অমর একুশের কবিতা
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বাংলাকে মাতৃভাষার দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকদের মত অগণিত ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। শত শহীদের রক্তে লেখা মাতৃভাষা এই বাংলা ভাষা। আমরা হারি নি, হারতে পারি না, আমরা লড়াই করতে
একুশ আমার একুশ
তুমি এসো বারেবার
তোমার বুকে জন্ম নিবো
আমি শতবার।
একুশ আমার রক্তে কিনা
রক্ত মাখা ফুল,
একুশ আমার বুকের ঘরে
পোষা বুলবুল।
একুশ আমার আত্মঅহমিকা
হাজার সুরের গান
একুশ আমার এই হৃদয় মাঝে
হারানো এক প্রাণ।
একুশ আমার বায়ান্ন প্রভাত
রক্ত স্রোতধার।
একুশ আমার একুশ
তুমি এসো
ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ শীতের হিমেল হাওয়ার স্পর্শে কাপড় গায়ে জড়িয়েছি,
শুধু তুমি আসবে বলে।
তোমার আগমনের বার্তায়,
আমি শীতের পিঠাপুলি তৈরি করেছি,
এনেছি তোমার প্রিয় খেজুরের রস।
ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে না তাই,
আমি কোনো দিন শীতের পিঠাপুলি খায়নি,
আনিনি কখনো আমার
নিঃস্ব হতে হতে যে খুঁজে পায় মাটি
তাকে বাংলাদেশ বলা যেতে পারে।
পতনে পতনে যে উত্থানের স্বপ্ন দেখ
তাকে বাংলাদেশ বলা যেতে পারে।
আড়ি দেয়া বালিকা পুনরায় বন্ধুত্বের
আহ্বান জানান। গোস্বার প্রেমিকা
গোধূলি বেলায় পাঠায় নীলখাম। দূর
মাঠের অভিমানী পুত্র ঘরে ফিরবে না
প্রতিজ্ঞা ভুলে ফিরে মায়ের আঁচলে।
ঘরে
প্রভাত ফেরি তোমার অপেক্ষায়।
ভাষার জন্য যারা দিয়ে গেল প্রাণ,
সফিক, রফিক, বরকত, শফিউর, জব্বার।
তোমাদের আত্মদানে বাংলা ভাষা আমার।
মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের ঋণ আমরা শোধিব কেমনে,
অকাতরে বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছ রাজপথে ভাষার জন্যে।
এই বাংলায় যতটা পথ হাটি তোমাদের খুঁজি।
প্রতিবাদের মুখগুলো আজ এ বাংলায় কেন তোমাদের অভাব ?
এই
মাঠের পরে ঘর দেখি
সোনালি মুখের হাসি;
নদীর বুকে ঢেউ দেখি
সকাল দুপুর সাঁতার কাটি;
কত নামের বাহার শুনি-
আমার নামের হিংসা পুড়ি!
প্রেমের কথায় শুধু আগুন
অনেক দূরে গেলো ফাল্গুন
তবুও ঘর দেখি বাড়ি দেখি
আইলপাথারের মুখোমুখি
মেঘলা বাদল ঝরে আস যদি
হাত স্পর্শে ভরে যাবে মাটি।
০৭ ফাল্গুন ১৪২৬, ২০
ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ দেখছি গগনে শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা,
শুধু তুমি আসবে বলে।
তোমার আগমনের বার্তায়,
আমি শিউলি আর কাশফুল তুলে এনেছি,
তুমি আমি একসাথে দেখব বলে।
ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে না তাই,
আমি কোনো দিন শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা দেখিনি,
দেখিনি
যদি না পাও খুঁজে
আমি যে পথে চলিতাম
জানবে তুমি, আমি গিয়াছি সরে
জানবে হৃদয় খোলা রেখে
আমি শত মাইল দূরে হারালাম।
শত মাইল, শত মাইল, শত মাইল
শত শত মাইল দূর হতে সৌরভে
তুমি এই পথে গাওয়া গান শুনতে পাবে
শত মাইল দূর হতে আমাকে
ছয়
দেখে মনে হবে রেস্তোরাঁ। আসলে বাইরের ঘর।
মুখোমুখি ব’সে প্রেমকাহিনি বাড়িয়ে নিচ্ছিলাম
একবারও দৃষ্টি সরাচ্ছে না উজ্জ্বল আনন্দিত
চোখ সে মেয়ের। অল্প নিউরটিক কি ঝিলাম?
তাকানোর মধ্যে একটা গোগ্রাস আছে। সে যেন
প্রেমের কাছে পিণ্ডদান চায়। আঙুলে আঙুলের
শেকড় জড়ানো, উঠতে গিয়ে মন অপরাধী।
‘চলে যাচ্ছ! ভেবেছিলাম আজ দুজনে ধরা
রাতগুলো কত কাছাকাছি এসেছে
দিনগুলো দূরে সরে আছে,
আমি মেঘ হব শ্রাবণ রাতের
আকাশে:
এই আমি একমুঠো রৌদ্দুর হব
দিনের আঁচলে
আমার দুচোখ সমুদ্র টলমল জলে
সবুজ শ্যাওলারা বেড়ে ওঠেছে
তোমার চোখে এক খণ্ড নীল মেঘ
অরণ্যের সবুজাভা স্বপ্ন ছুঁয়ে আছে;
গুড়ো গুড়ো মেঘ বৃষ্টি ঝরায়
আমার কালো কাজল চোখে
রাত্রি শেষে
নির্জনা
বিধ্বস্ত আয়নায় প্রতিচ্ছবি
দেখে নিজেকে চিনতে পারছি না
আয়নার ওপারে যে মুখ
আমি নই, তবে মায়া জাগ্রত হচ্ছে।
এমন পরাজিত মুখাবয়ব জীবনে
অবলোকন করিনি। চোখে হতাশার
দীঘি। জীবনের ঘাটে পরাভূত,
জীবনের ভারে মুষড়ে পড়েছে।
বইবার ক্ষমতা তার ফুরিয়েছে,
শুধু শোয়ে থাকা বাকী।
আয়না বিধ্বস্ত নয়, বিধ্বস্ত
আমি, দীর্ঘ ঘুমের আগে
জীবনের
ফাগুন বেলা
এমন এক পলাশ রাঙা পথে
ফাগুন এলো আগুন রঙা রথে
কুয়াশা এসে ভিজিয়ে দিলো ধুয়ে…
আজও নাকি তেমনই এক দিন
উঠবে রেঙে যা কিছু রঙহীন
আমিই শুধু আমায় আছি ছুঁয়ে…
আমার মন উদাসের দিনে
সুখের দামে দুঃখগুলো কিনে
কষছি হিসাব সেই পুরনো খাতা …
রক্ত মাখা আলভোলা
চল চল,
হেলিকপ্টার নামছে দেখবি চল
সাথে নিয়ে নে এলাকার দলবল,
নারী পুরুষ সাথে চল।
চলরে চলরে চল!
বল বল,
কে নামছে আর কোথায় নামছে বল
তাড়াতাড়ি সবাই এগিয়ে চল,
নামলো বুঝি মানুষের ঢ্ল।
চলরে চলরে চল!