আর লোকগীতি
দেশের কথা বলে,
সেই
৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
শান্তি পেতে ঘরের মধ্যে
লাগে সুশীল নারী,
অভদ্র ওই নারীর জন্য
অশান্তি হয় বাড়ি।
সম্পর্ক ভাই গড়ার আগে
দেখো ভালো করে,
যেজন আসবে সেজন যেন
আলো ছড়াই ঘরে।
ভদ্র নারীর সমাজে আজ
প্রয়োজনটা বেশি,
পর দেশের ওই ঢঙে চলে
সেই নারী নয় দেশি।
কথায় কথায় অনায়াসে
বলে বেশি কথা,
এরূপ নারী জীবন রথে
দেয় রে শুধু ব্যথা।
ভালো
কাণ্ডজ্ঞান
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
মালঝাঁপ কাব্য ৮৬ অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
নীতি নিত্তে মম চিত্তে পরে বিত্তে গর্বে
শুধু করে পরে তরে মন ভরে খর্বে।
করে দাঙ্গা চলে হাঙ্গা মন চাঙ্গা করে
জেব ফাঁকা পরে টাকা চলে ঢাকা তরে।
মস্ত আলো প্রাণ কালো লাগে ভালো তার
করে খুন বহু গুণ দেখে
প্রাণ পাখি -২
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
আমায় ছেড়ে যাস না তুই
সাধের প্রাণোপাখি,
খব যতনে সং গোপনে
আগলে আগলে রাখি।
তুমি বিহীন এই কায়ার যে
নেইকো কোনো মূল্য,
তুমি থাকলে আমি তবে
ধরায় দেব্য তুল্য।
যাসনে কভু প্রাণোপাখি
ছেয়ে সাধের কায়া,
তুমি গেলে আমার প্রতি
থাকবে কো না মায়া।
তোমার জন্য সবে আমায়
করে শুধু ভক্তি,
গেলে
শিক্ষা অমূল্য ধন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
স্বরবৃত্ত ছন্দ ৪৪/৪২
শিক্ষা হলো জীবন রথে
অমূল্য এক শক্তি,
শিশু কিশোর পাঠশালাতে
শেখে পাঠ্য ভক্তি।
জীবন চলার দীঘল পথে
কত রকম খেলা,
শিক্ষাবিহীন সেই জীবনে
অন্ধকারের মেলা।
শিক্ষা হলো সুপ্ত মনের
অন্ধকার ভেদ করে,
অন্ধকার ভেদ করে সেথায়
আলো দিয়ে ভরে।
শিক্ষাবিহীন জীবনের দাম
নেই তো ধরার বুকে,
শিক্ষিত জন অবাধ গমন
করে মহা
ধোঁকা
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
চলে গেলো সেই পাখিটা
দিয়ে আমায় ধোঁকা,
আমায় সেযে ভেবে ছিলো
ভীষণ ভীষণ বোকা।
ভালোবাসা ছিলো আমার
এই না হৃদয় ভরা,
সেই কথাতে অঝোর চোখে
বৃষ্টিবিহীন খরা।
কি দোষ ছিলো প্রিয়া আমার
বলে যাবে তুমি,
দিবানিশি সদা প্রিয়া
তোমায় আমি চুমি।
হৃদয় পুরে ঘোরাঘুরি
তোমার পায়ের শব্দ,
সেই শব্দটা শুনে শুনে
কেটে যাবে অব্দ।
হবে
বিলাসিতা
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪৪/৪২
অর্থের তরে জীবন যাদের
বিলাসিতার স্বভাব,
অর্থ কড়ি মাঝে তাহার
বিবেক বোধের অভাব।
বিলাসিতার নামান্তরে
জীবন করে পারি,
নানা পাপে পাপে তরে
আখের হবে ভারি।
মিতব্যয়ী হলে পরে
ভালো হবে তবে,
সুখ উল্লাসে দুঃখ কাহন
আসবে তোমার যবে।
বিবেক জাগাও বোঝে তবে
ভালো মন্দের তরে
কুক্ষিগত করে না আর
অন্যের সম্পদ ঘরে।
মনুষ্যত্ব বৃদ্ধির জন্য
মেশো ভালোর
বেকার জীবন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
মাত্রা বৃত্ত ছন্দ ৬৬/৬২
শিখে লেখাপড়া খেয়েছি যে ধরা
বেকার জীবন আজ,
ঘুরি পথে পথে জীবনের রথে
নাহি মেলে কোনো কাজ।
বেকার যে প্রাণ কষ্টের
সতত করতে হায়,
পরিজন নিয়ে কাঁদে মোর হিয়ে
খাবার নাহি যে পায়।
শিক্ষিত হয়ে সকলের তয়ে
হয়ে গেছি তবে বোঝা,
যুগল বন্দী জীবনে ফন্দি
চলা নাহি ভাই
জীবনের একটি সময়
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪৪/৪২
শৈশবকালে অনেক মজা
নানা রকম খেলা,
দেখে সবার দিন ফুরাতো
প্রজাপতির মেলা।
ইচ্ছে মতো দৌড়ে চলে
সোনালী সেই দিনে,
স্মৃতির পাতায় নেমন্তন্ন
শুধু মনের ঋণে।
ঘাস ফড়িংয়ের পিছু ছুটে
গেছে কত বেলা,
পড়ার সময় করেছি যে
কত শত হেলা।
লুকিয়ে ওই পাখি ছানা
ধরেছি যে কতো,
সবার মাঝে আমি হলাম
বড় নেতার মতো।
ইচ্ছে খুশি
জাগো নবীন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৬৬/৬২
বিবেক জাগাও নবীন সমাজ
মুক্তির পথ ধরো,
মনের আবেগ কলুষতা সব
দূর করো দূর করো।
তোমরা জাগলে পৃথিবীর পথে
হানা দেবে না তো কেউ,
তোমাদের শ্রম তোমাদের বল
রূখে দেবে সব ঢেউ।
তোমাদের কথা তোমাদের কাজে
পৃথিবীর হবে জয়,
তোমরা সবাই বসে থাকলে গো
হবে যেন সব ক্ষয়।
তোমাদের শ্রম