মনে আছে, সে-বছর তোর ভীষণ অসুখ?
দিবারাত্র কষ্ট, খিদে নেই ঘুম নষ্ট –
এক অসহ্য সুখে তোর পুড়ে যেত বুক।
শোনিত মধ্যে ফুলে ভরা আস্ত একটা মার্চ গাছ
মাথা দোলাত হঠাৎ হঠাৎই হাওয়ায়
হাওয়ারও বিরাম ছিল না দু’বাড়ি আসা-যাওয়ায়
তোর মাথার ভেতর, নিঃশ্বাসে তখন একটাই নাম
বললাম, ভালো নয়,
আফসোস!
যদি একবার বিশ্বাস করতে
যদি একবার হাত বাড়িয়ে দেখতে
কেন বুঝোনি?
তুষের অনল নিভৃতে জ্বলে
জ্বলতে
জ্বলতে
পুড়তে
পুড়তে
ছাই হয়ে উড়তে উড়তে
আমি
সুযোগ পাইনি তোমাকে বোঝাতে!
আফসোস!
যদি একবার পড়তে
সহস্র কবিতার যে কোন একটি!
তবে-
নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারতে;
বুঝতে
আমার অজস্র রাত বিনিদ্র যন্ত্রণা
এক একটি মুহূর্ত
ছুঁতে পারতে-
বেদনা বিগলিত কান্না আর সম্যক উপহাস!
আমার
‘ইহা একটি মুদ্রিত ছোটকাগজ’- শব্দগুলো দেখার পরই আমি জেনে যাই
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে এই গঞ্জে অনলাইন ভার্সনের কোনো অস্তিত্ব
ছিল না। ডিজিটাল ধ্বনি কন্ঠে নিয়ে কোনো কোকিল এখানে গাইতো না
গান। রিমিক্সড গীটার বাজিয়ে কেউ রুদ্ধ করে দিত না সানাইয়ের অপূর্ব
মিলনসন্ধ্যা। পরস্পরকে ভালোবেসে যারা হাত
ভেবে ভেবে লিখবো,
সাজাবো কবিতার খাতা শব্দে শব্দে,
কিছু মানসম্মত কবিতা বেরোবে কলম হতে
হয় না এমন হয় না আর, আমার কবিতার প্রহর
কেড়ে নেয় সময়।
মানহীন কবিতায় ভরে রেখেছি হৃদয় খাতা;
তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতায় পড়ে থাকে কষ্টে বোনা সব শব্দ
কবে জানি পাবো ফিরে আমার কবিতা লিখার
নারী দিবসে সকল নারীকে সম্মান জানিয়ে
শান দিয়ে রেখো
মরচে ফেলো না,
ঝলমলে তরবারী
কোন দিবসের
সুতো বাঁধা নয়
উজ্জ্বল তাই নারী।।
নারী নয় কোনো
দেয়ালের ছবি
দিন যাওয়া
কোন মতে
পদরেখা তার
ছড়িয়ে গিয়েছে
মরু নদী পর্বতে।।
ইতিহাস ঘেঁটে
পৃথিবীকে দেখ
হাজার লক্ষ
গল্পহীন নদীটার কথা অনেক অনেকদিন বলা হয়নি
সে এখন না নদী আর না নারী
অথচ একদিন সে কতো লাবণ্যময় কবিতা ছিলো!
শীতলপাটির মতো প্রাণের উপর প্রাণ বিছিয়ে দিতো
তার শব্দেরা মৌমাছির আজন্ম গুনগুন হতো
সেও ছিলো টুকটাক কোনোএক অলৌকিক জীবন;
সেখানেও তামাশার রাত কোনোদিন শেষ হতো না
অবলীলায় হারিয়ে যেত
নারীর রূপ বোরকাবন্দি
বোরকার অন্ধকার জেলে করে বাস,
নারীর রূপ মুক্ত পৃথিবী
দেখতে পারে না
বোরকা জেলে করে হা-হুতাশ।
নারীর রূপ বোরকাবন্দি থাকবে
মুসলিম ধর্মকোর্টে পাশ,
নারীর রূপ মুক্তি পাচ্ছে না
বোরকার অন্ধকার জেলে হচ্ছে নাশ।
নারীর রূপ বোরকাবন্দি
থাকবে কৃতযুগ,
জেগে উঠো নারী
নিজের রূপ উন্মোচন করে
ধর্মান্ধদের আইনের ধরিয়ে
দিবসকে পাশে রেখে আমি খুঁজি তরল আকাশ
যে আকাশ চিরদিন ছায়া হয়ে থেকে যাবে পাশে,
পাখিদের গানে গানে, পুষ্পদের
স্বতন্ত্র বিন্যাসে
এ জীবন সম্মিলিত- এ জীবন
প্রেমের প্রকাশ।
তোমাকেই ধ্যানী জেনে, পাপড়িগুলো দেবো প্রিয়তমা
অক্ষরের অনুরাগে যে ঋতু অপেক্ষায় থাকে
বসন্তে সুবাস ছড়ায়, বর্ষায় ঢেউচিত্র আঁকে
জলাচলে এই প্রেম চিরদিন রেখে