যে লহমায়
নিবিষ্ট আমার সমগ্র জীবন
যে হাসিতে নিরাময় ব্যাধি
যেই রমণীর চোখের জলে –
বুকে নামে বাণ,
উথাল পাতাল
যার একটি চুম্বনে বেঁচে রই আমি
প্রাণান্ত প্রেমেঅনন্ত কাল ;
তারে আমি দিইনি কিছুই!
এক চোখে রেখেছি হিজল
অন্য চোখে তমাল!
এক ধ্যানে ঘুমাক পিয়াসুর মন
অন্তরীপে উঠে ঝড়- অন্য যাতনে
পোড়ে
সন্ধ্যা উড়ে যাওয়ার পরে একটা
বিকেল পড়ে আছে
সুন্দরময়ী নরক গুলজারে প্যাঁচানো
দূরের কোনো তর্ক-আনন্দ আর
তানপুরায় লিরিক বিষাদের জন্ম;
স্রেফ আলাদা হতে গিয়ে সুস্বাদু ঘাই
ফিরে আসে দ্বিগুণ বিসর্গ হাসি নিয়ে
খ্যাতির মর্ত্য-চৈতির কবুতরি চাঁদ
সুতরাং এই মুহূর্তে প্রতীক্ষা ঝরে পড়ছে
সদ্য নীল অবসরে নিজের আয়ু
লিখতে লিখতে সুতোর ববিনে
সেসব নির্জন চোখের দৃষ্টি
আমার সংগ্রহে এখনও রয়েছে কিছু গোপন পাথর। গায়েবি
ডাক জানা পাখির পালক। আছে কিছু জলরশ্মি— যে জলে
আলোর মশাল হারিয়ে গিয়েছিল একদিন। অপরিচিত নৌকো
তার গলুই ডুবাতে ডুবাতে, রেখেছিল যাত্রীদের নাম লিখে
কাঠের তলানিতে। ফুটো হয়ে ভরে যাওয়া জল,হরণ করেছিল
একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম চুম্বনের দীর্ঘ বিবরণ।
গায়েবি এলেম শিখে যে
লাল সাদা প্রেম
উম্মুখ বাউল মনের কি ভাবনাময়
দিন রাতের স্বপ্ন-
কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বুঝা কঠিন
তবু লাল সাদা
প্রেম- গড়ে গড়ে যাচ্ছে মৃত্যু সুখের
মাটি ছোঁয়া ঘাসে-
ঘাসে অথচ বুঝার শক্তি হয়ে উঠে না,
লাল সাদা গায়;
শুধু নেশায় নেশায় চলচ্ছে উম্মুখ
বাংলা ভাষা আমার মায়ের
ভালোবাসি খুবই,
কথা কই বা কাব্য লিখতে
ছন্দ মালায় ডুবি।
বীর বাঙালি রক্ত ঢেলে
আনল বাংলা ভাষা,
জনগণ তাই বেজায় খুশি
পূর্ণ মায়ের আশা।
সালাম রফিক বরকত জব্বার
বাংলা ভাষার তরে,
রক্ত স্রোতে ভাসিয়ে প্রাণ
আনে বাংলা ঘরে।
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
বছরে যেই আসে,
বাংলার
উপোস বইসা আছি। তিনজনে-
এক প্রকার অগোছালো ভ্রমে
ছেঁড়া রাত্রি-খিদা আর মাঝবয়স
অসুখের মতো ধারণ করে যাচ্ছে
তিনজন একসঙ্গে হেসে উঠলাম
স্লাইস পাউরুটির নুনকৃত গন্ধ
তিনকাপ চা মনে পইড়্যা আছে
সাংঘাতিক খিদা, খাইয়্যা দিলাম
বিন্দুর মতো; সকলে চুপচাপ-
এই ঈষৎ বেদনার পাশাপাশি
একজন ভাত রাঁধুনি দরকার!
এই যে
এতো বাঁচার নেশা,
সুখের আকুতি,
জীবনের উন্মাদনা
মগ্ন জুয়ার আসর, জেতার সম্ভাবনা
প্রার্থনার গভীরে গুপ্ত প্রার্থনা
এত প্রাপ্তি-
এত দেনা
এত মোহ, মৌজ- মাস্তি;
ভোগের বাহানা!
এই যে
এতো হাসি বিনয়,
এই অভিনয়, রাগ- অনুরাগ, গড়িমসি
উত্তর দেবে-
মৃত্যুর মোহনায় দু’ফোটা নীরব অশ্রু
অথবা রক্ত মিশ্রিত ঘাম!
কেউ না কেউ। কিংবা সবাই
গোপনে বলবে- আসলে
“লোকটা