তোমাকে ভালোবাসি বলে
ফিরিয়ে দিয়েছিলাম তারে
জানিনা আজ কোন ভুলে
তুমি ফিরিয়ে দিলে মোরে।
এখন আমি মুক্ত বিহগ শূন্য গগনে
উড়তে পারি দিকবিদিক দিগন্তে।
ঘরছাড়া পাখির মতো নেই পিছু টান
আজ হলো ভালোবাসার অবসান।
আমি গরম দেশের মেয়ে
এপ্রিল থেকে আগস্ট পেরিয়ে
যখন চৌচির হতে শুরু করে মাটি
তখনও থাকতে জানি
নির্বিকার- জল কাদায় হাঁটাহাঁটি।
আমার ছেলেও তেমন
অথচ দূরদেশ ওকে বার্তা পাঠালো,
এই দেশে আয়, আয় ছেলে আয়-
অমন হিমের ভেতরে ও’ নির্দ্বিধায় হেঁটে
এই সন্ধ্যাপথে, একটা সবুজ বিকেল নিয়ে
বুকের বাহাসে বেঁধে রাখি আর অন্তর রঙ
যেমনি হোক সকল দূরত্বকে জানা হবে
কেন ঝরে গিয়েছিল সব সুন্দর, লজ্জামান-
কাঁচের গ্লাস থেকে জলটুকুর বনিবনা এবং
একটু পর পরই ভাত ফুটতে থাকার মতো
গাঢ় হয় সেসব ভাপ, এমন প্রস্থান মুহূর্ত
কেবল পালটে দেয় কামনা রূপ, কাকাতুয়া;
ফলে
হে অতীত, হে মেঘের ভবিষ্যত
তুমি উড়ে যাবে বলো না—
ধীর ছায়ার মতো সাথে থাকো এবং
রাখো এই লোকালয়ে পদছাপ, কররেখা, তর্জনী
তালুতে জমে থাকা জলের মতো
টলটলে বারুদ, বিস্ফোরণ-
রাখো সবকিছু সাথে।
আমি আলো জ্বালাবো বলে যেদিন পথে নেমেছিলাম
সেদিন থেকেই তোমাকে বলছি—
আমার চোখ পাহারা দেয়া তোমার কাজ নয়।
তুমি বরং
লাল বেনারসি রঙ শাড়ি পরে আকাশ
দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় ভোর হতে সকালে
কী মিহি হাওয়া! দেহ ভেসে যায় শান্তির সমুদ্দুরে
আলহামদুলিল্লাহ বলে হয় আমার দিনের শুরু।
আকাশে তাকিয়ে বলি নিঃশ্বাস ছেড়ে
নিতে পারছি নিঃশ্বাস
আল্লাহর করুণা না হলে পারতাম কী করতে
ভোরের আলোয় নিজেকে সুখী আবিষ্কার।
লাল বেনারসি
বড্ড স্মৃতিভ্রম হচ্ছে ইদানিং আমার
যান্ত্রিক শহরে এসে সব ভুলে যেতে বসেছি আমি
এখন আর ঘুম ভাঙ্গেনা দোয়েল কয়েল শালিক আর ময়নার গান শুনে!
ভুলতে বসেছি মধ্যরাতে ঝিঝির মিষ্টি-মধুর ঘুম পাড়ানি সুর।
আমি এখন হয়তো আর পরখ করতে পারবো না; কোনটি শালিক কোনটি ময়না!
কলমিলতার ফাঁকে ফাঁকে ডাহুকের
আজ আবার একটা তরতাজা প্রেম এইমাত্র বাসি হলো,
এখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নতুন প্রেমিকা,
আমিও স্মিতহাস্যে ওদের অদল-বদল করে নিয়েছি;
যেভাবে অদলবদল হয় নতুন-পুরাতন লাল-নীল
কোর্তা ঠিক ঠিক সেভাবে; তবে এবার সে ধরা খাইছে,
ধরা খাইছে পলাতকা বেদুইন বেদিল সময়ের হাত ধরে!
বলছিনা গেলো
মূলত স্মৃতিলেখাই মৌলিক মেঘের ছায়া। যেসব ঘটনা
আত্মজীবনীর সাক্ষী হয়ে থাকে, তার পাশাপাশি উড়ে
যায় শাদা শালিকের ঝাঁক। তারা বলে যায়- আমরাও
সাথী ছিলাম বিগত সকল মৃৎশিল্পের। ঝিনুকের
বুকে লুকিয়ে থাকা মুক্তোর মতন, উজ্জ্বল ছিল বেশ-
আমাদের সংসার।
লিখিত আখ্যান নিয়ে যে গোলাপ রৌদ্র সাজায়, মূলত
সেই পর্বই মানুষের মৌলিক প্রেম।
ছাদহীন,
কোনো কিছুই ব্যক্তিগত নয়
আহাম্মকের মাথায় ভর্তি একের পর এক
গুনতির বস্তা এখন রাষ্ট্রের সম্পত্তি,
সমস্ত দ্বৈত ও অদ্বৈত দ্বন্দ্ব
ক্রমশঃ বেড়ে যাওয়া ধর্ষকাম
অন্ত্র থেকে জরায়ুমুখে সূচের বিছানায়
ছটপট করতে থাকা নাদান কিশোরী
আর বন্ধ এটিএমের খাঁজে
কাকুতি লুকোনো বলিরেখা
একদিন যারা বাঁচতে চেয়েছিল।
আরেকটা নির্ঘুম রাত পেরিয়ে গেলে
নিজের অজান্তে রাতচরা পাখি
ড্রেসিংটেবিলের আয়না কোনো কিছু মনে রাখে না
না হাসি, না বিষাদের মুখ, যতবার সামনে দাঁড়িয়ে
মৃত্যুকে রেখে আসি, ততবার স্মৃতির সিথান হতে
কচ্ছপের বালিজীবন, সমুদ্র পেতে পেতে
কপালের পেশিতে জ্বরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে
সমস্ত শরীর বেয়ে খেলে-ঘোড়াক্ষুর লাথির মতো
অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি সবুজ হাওয়া,
নেমে আসে চেনা বিকেল-গহিন জঙ্গলের
পাতাঝরা আলো, মন চায়-আলোটুকু,
কোনো