কেমন বৃষ্টি আজ!
ভেসে যাচ্ছে সব, জেগে উঠছে স্মৃতি।
যা ছিল সহজ সরল,
তা-ই করে কারুকাজ
মনে আনছে,
সৌন্দর্যের বিপুল আকুতি।
অই যে বালকের দল
ডুব সাতার দিচ্ছে পুকুরে!
আমিও ভাসছি নাকি তাদের সাথে?
কোন একদিন, আহারে!
অই
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯২ বার দেখা
| ৬৬ শব্দ ১টি ছবি
একটা কিছু তো রেখে যেতে পারি,
থাক না কবিতা লিখার অভ্যাসগুলো
যদিও বদভ্যাস বলে কেউ করে ভৎসনা,
তবুও নিজের বলে কিছু তো থাকলো!
চাই না এমন বদভ্যাস পরিত্যাগ করি,
চাই না কবিতারা আমায় ছেড়ে পালাক,
অচেনা শব্দগুলো থাকুক আমি ছুয়ে না হয়,
কবিতার বুকে তো দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারি অনায়াসে।
আমায় কে চেনে
মাথায় কি মাছ রেখে দেব?
না গো, কাতলের মুড়ো খেতে চায় না বাড়িতে
তুমি শুধু কানকো ফেলে ব্যাগে ভরে দাও, ডগি-টা রয়েছে
রান্নাঘরে বাজার নামিয়ে এক ঝটকায়
স্নানখাওয়া সারি
অফিসের গেটে মাছওলা বড় এক
ভেটকির আঁশ ছাড়িয়েছে
বাবু, মাথায় কি মাছ রাখতে হবে?
নারে ভাই, পাঁচ-ছ’ টুকরো করো,
ক্যান্টিনের আশপাশে
তোমাকে শুধু একবার ছুঁতে চাই
শুধু একবার।
ওই দূরের পাহাড়ের মতো কতবার
আলতো ভাবে ছুঁয়েছি তোমায়।
বহুবার, বহুভাবে।
শুধু আমিই জানি, যখন তখন।
মন গুটিয়ে নিয়ে আবার ছড়িয়ে দিয়েছি
তোমার দিকেই।
নদীর বুক জুড়ে তোমার চলাচল।
তোমার নামেই চলে শ্বাস প্রশ্বাস।
তোমায় ছায়ায় বাঁচি, অবরে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৫ বার দেখা
| ৮০ শব্দ ১টি ছবি
হাঁসডানার মতো এই যে লম্বা অবসর, রজঃস্বলা
নগরে-উদ্যত এক হৃদয়ে ফেরে আবার প্রত্যন্ত স্বপ্ন
ওই দেখা মাস্টার হাসি,আতঙ্ক; একটু টোকা দেয়-
তোমার নদীপ্রপাত সরাইখানার শিল্পকণা পেঁচিয়ে
ঢাকার দুপুরবেলা আর একাকিনী জলছাপ শাড়ির
মিশকালো পাড় অবতরণ করে, বিস্তীর্ণ নিঃশ্বাস-
এবং সেলাই কলের নিচে সন্ধ্যার স্নিগ্ধ বৃষ্টি শাসিয়ে
সেঁকা রুটির গন্ধ, ভিন্ন বাতাস
এখন দিন কেমন বদলে গেছে, পোকা-মাকড়ের
ঘর বিলাস; একটা চিকেন গ্রিল ধরে সারাদিন সাড়া
গেছে, মধ্যবর্তী বধ্যভুমি তবুও ফিরে পেয়েছে
কিছু উন্মাদ বৃষ্টি, হয়ত সেও বড়ো কম কথা নয়;
কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরে পেয়েছিলো দ্রাবিড়
জীবন; মনে মনে আজন্ম নিঃস্ব এই আমিও এখন
নির্বিকার চেয়ে দেখি পোড়ামাটির ক্যালিওগ্রাফি!
এমনি করেই বেশ
এই জমি খুব পরিচিত আমার। এই নদীর সকল উজানী
ঢেউ- একদিন আমার বুকে রুয়েছিল যে বীজ, আমি যতনে
বৃষ্টি ছড়িয়েছিলাম সেই মনবৃক্ষে। জোড়াসাঁকোর ভোরে
খুব একাকী পড়েছিলাম গন্তব্যের গীতবিতান।
এই গান খুব স্বজন আমার। যে প্রেমিকা আমাকে হাত ধরে
নিয়ে গিয়েছিল প্রান্তিক চত্বরে- সেদিন সেখানেও উপস্থিত
ছিলেন একজন রবীন্দ্রনাথ। তিনি
পড়ন্ত বৈকালে, একটা খেলার মাঠ খুঁজে
আমার মনোরথ,
যার একপাশ দিয়ে সর্পের মতো এঁকে-বেঁকে
বহুদূরে গেছে স্বপ্নিল মেঠো পথ।
যেখানে নেই সেই কিশোরের দল,
হাতে হাতে মোবাইল নিয়ে আনত মস্তকে
গোপন কোন ছবি দর্শণে ব্যস্ততায় যারা অটল।
নেই হরেক খেলায় কোলাহলরত দুষ্টু মতির পরিবর্তে
বেপরোয়া এক ছাগ,
গড়লেও বাচ্ছারা
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯০ বার দেখা
| ৯৮ শব্দ ১টি ছবি
মেঘাচ্ছন্ন দিনে মেঘ হৃদয়ের
মেয়েকে জিজ্ঞেস করি
বৃষ্টির খবর। ঈশানে; রাজা প্রলয়
প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, মেঘের
জবাবের পুর্বেই তিনি
জোরেশোরে এসে পড়লেন।
প্রথম ধাক্কায় উড়ে গেল
কদলী বৃক্ষ। দাদাজানের
পুকুরে পাতা ছিল মৎস শিকারির
জাল; রাজা প্রলয় তার বুক
বিদীর্ণ করে পাশের বাড়ির
সফেদা গাছের সাথে কুস্তি
করলেন।
আমার প্রেমিকা শরীফা
তারা বাংলার পাট শ্রমিক,
শ্রম দিয়ে পায় পারিশ্রমিক,
শরীরের ঘাম ঝরায় দৈনিক,
তারা জীবন যোদ্ধা সৈনিক।
তাদের শ্রমের মূল্য যতসামান্য,
তবুও যা পায় তাতেই হয় ধন্য,
বেশি পাবার আশা খুব সামান্য,
আশায় থাকেও না বেশির জন্য।
শ্রমজীবীরা পারিশ্রমিক পেলেই খুশি,
সবসময়ই থাকে মুখে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৪ বার দেখা
| ৫৭ শব্দ ১টি ছবি