রোজ রোজ যদি কবিতা কবিতাকে গিলে খায়
ঊষর পড়ে থাকে হেমন্তের রাত, আঘ্রাণের গন্ধ
শুঁকতে শুকতারা এসে বারবার ফিরে যায়, তবে
কিভাবে হবে কবিতার চাষ? সৈকতে এসে ভিড়
করে সমুদ্রের সফেদ লোনা, মৃণালকাঁটায় পাস্তুরিত
হয় এ জীবনের অবশিষ্ট দেনা!
শহরের ট্রামগুলোর মতোন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে যায়,
বিস্ময় ডেকে আনে
তোমার যাত্রা, এইসব প্রস্তর পথে-লোহার সুক্ষ্মতম
শব্দ, ছুটন্ত রাত-নির্মিত শরীরের ভেতরে পালিয়ে
বেড়ানো মুখটেপা হাসি চেপে মশলার ঘ্রাণের মতো
একটা দারুণ মুখাবয়ব লাবণ্য ধরে দরদ বুনে যাও
এখানে প্রচুর লুটোপুটির বান্ধবহীন গল্প, এতগুলো
পিছুটান আর তাঁবুর নিচে রূপসী সংসার, এমনিতর
সুন্দর আবগাহন করে যাচ্ছ, সিনা আর হাড়ে বেঁধে;
এই বিশাল শোভাযাত্রা-শেষতকও
যে আমি আত্মগোপন করে ছিলাম, আজ ভোরে তারই অস্তিত্ব
খুঁজেছি প্রথম। তারপর এই হাডসন নদীর পাড় মোড়া সাদা
কংক্রিটগুলোকে স্পর্শ করে দেখেছি, প্রাতঃভ্রমনকারীরা কীভাবে
ছুটে চলে ঢেউয়ের সমান্তরাল। ছোঁয়া পেলে অনাবাদী গ্রহও বিতরণ
করে জীবনের ঘ্রাণ। উষ্ণতার আঙিনায় দাঁড়িয়ে যে ঋষি করে
আলোর আরাধনা, কিংবা বনান্তরে একাকী হেঁটে যেতে
ওরা চোখ দেখেনি- মন বুঝেনি
কেমন করে মায়া কান্না বুঝবে,
ওরা স্বার্থের জন্য নিতে পারে প্রাণ!
তবু ওরা কৃতজ্ঞতা বুঝবে কি করে?
অকৃতজ্ঞতার আসমান জমি দেখে-
সব ক্ষমতায় এখন তার ইশারায়;
বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছে- কবিতার সব
আসবাবপত্র, কলমের কালির চিন্তা
করে না, সবই নিজের লোক! অথচ
কৃতজ্ঞতার গন্ধ
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৯ বার দেখা
| ৪৫ শব্দ ১টি ছবি
অথচ তুমি প্রতিদিন নির্মোহ চলে যাও
তোমার শূন্যতার অসীম অন্ধকার
আলিঙ্গন করে পিপাসায় ভেসে যাই
বৃষ্টির মতো চোখের জলের নোনা স্রোতে।
আগুনে ধাবমান পতঙ্গের মতো
সাঁকোহীন এক দীর্ঘ নদী,
পার হবার ব্যকুল বাসনায়
বার বার ছুটে যাই।
তোমার প্রতিক্ষায় শতবর্ষী
বৃক্ষের মতো আজও
সেই পথের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
যেখানে ভালোবাসা প্রজাপতির
মানুষগুলো ঘড়ির কাটা,
এ কাটা থেকে ও কাটা অতিক্রম করে,
আবারও ফিরে আসে,
ফিরে যায়
একই বৃত্তে আবদ্ধ থাকে বছরের পর বছর!
ঘড়ির কাটায় সকাল হয়,
একই কাটায় রাত্রি নামে
সময় আবার কেমন যেন!
এই ভালো এই খারাপ পথে,
আচ্ছা! মানুষগুলো এমন কেন?
এমন কেন এদিক
নদীর বাঁকে আছি বসে,
উদাস যে মন ভারী,
উথাল পাথাল বিষাদের ঢেউ
মারছে মনে বাড়ি!
কার কথা যে ভাবছি আমি
মন উদাস কার লাগি!
ভেবে কিছু পাচ্ছি না হায়
মন কেন বৈরাগী!
দমকা হাওয়া আসছে বয়ে
মনের হাওয়া বৈরী
কেম্নে ভাসাই মন সায়রে
আমার সুখের তরী!
অকারণে মন ভালো না,
কী যে এখন
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৬ বার দেখা
| ৭৮ শব্দ ১টি ছবি
কোন্ দিক দিয়ে দিন যায়, কোন্ দিক দিয়ে
রাত যায়, কেউ গুনে রাখে না আঙুলের কড়;
তবুও তিলতিল করে গড়ে উঠে জীবন পাথর,
মাঝে মাঝে বুঁদবুঁদ ছুঁয়ে যায় স্মৃতির মিনার
অবলীলায় আমি হেসে উঠি একবার, আবার
কেঁদে উঠি আরেকবার; পালকের পর পালক
খসে খসে পড়ে, তবুও জোছনা রাতের
আমার বিষণ্নতার কারন খুঁজতে যেওনা
রাত্রি এসে অট্টহাসি উপহার দিয়ে ফিরে যাবে।
তোমার কার্নিশে খড়কুটো উড়ে আসবে
বাবুই এর নোনতা পালক নামবে কৃষ্ণপক্ষের কুয়াশা মেখে
তারপর সাপ্তাহিক ভুল লুকোতে লুকোতে
একটা গোটা উইকএন্ড বরফ মেখে নেবে তুমি।
ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা সম্পর্কের ঠাসবুনন দেখতে দেখতে
আমার
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬ বার দেখা
| ৭১ শব্দ ১টি ছবি
এসো প্রাণের বদলে আগুনকেই শুকিয়ে,
স্তরে স্তরে এই পথে রাখি।
যে পথে সহস্র কররেখা উঁচিয়ে
একদিন হেঁটে গিয়েছিল সহস্র পালক।
যে রোদে, একদিন বিন্যস্ত হয়েছিল আমাদের
উজ্জ্বল ভাগ্যরেখা। আর বাজপাখিরা গোলাপের
প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দখল করতে চেয়েছিল, গোলাপের
ভালোবাসার আকাশ।
আকাশে মূলত প্রাণগুলোই নক্ষত্র হয়ে স্থির হয় অবশেষে।
সারি
যে কোনো চলচ্চিত্র বৃষ্টি দিয়ে শুরু হলে ভালো লাগে
জানলার শার্সি দিয়ে গড়িয়ে আসা বৃষ্টি
খোলা ছাদে ঝুলে থাকা পোশাক ভিজিয়ে দেওয়া বৃষ্টি
অথবা মেয়েটির মুখের ওপর দিয়ে গড়িয়ে নাম বৃষ্টি।
দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে থাকা ঝড় বৃষ্টি
পরিচালক ও প্রযোজকের পাণ্ডুলিপি ধুয়ে দেয়
কাউকে দোষারোপ
অনুবাদ|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৯ বার দেখা
| ৩৩৩ শব্দ ১টি ছবি