চল চল,
হেলিকপ্টার নামছে দেখবি চল
সাথে নিয়ে নে এলাকার দলবল,
নারী পুরুষ সাথে চল।
চলরে চলরে চল!
বল বল,
কে নামছে আর কোথায় নামছে বল
তাড়াতাড়ি সবাই এগিয়ে চল,
নামলো বুঝি মানুষের ঢ্ল।
চলরে চলরে চল!
ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ গ্রীষ্মের রৌদ্রের তাপদাহে হাঁটছি,
শুধু তুমি আসবে বলে।
তোমার আগমনের বার্তায়,
মধুমাসের সকল ফল বাড়িতে এনেছি,
তুমি আমি একসাথে তা খাব বলে।
ওগো প্রিয়, তুমি ছিলে না তাই
আমি কোনো দিন গ্রীস্মের রৌদ্রর তাপদাহে হাঁটিনি,
খায়নি কোনো ফল মধুমাসের।
ঊনচল্লিশ
জানিস অনুসৃতা,
তোর রাগ গুলো অসমাপিকা ক্রিয়া
মনে হয় আমার কাছে।
তোর রাগান্বিত জ্বলজ্বলে দু’চোখের
টলমলে জলের ভাষা যে আমি বুঝি।
তাই ভাবতে বেশ ভালই লাগে –
যাক কেউ একজনতো আছে
আমার উপর রাগ করার।
কেন বুঝেও থাকিস চুপ করে?
কেন বুঝিস না তুই,
অসমাপিকা রাগে আক্রান্ত কেউ
থেকে যায় অপেক্ষায়,
দিন শেষে তোর স্পর্শ পেতে।
বসন্তের দিনগুলো তোমাকে বারবার মনে করিয়ে দেয়।
সেদিন আমি একা হাটছিলাম টিএসসির পথ ধরে,
তুমি সঙ্গে ছিলে না, দূর থেকে কথা বলছিলে।
টিএসসির মোড়টা তখন পরিপূর্ণ মানুষের ভিড়ে।
কেউ একা, কেউ বা প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে এসেছিল ঘুরতে।
সেখানে শুধু তুমি ছিলে না !
আমি একা হাটছি আর তোমায় ভাবছি।
হলুধ গাধা
কদমফুল বিলকুল খা খা রোদ্দুর
ছুটবি হেথা, থামবি কোথা, কদ্দূর?
-ওরে তুই ঠিকানা খুঁজিস কার!
পথ আছে যার শুধু চলবার
পথেই ছন্দ-আনন্দ, পথে সুরাসুর।
ঠিকানা একটা ছিল ছন দিয়ে ঘেরা
তাতে বেধেছিলাম ছোট একটা ঢেড়া
পিপিলিকা দল ছুটে যেত স্ত্রত
আকাবাকা পথটি হয়ে সাব্যস্থ
ভিন্ন ভাষায় সুখ যে পাই না
মায়ের ভাষায় সুখ,
নিজের ভাষায় কথা বললে
গর্বে ভরে বুক।
বাংলা করতে রাষ্ট্র ভাষা
গেলো কতো জান,
অন্য ভাষায় কথা শুনলে
দুঃখে ভরে প্রাণ।
তাই এসো গো বাংলা বলে
মিটাই মোদের আশ,
বাংলা আমার মায়ের বুলি
বাংলা মোদের শ্বাস।
বলো বাংলা সবাই ওগো
বাংলায় গাও সে গান,
শস্য
জালের বিস্তার দেখে ফলিয়েছি জলের পসরা। বেগুনী
ভুলের বিপরীতে জমা রেখেছি আরো কিছু বাষ্পের বপণ।
ভাষার অব্যক্ত অভিসার। বুকে নিয়ে পাখি-
উড়ে যাবে, তারপর জমাট মেঘের দেশে মিশাবে নিজেকে,
এমন প্রত্যয়ের কাছে ঠিক তোমার মতোই বাষ্পেরা রেখেছে
কথার অভিজ্ঞান। নির্মাণের ধ্যান সমগ্র। নিমগ্ন পাখিরা জানে
মাটিমুখী ছায়ার ওজন, আর পাথরেরা
দুই হাজার বিশ,
তোমার আগমনে ধরা থেকে
চলে গেছে সকল সুখ শান্তি
আক্রমণ করেছে অজস্র জীবানু
মানব জীবন গুলো তোলপাড় করেছে
ভয়াল করোনা,
নেই মানব মনে শান্তি, শুধু আতঙ্ক।
শুধু ভয়।
পঙ্গ পালের আক্রমনে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলার কৃষক
ক্ষেতের
গান শুনে যান, (বা)গান দেখে যান
যদি না, গেয়ে উঠে অন্তরের তানপুরা
বুঝবেন,
পাতা হয়নি কান, দৃষ্টির নিশানা !
অথবা,
তা – গান নয়, হয়তো কোন স্লো গান
এই সমাজে
পায়নি যে- তিল পরিমাণ স্থান!
যে বিদ্রোহী, দাবী তুলে জ্বলেনি দাবানলে
কান্তার নির্বাণে পুড়েছে সে নিজে;
দেখাতে যায়নি ক্ষত
নিভৃতে গলেছে অশ্রু, ডুবেছে, রক্তে,
প্রেম দাও
গতকাল রাতে কিছুতেই ঘুমাতে পারিনি,
কিছুক্ষণ পরপর নয়নের জলে বালিশ ভিজেছে।
হে প্রভু তুমিতো জানো,
সন্তানকে আমরা কতটা ভালোবাসি!
সন্তানের জন্মের যে রসায়ন তুমি আমাদের
শরীরে দিয়েছো
আমরা তার খবরও রাখি না
শুধু প্রেমোন্মাদনায় কাঁপি-
কেউ যদি কখনও এই সন্তানেরে অবহেলা করে,
তুমিতো জানো নিজেকে
একটি নদীর নাম শীতলক্ষ্যা
নদীটা প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত,
একসময় বহির্বিশ্বে নদীটার অনেক সুনাম ছিল,
সেই সুনামে নারায়ণগঞ্জবাসী ছিল খুবই গর্বিত।
বিগত সময়ে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ
দেখা যেতো নদীর দু’পাড়ে স্নান করার দৃশ্য,
ওইসব দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না
কালের আবর্তে সবই যেন হয়ে গেলো