আমার মাথা গোঁজানো ঠাঁই নেই,
থাকতাম ঐ পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা
শিমুল গাছের নিচে বসে।
জন্মের পর আমার কাছে কেউ নেই
আমার সব তো ছিল ঐ শিমুল গাছ খানি
হঠাৎ এক ঝড় এসে আমার মাথা গোঁজানোর ঠাঁই
টুকুও অনায়াসে কেড়ে আমার ঠাঁই টুকু।
জীবনের
ভালোবাসা দিবসে আমি তাকেই দিবো ফুল,
যে-জন ভালোবাসার মূল্য দিতে না করে ভুল!
ভুল করে যদি দিই ভালোবাসার পবিত্র ফুল,
তাহলেই হবে ভুল, দিতে হবে ভুলের মাশুল!
ভালোবাসা দিবসে ফুল দিবো বাবা ও মাকে,
যাদের উছিলায় আমি দেখেছি এই জগতটাকে।
ভালোবাসার ফুল দিবো শ্রদ্ধেয়
আমি তোমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছিলাম
তা আমাকে ফিরিয়ে দাও।
তুমি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল
সুখে দুঃখে থাকবে পাশে পাশে
ছলনা করে ছেড়ে গেলে তুমি
বিরহ অনলে পুড়ছি আমি
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার ভালোবাসা।
যে ভালোবাসা ছিল আমার হৃদয়ে সুপ্ত
তা কেন করলে
উৎসর্গঃ মোঃ সফিকুল হক চৌধুরী
তোমার এ চলে যাওয়া মানে
মন মন্দিরে সকাল দুপুর পূজা করা!
এ চলে যাওয়া মানে সমস্ত সৃষ্টির
রঙে রাঙা তোমার এ চলে যাওয়া বলে না
তুমি নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করা মহা মানব
শস্য শ্যামল গ্রাম বাংলার সুবাসিত বাতাসের
ঘ্রাণে ভাসবে- নয়নের দৃষ্টি
আমাকে আকড়ে রাখো
হারিয়ে ফেলো না-
কি এসে যায়, কে কি বললো
কি এসে যাবে, কে কি জানলো
তোমার প্রথম নাম মুক্তি
তোমার দ্বিতীয় নাম যুদ্ধ
তোমার নামে বইয়ে বেড়াই ভাব, ছন্দ
মানুষের ভিতরের লাল গোলাপ
প্রতিটি জীবে, পদার্থে
আমার মন তোমায় সাথে নিয়ে চলে
চেতনা তোমার ডানায় ভর করে উড়ে
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা
আমাকে আকড়ে
ধর্ম মানো না, কর্ম মানো না, স্রষ্টাকে করো না বিশ্বাস
অসুখ-বিসুখ হলে ক্যানো তাঁকে ডেকে ডেকে ফ্যালো দীর্ঘশ্বাস?
আজকে তুমি বিশ্ব সুন্দরী কিংবা সেলিব্রেটি নায়ক শাহরুখ খান
কালকে কি হবে তা ভাবছো কি তুমি, মনোযোগসহ একটিবার?
দাদা গেলো, দাদী গেলো; গেলো মাতা-পিতা, ভগ্নি-ভ্রাতা
তোমার আমার উচাটন দেহখান কুচকে হলো
এমনই কোন এক পূর্ণিমার মধ্যরাতে
যাব আমি একদিন,
সমুদ্রের কল্লোলের মাঝে ঘুমন্ত
রাবণের দেশে।
দশরথের ভীরু পুত্রের
অলীক গল্পের মত করে নয়,
নয় বিভীষণকে বন্ধু করে
কাপুরুষের মত।
যাব আমি ঝড় হয়ে
মেঘনাদের মতন,
সর্পিল ঢেউ গুলো চূর্ণ করে
নারকেলের দেশে-
ছিনিয়ে আনতে তোমায়,
অনুসৃতা।
অবহেলিত প্রাণী কুকুর
ভাবলাম! কী রাখি ওর নাম?
সাদার মাঝে কালো রঙ,
ধলু রেখেছি তার নাম!
মোটাসোটা শরীর তার
মনেহয় দেখতে একটা বাঘ,
বাঘের চেয়ে বল তার
ওর চেহারাতেও ভীষণ রাগ।
চুপচাপ বসে থাকে
আবার কখনোবা ঘুমিয়ে থাকে,
চোখ মিলিয়ে যাকে দেখে
ওমনি লাফিয়ে ধরে তাকে।
কখনও কামড়াবে না,
ধরা পর্যন্তই
এক
এক দাঁড়ে পাশাপাশি আমি-প্রাণপাখি
আমার উন্মাদ হতে অল্প কিছু বাকি
বাইরে বসন্তশিলা, সরানো যাবে না
আলো তার ধর্ষক, অত্যাচারী সেনা
ডায়েরি নেয় না তবু থানা, মনোবিদ
আমার উন্মাদদশা কত দূরে, নবী?
দেখি আজ রাতে তুমি কোন স্বপ্ন দাও
নিজে আসো, না ভাড়ার মেয়েকে পাঠাও
নৈবেদ্য, তাঁতের শাড়ি, কাঁসায় পালিশ
ঝুরো ফুল, জলশঙ্খ, যেন
আড়াই দিনের বৈরাগ্য শেষে
যখন ফিরে এলাম
গ্রাম ভেঙ্গে পড়ল আমার উঠোনে।
অবজ্ঞা, টিটকারি, বিদ্রূপ
মনে হল পুনরায় ফুড়ুৎ করে উড়ি।
উঠানের ওপর পারে উদ্বিগ্ন মুখ
সব সহ্য করতে প্ররোচনা দিল।
আরও আড়াই দিন পরে
উদ্বিগ্ন মুখে হাসি ফুটল,
বৈরাগ্য উধাও। সংসার ধর্মের প্রতি
অনীহা ছিল, এই আমি ঘোর সংসারী।
উঠানের ওপর পারের
আকাশ সাক্ষী, বাতাস সাক্ষী
সাক্ষী এই গ্রাম বাংলার মেঠোপথ,
পাকদের সাথে নিয়ে রাজাকারেরা গ্রামের সব সম্পদ লুন্ঠন করেছে যে রথ রথ।
বাধা দিয়েছে মা বাবা, দিয়েছে বাধা তার সন্তান,
তাদের মেরে পাক আর রাজাকারেরা গ্রামকে করেছে গোরস্থান।
এত অত্যাচারে ফুল ফুটে না,
পাখি তার মনের আকিঞ্চনে গায় না,
নদী ও তার