খোলা আকাশের নিচে একান্ত আমার কিছু সময় হত যদি
চোখ দুটি বানিয়ে রাখতাম নদী,
কাঁদতাম আবার হাসতাম
আবার কল্পতরীতে সুখে ভাসতাম।
কিছু অভিযোগ তুলে ধরতাম প্রকৃতির কাছে
আহারে মনে কতই না অভিমান জমা আছে
দেখিয়ে দিতাম আকাশকে হয়ে উর্ধ্বমুখী,
উচ্ছাস ফিরে পেতে সবুজে দিতাম উঁকি।
একটি নির্জন প্রহর
হর্সরেস শেষ হয়ে গেছে বেশ আগেই। যারা দেখতে এসেছিল ঘোড়দৌড়
তারা সবাই ফিরে গেছে নিজ নিজ গন্তব্যে। আমি একা দাঁড়িয়ে আছি।
আমার নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য না থাকায়— পথ থেকে পথে দীর্ঘদিন বড়
সুখে বাজিয়েছি সানাই। উৎসব নয়, তবু আনন্দে নেচেছি নদীর মতো।
আর আকাশের সীমানা থেকে ধার নিয়ে
১
জোছনা চুরির গল্প অনেক শুনেছি
পলিগামী পুরুষের রসায়ন
ভাবতে ভাবতে
নিঃশ্ছিদ্র মশারীর আকার-প্রকার
নির্ধারন করে ফেলি
চাঁদও কি জোছনাভূক প্রানী নাকি
চাঁদেও ফোটে নানাবিধ ফুল!
আমাদের এখানে বৃষ্টি হত
মনে রাখবার মত রাত্রিও নামত
ঋতুবতী গুহানারী একবার চাঁদে ফেলে
এসেছিল লাল রঙটার অর্থ
অন্ধকার আর নীরবতা
যোগ হয়েছিল আলোর সমগোত্রে
যার কারনে গল্পগুলো খরস্রোতা হয়ে গিয়েছিল।
সেই
কোথা দিয়ে যে সময়গুলো পালায়, পাই না আর টের
সময় হতে নিজের জন্য সময় আর করতে পারি না বের;
সময় ব্যস্ততার যাতাকলে ফেলে
আমি ছেড়ে উড়ে যায় দূরে, ডানা মেলে।
পাই না নিজের জন্য সময় আর অফুরন্ত
মন যে হয়ে উঠলো দুরন্ত;
সয় না আর সয়
আমার পাশাপাশি একটা বিকেল—ডুবে যাচ্ছে
হাওয়ার ভেতরে—তারপর গতদিনের জ্যোৎস্না
আজও ফিরে এল, শরতের আলাপে বসে থাকি
দীর্ঘ আলাপ শেষে—পাহাড়ের গারোভাষা যেমন
পাতাছেঁড়া বিদ্যাগ্রন্থ–টিলার গাছ আয়ত্ত করছে
ঘাসেদের বুক চিরে পথ করা মানুষের মনস্কতা—
কখনো তোমার মুখ—কখনোবা আধুলি রূপ
আর বিষণ্ণতা জানতে চেয়ে এখানে দণ্ডিত হই
আমাদের আলাপ বেঁচে থাকলে দেখা হবে
চোখ আর
আমাদের বাসার সামনে দিয়ে যে সরু রাস্তা
সবুজ পরিধান করি তুমি রোজ যাও;
তুমি বোধহয় নবম শ্রেণী,
আমিও। তোমাদের স্কুলের বিপরীতে
শ্যাওলা পরা যে দালান ক্রমে ক্ষয়িষ্ণু
হচ্ছে; তার কোন এক ক্লাসে
এলজেব্রা কষতে গিয়ে আটকে যাচ্ছি।
অমনোযোগী ছাত্রের প্রতি
বিপিন পালের কোন দয়ামায়া নাই।
এলজেব্রা কষতে গিয়ে
আমি
ওগো মহান কবি, বিশ্বকবি
আজ তোমার জন্মতিথির
এই মিলন সন্ধিক্ষণে
লহ মোর সহস্র প্রণাম।
তুমি মোর গুরু, তুমি মোর পিতা
তোমার গানে পাই আমি কথা —-
সে গান আমার কণ্ঠে বাজে।
তার সুরের কোমল মূর্ছনায়
আমি মুগ্ধ, অভিভূত
নয়নের ধারা বয় অবিরত।
আমি খুঁজে পাই তোমায়
তোমারি গানে
প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়ালে
দেখতে পাই আমার
অন্য এক অস্তিত্ব,
যেখানে আমার গোপন ক্ষতগুলো
দগদগে ঘা হয়ে ফুটে ওঠে।
আমার চারপাশে অসংখ্য আয়না
বার বার ক্ষতগুলোকে
চিনিয়ে দিতে চায়,
ক্রমশ সরে যাই নিরাপদ দূরত্বে।
সঠিক আয়নার সামনে
দাঁড়ানো হয়ে ওঠে না আর।
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৪ বার দেখা
| ৩৩ শব্দ ১টি ছবি
একদিন বৃষ্টির তোড়ে ভেসে যাওয়া কিছু কথা
আজ বৃষ্টির জলের সাথেই ফিরে এসেছে
দৈবাৎ কোনো শকুনের চোখ পড়েনি
দৈবাৎ কোনো প্রকাণ্ড দেহি চিল ছোঁ মারেনি!!
হয়ত এভাবেই ফিরে আসবে পড়শির অধিকার
হয়ত এভাবেই ফিরে আসবে বাপ-দাদার উত্তরাধিকার!
ওদের কারো কারো চুনকাম করা অদ্ভুত মুখ
কেউ কেউ বিপন্ন প্রজাতির গুটি বসন্তে
নিশ্চয়ই পূর্বজনমে আমরা একই সমুদ্রে বসবাস করেছিলাম।
দ্রবণে ছিলাম তবে নোনাজল,
আর আমাদের প্রতিবেশী ছিল মনুষ্যপাথর সকল।
পাথরের ভিন্নচোখে দেখা হয়, যে ভবিষ্যত
মানুষের পদরেখা সে ছায়ায় একা হয়ে থাকে
কেউ পড়ে শিরোনাম, কেউ বসে মুখছবি আঁকে।
আমরা কি তবে সেই এঁকে রাখা জীবনের আলো
কালি আর রঙ মাখা- নগরের আদিম