কবিতা বিভাগের সব লেখা

পেনড্রাইভ
জমা হয়ে আছে সূচালো দু’খের ধার। বরফে বিদ্ধ হচ্ছে
শীতের সূর্যকণা। কোথাও পুড়ছে জীবন- কোথাও
থেমে যাচ্ছে চুল্লীর আগুন, তা দেখে হাসছে চাঁদ, কাঁপছে
নক্ষত্রের সংসার। চারপাশে ঝুলে থাকছে অনেকগুলো মহাকাল।
অনেকগুলো মৃত বসন্ত,
অনেকগুলো শাদা পাপড়ির কফিন
যারা বিদায়ী বর্ষাবরণে জলে নেমেছিল, কেবল
তারাই দেখছে এসব দৃশ্য। বাকী সবাই নজর রাখছে
তাসের পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৭ বার দেখা | ৬২ শব্দ
যেখানে কেউ আসেনা
মানুষ দূর থেকে শুধু আমার ভূল দেখেছে
কাছে আসলে দুঃখ!
অথচ, চোরাগলি ধরে খানেক হাঁটলেই
অনুভূতির দেখা পেতো
কিন্তু, ততক্ষণে সন্ধ্যে নামে
সবাই বাড়ি ফিরে যায়। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬১ বার দেখা | ২২ শব্দ
হাবিজাবি লেখা - ১০
তবু শুকতারা পার হলে আমিও ঘাসে ঘাসে নিহারিত পা,
বেহদ্দ ক্লান্তির পোশাক খুলে নদীতে ডুবি, যেন তেষ্টাপূরণ জল –
আদিগন্তময় নিজেকেই ছড়িয়ে বলি, আঃ! জীবন – এভাবেই প্রথাগত ভালোবাসা লেখার পর যদি ঘৃণার খোলা করতল রাখি –
তবে আর কীসের জয় পরাজয়? অথচ পড়ুন
কবিতা, জীবন | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭১ বার দেখা | ১২৩ শব্দ
একটি মৃত্যু ও কিছু কথা
কিছুক্ষণ আগে মারা গেলেন মা,
টের পেয়েছি তার আত্মার প্রস্থান-
আমার হাতেই ছিল মা’র হাত। কর্কট রোগে ধুঁকতে ধুঁকতে
ক্লান্ত-শ্রান্ত পরাজিত মা অবশেষে
এই কিছুক্ষণ আগে মারা গেলেন। রাত-জাগা নির্ঘুম চোখ-কোন জল নেই-
শুধু রক্তাক্ত গোধূলির রক্ত রংয়ে আঁকা;
বিভ্রান্ত শরীর নিথর নিশ্চুপ
ধূলিধূসরিত শাহবাগ চত্তরে। অন্ধকারের জড়ায়ু ছিঁড়ে একটু একটু করে
ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৪ বার দেখা | ৫৫ শব্দ
আহা সেইসব দিন
দূরত্ব এতোটাই বেড়ে গেছে যে
আমাদের মাঝে শোভাবর্ধন করছে মৃত্যুফাঁদ
অথচ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে অন্য কথা
ধূলোমাখা সেইসব অতীতের দিন, নিরেট মৃত্যু ঘ্রাণ
সাঁতরে গেছি কৈশোর বয়োঃসন্ধিকাল
আহ যৌবনের নগ্নতা! প্রহসনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল আমায়। এমন কতো বিরুদ্ধ স্রোত চলে গেছে
জন্মের ফাঁদে আটকে গেছে যাযাবর জীবন
ফিনফিনে দুঃখ দ্বারা ভরেছি পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৭ বার দেখা | ৮৯ শব্দ
পকেটের ফ্রেমে
পকেটের ফ্রেমে
রঙধনুহীন কিছু মানুষ আছে
অভাবের কথা শুনলে মরে যায়;
প্রাচুর্য দেখলে অজ্ঞান হয়!
বাস্তবতার মুখে গুলিফোটাই-
তবু আমরা শ্রেষ্ঠ মানুষ!
অভাব প্রাচুর্য সুখের নায়ে ভাসাই
কৃত্রিম নদীর জলে জলে-
তারপর শূন্য মাটিতে মিশি
বলো দেহের কোন পকেটের ফ্রেমে
নিয়ে গেলে অভাব প্রাচুর্য। ০৭ মাঘ পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৬ বার দেখা | ৩৯ শব্দ ১টি ছবি
নামাবলি
নামাবলি
আরে বেটা ফয়সল,
তোর কীসের ভয় ? চল !
পাশে আছে সাব্বির,
নিজেকে তুই ভাব বীর। আরো আছে চন্দন
কী দারুণ বন্ধন।
তার সাথে আছে কেকা,
বুঝবিনা তুই একা ! চ্যাকা খেয়ে হাঁটে খুকি,
তারে দেখে লাগে দুঃখী ?
মনেপড়ে শেফালিরে,
তারে কত পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬ বার দেখা | ৫৫ শব্দ ১টি ছবি
ঠাণ্ডা সামাজিকতা
আমার রাঙা রক্তে ঠাণ্ডা লাগে, নির্মিত হাতের তালু
কুঁচকে যায়-বলো কিভাবে ধরবো তোমাকে-
কেবল কুয়াশার দরজা টেনেছ, সম্মুখে কল্পনার রমণী অনন্ত ঊষারে পলকা বাতাসে ধড়ফড়ায়-
ঊরুভঙ্গির অবিশ্বাস, অবৈধ কিছু চাইতে আসিনি
হা করে পড়ছি নভোনীল ফুঁসফুঁস, তোমার প্রাক্তনতা;
এবং আপেলের কাছাকাছি ছুরি রাখার মতো
তোমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জড়ায় সকল স্পর্ধা, আজানুপ্রেম পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২ বার দেখা | ৪৪ শব্দ
ফরিয়াদ
ফরিয়াদ
পাপের দাহে আজকে খরা হৃদয় জমি
মশগুল এ দিল এই দুনিয়ার ক্ষণিক মোহে
মাটির আদম কেমনে বাঁচি নরক থেকে
না দাও যদি ধুইয়ে তোমার অনুগ্রহে? স্রষ্টা তুমি দৃষ্টি জুড়ে সৃষ্টি সবি
তাইতো প্রভু চাইছি তোমার অনুগ্রহ
এই দুনিয়ার ফেতনা থেকে বাঁচাও মোরে
তুমি ছাড়া নেই তো প্রভু পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২ বার দেখা | ৯১ শব্দ ১টি ছবি
মন কথনিকা
মন কথনিকা-৪৬২৯ লিখে এত লাভ কী আমার, ভাবি নাকো এসব,
বুকের ভিতর লেগে থাকে শত শব্দের উৎসব
লিখতে আমার লাগে ভালো, মনে লাগে শান্তি,
লিখতে পারলে পাতা ভরে যায় মুছে যায় ক্লান্তি। মন কথনিকা-৪৬৩০ এত যে সুখ চারিপাশে, শান্তি আমার মনে নাই,
কত কথা মনে জমা বন্ধু আমার সনে নাই,
রাগ করে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৬ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
পলাশের চিতাচিহ্ন
প্রতিবেশে হায়েনা শকুন আর পরিবেশে মৃত ফসফরাস, দেহ
থেকে ঝরে যাওয়া শিশুর পাঁজর। আমি ছুঁয়ে দেখি, এই কফিনে
আমিও শুয়েছিলাম বিগত জনমে আর সিজোফ্রেনিয়া ঘেরা আকাশ
ছিল আমার সহচর। ভালোবাসা দেবে বলে কেউ আসেনি কাছে,
ডাকেনি ধরে নাম। বিধি বাম ছিল না জানি, তবু কেন এই মানব
নির্মিত বলয় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১ বার দেখা | ১১০ শব্দ
তর্জনীটা উঁচিয়ে ধরো
বজ্র আওয়াজে নিয়ে নাও আজ রাজপথের দখল,
প্রয়োজনে ক্রাচ বা হুইল চেয়ারে হোক এই মিছিল ;
শ্লোগান ধরো দরাজ কণ্ঠে বল চীর উন্নত মম শির। টিয়ার সেলের ঝাঁজালো ধোঁয়ার মতো ছড়িয়ে পরো,
নষ্টদের মেধা মগজে প্রতিবাদের ভাষা বপন করো ;
শ্লোগান ধরো সমস্বরে সবাই বলে উঠো জয় বাংলা। ব্যারিকেট ভেঙে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৮ বার দেখা | ১১২ শব্দ
কবিবৃক্ষ- ৩ (স্বাধীনতা)
কবিবৃক্ষ- ৩ (স্বাধীনতা)
ভাবছি কৃষক হবো,
তপ্ত আর শুষ্ক মরুর বুকে সবুজ শস্যের দোল খেলাবো
কৃষাণীর আঁচল তলে লবন পান্তা ভাত খাবো। অতঃপর,
ছোট্ট একটা মুদির দোকান হবে, সময়ানুযায়ী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবো
পিতা-মাতা, ভাই-ভাতিজা আর স্ত্রী-সন্তানদের একটু সময় দিবো প্রকৃত কথা হলো স্বাধীনতা বলতে পৃথিবীতে কিচ্ছু নেই
আমরা পড়ুন
কবিতা, জীবন | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৭ বার দেখা | ১০৮ শব্দ ১টি ছবি
বিষাক্তের বিষে...
বিষাক্তের বিষে...
কবিতায় তোমার ব্যবচ্ছেদ হতে পারতো
শব্দ আর অক্ষর গুলোকে আমি চিরতরে নিষিদ্ধ করলাম।
পেন্সিল স্কেচ অথবা জলরঙে প্রকাশ পেতে পারত- তোমার বেহাল্লাপনা
তাবৎ তুলি আর পেন্সিল কাটার গুলো নি-স্পর্শ করে দিলাম
যদিও জেনে বুঝে তুমি ফিরে গেছো নস্টালজিক জলসা ঘরে
যে আসরে – ক্যু চক্ষের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৫ বার দেখা | ১৪৮ শব্দ ১টি ছবি
একটি কবিতায় বিস্ময়চিহ্ন
চা পানের শেষ চুমুক ধরে ভিজে যাচ্ছি। এক নেশাসক্ত কবি, তার কবিতা
লেখার আগে বন্দোবস্ত মন
নিয়ে বসে আছে, দ্রাক্ষার ভেতর; এই মুহূর্তে,বুড়ো পৃথিবীর মুখোমুখি
সটান হয়ে পাঠ করছি,তাকে-
মরে যাবার আগে, ধূমাল বিস্তারে
পাঁকা পেঁপের মতো টসটসে আবৃত অঙ্গ,
তীব্র হয়ে ওঠা শ্রমণ রূপ, ক্ষীয়মাণ নগর
প্রার্থনা পরা সাত স্বর্গের পৃথিবী
দুচোখের সামনে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫০ বার দেখা | ৪৯ শব্দ