সোমবার এলেই বাড়তে থাকে দীর্ঘশ্বাস।
করাতকলের মতো ঘ্যাষ ঘ্যাষ শব্দ
তীক্ষ্ণধারে কাটছে ধানি জমির ফসল।
জানা আছে সেই মন্ত্র – ভাঙ্গলেই আয়ু শেষ
বিঁধে থাকি – পাছে পড়ে যাই যদি –
অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ।
তবু ডাক দিয়ে যায় নিষিদ্ধ করাতকল
সানগ্লাস– ধরে রাখে চোখ
পুরুষ্টু আঙুলে ছুঁয়ে
জন্ম আর মৃত্যু সব সময় মুখিয়ে থাকে
সে ব্রহ্মপুত্রের নাদান চর হোক কিংবা রাজপ্রাসাদ!
কালেভদ্রে কেউ কেউ দ্বিগুণ হয় জন্মসাল
আর কেউ জন্মের আগেই কুড়িয়ে নেয় মহাকাল!
প্রতিটি জন্মের মতো কবিতারও জন্ম হয়
প্রসব বেদনায় শিরোনাম খুঁজে নেয় পাগল পাঠক
শব্দ ও ভাবের কারাগারে যখন হয় সে আটক!
অতঃপর
দূরের পাখিরা জানে এই আষাঢ়ের অন্যনাম- তোমার চিঠি। অথবা ভালোবাসার
পুরনো খাম- নতুন অক্ষরে সাজানো একটি কদমফুল। ভুল করে উজানে বয়ে
যাওয়া নদীর প্রশ্বাস জমা রাখা দুপুর।
হতে পারে ভোর- কিংবা বাঁশির সুর। যে সময়ের কাছে রেখে এসেছি আলোর অতীত।
মনে পড়ে ? এই আষাঢ়েই আমরা গেড়েছিলাম আরেকটি
বানভাসি ভাদ্রের আগমন
সামান্য কদমের হাসিটা প্রায়
শেষ প্রান্তর, রৌদ্রোজ্জ্বল কান্না
শুধু জমে বরফ হলো শ্রাবণ;
তবু কোথায় প্রশ্ন থেকে যায়
দেহ কম্পন আমরণ গন্ধ!
ভাদ্রের দেখা- এই শুরু বজ্রপাত
খালে বিলে- বনে জঙ্গলে
পথে ঘাটে- ঘরে ফিরে
আর কত কি- এখন আমি
বর্ষার পুজারী অনেক খানি-
যখন তখন নামে দেদার
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৭ বার দেখা
| ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
আজ আপনাদের এই শেষ কথা বলার ছিল যে,
দর্শনের গতি চক্রাকার
রাতের জুঁইফুল, তবু সারাদিন যে-গন্ধের শবদেহ
বয়ে বেড়াতে হবে তার নাম যৌনতা
পা টলমল করছে, অথচ মাথা নীচু
সে হচ্ছে সন্তান
একদিন দৈবাৎ গেলাস উঁচু ক’রে জল খেতে গিয়ে
মানুষের চোখে আকাশ পড়ে গেছে
ওমনি আকাশ-সাঁতলানো হাওয়া নেমে এসে
কিছুটা কচুপাতার চিবুকে,