নিঝুম রাতে পাতার খসখসানির মৃদু শব্দের সাথে
মিতালী করে মন অনেক দূরে চলে যায়
যেখানে সপ্তর্ষিমণ্ডল জোনাকি হয়ে ফোটে,
যেখানে কালো আকাশটায় তারাদের আঁকিবুকি,
যেখানে ঢেউ খেলানো মেঘের সাথে চাঁদের লুকোচুরি,
সেইসব খানে মনের অবারিত আনাগোনা
নদীর জলে তখন চাঁদের স্নিগ্ধ ছায়া ঢেউয়ের সাথে
ওঠানামা করে
যূথিকা তোমায় ভেবে আর কবিতা লিখি না,
রাত্রির খোলস ছাড়িয়ে আর ভোর আঁকি না !
দিনান্তের রৌদ্র মাড়িয়ে বিকেলের
ভাঙা সাঁকোই
আর দাঁড়িয়ে থাকি না;
গৌধূলির শেষ প্রান্তের ছায়ায়
সূর্যাস্তের রেখায় তোমাকে দেখবো বলে।
যূথিকা তুমি বরং দূরেই থেকো
নীল নক্ষত্র হয়ে,
আমি না হয় দূর থেকেই দেখবো ক্লান্ত
পথিক হয়ে !
যূথিকা তোমায় ভুলতে
_______প্রভাতফেরী
একুশ আসবে বলে
শঙ্খচিলের ডানায় বর্ণমালা ঐ আলোর ঝলকানিতে
ঝলমলিয়ে উঠে।
দিক ভুলা শঙ্খচিল
শুন্যে মহাশূন্যের দিক ভুলে, পথের নিশানা খুঁজে ফিরে
প্রভাতফেরীর গানে
লয় পথে নিশানা ফিরে আকাশ নীলে।
নীল আকাশের নীলে
শঙ্খচিল তার স্বপ্নের জাল বুনে; স্বপ্নের বুননে প্রভাতফেরী যে
তার অমোঘ মোহে টানে।
মাঘের কুয়াশার আকাশে
ঐ দেখা
ভালোবাসা মানে
যষ্টিমধুর মতো মন!
আষাঢ় শাওন বুঝে না
এমন কি চৈত্রপুড়া রোদ?
রসগোল্লার মতো, দেখা
যায় না সত্য- ভালোবাসা;
তবু অন্ত ক্ষরণ উপলদ্ধিকর
মুখ বুঝা যায়- তা না হলে
ভালোবাসার মৃত্যু প্রায়- ভব
ক্ষণে এমন ভালোবাসা নাই-
মহৎ প্রাণে প্রণয়ের পোকা হয়
দৃষ্টিবিরল কিলবিলিয়ে চলা চল।
০২ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি’২৩
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৯ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
এক জন বিশ্বাসী মানুষের আচার আচরণ
আর এক জন অবিশ্বাসীর আচার আচরণে পার্থক্য থাকবে, থাকে।
আচার আচরণে সুশীলতা
কিংবা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তুষের আগুনের মত শক্তি শালী; আপনি যতোই ধামাচাপা দিতে চাইবেন সে ততোই শক্তি পাবে।
তুষের আগুন যখন মিন মিন করে তখনো প্রজ্বলিত
আর
আমি জানি শাস্ত্রীয় বৃষ্টিসমগ্র, কোনোদিনই ভেজাতে পারবে না আমাদের
পরিদেশ। কোনো ফুলের স্পর্শই এই মেঘমোগল-কে করতে পারবে না,
নতজানু। শুধুমাত্র যে বাষ্প আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে, তারাই
পারবে দিয়ে যেতে কিছু উষ্ণতা। কিছু জমে থাকা পাথর, পারবে সরে যেতে।
ছাড় দেবার জন্য কিংবা সরে যাবার
তুই কি আজকাল কবিতা লিখিস না ?
চৈত্রের ছায়াঘন দুপুর, বাঁশপাতার সরসর,
মেঘলা জলে গাছের কাঁপা কাঁপা ছায়া
কবিতা জমে ওঠে অশ্বত্থের পাতার মত
শুধু তুই খুব চুপচাপ আর তোর কলম।
একদিন ঠিক খুঁজে পাবি কবিতার লাইন
ওই অস্তরাগের রঙে রাঙানো আকাশের কোলে
অথবা দিগন্তব্যাপী পাহাড়চূড়ার