তক্তাপোষের ওপর এক হাঁটু মুড়ে অন্য পা টা সামনে ছড়িয়ে বসেছিল রনি। আনমনে পায়ের বুড়ো আঙুলের নখের কোনের চামড়া খুঁটে খুঁটে ছাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছিল, যদিও অত মোটা চামড়া একটু খোঁচা হয়ে উঠে আর ছাড়ছিল না। বেশি জোরে টানলে লাগছিল,
সুমনের একটাই ইচ্ছা সেতারা যেচে এসে তার হাত ধরবে। সেতারা নামটা সেকেলে হলেও মেয়েটা সেকেলে নয়। পুরো-দস্তুর মর্ডান। সেতারা না হয়ে সুহাসিনী নাম হলে মানাতো ভালো। নামের সাথে ব্যক্তিত্বের অমিল হলে বেখাপ্পা লাগে। সেতারা নামটাই সেকেলে কিন্তু মেয়েটি সত্যি সত্যিই তারা। আমাদের স্কুলের সবচেয়ে
শান্তির সংসারে শান্তি হল আকাশের বিজলির মতোন। এই আছে এই নেই। তবুও শান্তির মনে তেমন একটা অশান্তি নেই। ছিলোও না। সে তার স্বামী নাদিমকে খুব ভালোভাবে চিনে। লোকটা মানুষ হিসাবে একেবারে মন্দ না। মনের মধ্যে কোনো জিলাপির
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে।
রংধনুর রঙ এর লুকোচুরি দেখতে দেখতে পথ হাঁটছি। সোনালী বিকেলটাকে আবার এতো তাড়াতাড়ি যে ফিরে পাবো ভাবিনি। কিছুক্ষণ আগেই নীলচে কালো মেঘেরা সব গুড়ুম গুড়ুম করে আকাশটাকে দখল করে নিলো। টিউশন শেষ করে মেসে ফেরার তাড়া
এখন পড়ন্ত বিকাল। ছাদের বাগানে একা একা বসে আছে আকিব। সে পুরাতন ঢাকার একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ভালো ছাত্র হিসাবে তার সুখ্যাতি আছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, আকিবের আই কিউ অনেক বেশি। ক্লাসে টিচার যখন পড়ান, তখন সে
বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সারাদিন মেস বন্ধ থাকে, যাদের সাথে মেসে খাই তাদের প্রায় সবার বাড়ি মোটামুটি কাছে হবার কারণে তারা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে বাড়ি চলে যায় তারজন্যই মূলত মেস বন্ধ থাকে, আমার বাড়ি দূরে হবার কারণে যেতে পারিনা। সাধারণত এই সময়ের খাবারটা আমার
— কি সেলাই করেন!
শীতের রাত, প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে, জেলা সদরের নির্জন ফুটপাতে উদোম শরীরে বসা এক লোক, একপাশে মুচিদের ব্যবহার করার মত বাক্স, নিয়নের আলোয় স্যান্ডেল সদৃশ কিছু সেলাই করছিলেন। প্রশ্ন শুনে মাথা না তুলেই উত্তর দিলেন,
— নসীব।
এমন
সামিয়া রেখার সেই স্কুল জীবন থেকে সব সুখ দু:খের অংশীদার। এবার সে বেশ অনেকদিন পর এসেছে।
ছুটির দিনের সকালটা নানা রকম রান্নায় ব্যস্ত থাকল রেখা। সামিয়া কাজে হাত লাগাল। দুপুর দুটোর মধ্যে টেবিল ভরে গেল নানান রং, সুগন্ধ আর স্বাদে।
গৌরাঙ্গ আমাদের বন্ধু, বাপ, দাদার আদি পেশা জুতা সেলাই; অর্থাৎ তারা মুচি। তার বাবা কাকারা চৌমুহনার মোড়ে ঝুপড়ি ঘরে বসে জুতা সেলাই করে।
মুচির ছেলের সাথে বন্ধুত্ব তখনকার সমাজ ব্যবস্থায় সম্ভব ছিল না, এখনো সম্ভব নয়; তবুও বন্ধুত্ব হয়ে গেল। অবশ্য হওয়ার বিবিধ কারণ
দুই বান্ধবী। দুজনেই বড়লোকের বেটি। একজনের নাম ঝর্ণা, আরেকজনের নাম বর্ণা। নামের মিল থাকার কারণে হাইস্কুল থেকেই দু’জনের বন্ধুত্বের বন্ধন শুরু। দুজন একইসাথে হাইস্কুল শেষ করে একই কলেজে ভর্তি হয়। লেখাপড়ার জীবনে আনন্দের সময়ই নাকি কলেজ জীবন। এই সময়টা
অণুগল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৫ বার দেখা
| ১৮৮৮ শব্দ ১টি ছবি
আমরা রজব আলীকে এখনই গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে নামাবো এবং নামার সাথে সাথে সে প্রচণ্ড ধাক্কা খাবে। তাকে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে যে ময়মনসিংহের তুলনায় ঢাকা শহরে শীত কম। অথচ বাস থেকে নেমে সে জমে যেতে শুরু করবে। তার মনে প্রশ্ন
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬১ বার দেখা
| ১০৬০ শব্দ ১টি ছবি