এই দুনিয়ায় রাহাজানি
লেগেই আছে হানাহানি
চারিদিকে দেখি,
পরের ভালো দেখলে পরে
জ্বলে পুড়ে যায় যে মরে
কেনো এমন সেকি !
এই ভবেতে অনেক আছে
দিন এনে সে দিনে বাঁচে
কেবা রাখে সে খোঁজ,
এসব খবর কাগজে পাই
ধুঁকে মরে জানি সবাই
দেখি সে যে হর রোজ।
বন্ধু ভাবি যখন যারে
টানি মোরা
মানুষ মনের ফুল বাগানে
ভাবের যা ফুল ফোটে
সব কিছু তার রবীন্দ্রনাথ
সাহিত্য সুখ লোটে।
কথার ভিড়ে মুক্ত আকাশ
সবুজ নবীন আলো
রবীন্দ্রনাথ ভাবনা ভাবায়
যা কিছু সব ভালো।
সবার হৃদয় সাদর বরণ
ডাক দিয়ে যায় প্রাণে
এই পঁচিশে বৈশাখ যেন
আবার জীবন আনে।
ঠাকুর ভজন মনের পূজন
রবীন্দ্রনাথ বুকে
ভাবের অসীম
বিবাহ বার্ষিকী
বিজন বেপারী
বিশ্বাসের এই হাতটি ধরে
ভালোবাসার দামে,
সকল সংশয় পায়ে ঠেলে
এসেছিলে চলে।
দুটি মেরুর দুটি পথের
মিলন হয়েছিল,
অচেনা এক মসৃণ জীবন
কাব্য পেয়েছিল।
শুভ পরিণয়ের এই ক্ষণে
খুশিতে ভরে মন,
ফিরে আসুক বারে বারে
মধুর খুশির ক্ষণ।
রাগ অভিমান সঙ্গে নিয়ে
দাম্পত্য হোক সুখের,
তোমায় নিয়ে সাতটা জনম
প্রার্থণা এই দীনের।
আমরা খুশি বোশেখ মাস
বাংলায় নববর্ষ
ছেলে-বুড়ো, খোকাখুকি
সবার একই হর্ষ।
গ্রামে গ্রামে জমছে মেলা
বাউল গাইছে গান
একতারা আর দোতারাতে
প্রাণ যে পায় তান।
বোশেখ এলে কালবোশেখী
ক্ষিপ্র বেগে আসে
গাছের ডালে পাখির বাসা
জীবন বুঝি নাশে।
তাইতো ওরা কুঁকড়ে থাকে
মনে বড়ই ডর
ওদের মতোন ভয়ে
রাতের বেলা করছে খেলা
আকাশ তলে তারা,
দিনটা হলে যায় যে চলে
না মেলে আর সাড়া।
জোনাক দলে সন্ধ্যা হলে
আলো জ্বেলে জ্বেলে,
কেনো তারা পাগলপারা
ঘোরে ডানা মেলে ?
সুরুজ মামা তার নেই থামা
সাতসকালে জাগে,
তাও প্রতিদিন কী
সে আমাকে দিদি ডাকে;
কেন ডাকে!
বয়সে হয়তো কয়েক মাসের
বড় হতে পারি
দিদির বদলে অন্য ডাক;
কিংবা কিছু না ডাকলেও চলত।
সে সামনে এলে
বুক ধরফর করে
আড়াল হলে উৎসুক চোখ
এ দিক সে দিক খুঁজে।
তার জন্য বিপর্যস্ত
অন্য কিছু ভাবতে পারি না।
সে আমার পাশের বাসার
আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলা
রক্ত দানের ফলে,
আজ এলো ঐ ছাব্বিশে মার্চ
সবাই খুশির ঢলে।
ফুল সৌরভে রূপ গৌরবে
কী সুন্দর যে তুমি,
ইচ্ছে মোদের সতত তাই
হে মা ! তোমায় চুমি।
শস্য শ্যামল সবুজ মাখা
দেখলে তোমার হাসি,
নয়
কোন সুখে বাবুই পাখি
করে শিল্পের বড়াই
যেই সুখেতে মুক্তিযোদ্ধা
করেছিলেন লড়াই।
কোন সুখে একটি শিশু
পতাকার ছবি আঁকে
যেই সুখেতে একটি শিশু
মামা বলে ডাকে।
কোন সুখেতে মাঝি ভাই
ধরে নৌকার হাল
যেই সুখেতে বয়ে চলেছে
বাংলার নদী খাল।
কোন সুখেতে বৃষ্টি ঝরে
মায়ে ফুলায় বুক
যেই সুখেতে চাষি
ভীষণ নাকি মুখ্য ব্যাপার
শুনেই তাড়াতাড়ি,
দেখার তরে দৌড় দিয়ে সব
চললো রাজার বাড়ি।
মরলো পথে দীনুর ছেলে
ব্যস্ত চলার ঘাতে,
ছুটলো তবু ঠ্যাং নিয়ে কেউ
আছড়ে পড়া হাতে।
পৌঁছে সেথা দেখলো কি ভাই
বলতে আছে মানা!
বেশ সয়ে ক্লেশ রাণীর বিড়াল
পাড়ছে বলে ছানা।