মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! বেতনটা বাড়িয়ে দিন।
আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী
কতই বেতন পাই!
পাঁচ ভাই বোনের সবার বড়, বাবা দিন মজুর
মাস শেষে বাড়িতে টাকা দিয়ে না খেয়ে কাটে দিন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেতনটা বাড়িয়ে দিন।
আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে স্বল্প মাইনের কর্মচারী
দুই সন্তানের স্কুল ফিস, হাজার দশেক
আধো আধো ভাঙা জলধোয়া রাস্তায় অনেকটা প্রহর
কেটে গেলো আজ, কোথাও কোনো অসঙ্গতি নেই!
সত্তরের দশকের একটা জারুল গাছ সেও দেখলাম
সেও বেশ আছে, একজন তালপুকুর তার কাছে পাওনা
চাইতে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,
তালপুকুর জানে ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে;
সেদিকে জারুলের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, সে বেশ আছে!
এতো
এসো
পাখিদের মালা বদল দেখি
বন-বনানী মেরে ফেলবার আগে
ডানার ভেতরে শরীর
এক মোহরে ভায়োলিন সুর
আর দুলে ওঠা গাছস্তন ঘ্রাণ-
অথবা মাছেদের জলগোসল
বাদামফুলের দিনগুলো
ডানাহীন ওড়া রোদ-ছুট সন্ধ্যা-
যা কিছুর নতুন মুদ্রণে প্রকাশ
এসবের ধৈর্য শেখানো গান
তারপর সজীবে আক্রান্ত হই।
জগতের অপর পাড়ে
হেঁটে হেঁটে কতকিছু খরিদ করলাম।
আমার সঞ্চয়ে আছে
স্ট্যাচু অফ লিবার্টি
আইফেল টাওয়ার
বুর্জ আল খালিফা
ব্লু মস্ক
বার্লিন ওয়াল
বাকিংহাম প্যালেস।
আছে
ইজিপ্টের দুই প্রস্থ পিরামিড
আর বেবিলনের সেই ঝুলন্ত উদ্যান।
শাহজাহানের স্মৃতি বিজড়িত তাজমহলে
প্রেমের ওয়াদা করে
প্রেমিকাকে নিয়ে নায়েগ্রা ফলসে
আমি প্রতিটি পতনের পরে জেগে উঠবো
পৃথিবীর মহাপ্রলয় শেষে
ধ্বংসকে উপেক্ষা করে ধ্বংসের মহাসাগর থেকে বেরিয়ে আসবো।
জেগে উঠবো তোমারই আশায়।
এবং আমি শেষ পর্যন্ত জেগে উঠবো
হার না মানা পৃথিবীর পান্থশালায়
ফিরে আসবো তোমার চলা পথে পথে।
এবং লম্বা হয়ে দাঁড়াব দুর চোখে দেখবো।
এই সুদূর
আমায় নিয়া যাবে বন্ধু
আমায় নিয়া যাবে?
এই যে পাহাড় ঐ যে নদী
যেতে মত বদলাবে?
যাবে বন্ধু নদীর পাড়ে
ভাসবে ডিঙি নায়ে,
একটুখানি খোলা হাওয়া
দাও লাগিয়ে গায়ে!
ঐ যে গিরি এই যে ঝর্না
যাবে নিয়ে আমায়?
জীবন খাতায় দেবে গড়ে
সুখের কাব্যনামায়?
ঝর্না ছুঁবো স্বচ্ছ জলের
ইচ্ছে করে যেতে,
ইচ্ছের মালা বায়নার
নিবিড় মেঘে ঢাকা তমসাবৃত আকাশ
শুভ্র চাঁদের আলোয় ভরে যায়
মেঘ সরে গেছে, মেঘের ফাঁক দিয়ে
ফুটে ওঠে সুস্পষ্ট চাঁদ আর তার দীপ্তি
রাত্রি তারার আঁচল বিছিয়ে দেয়
মৌন পরিক্রমায় পৃথিবী ঘুরে নেয়
তার নিজেকে একদিন এক রাত
রাত গড়িয়ে দিন, দিন গড়িয়ে রাত
তুমি এসে বললে, সে কি ঘুমিয়ে গেছে?
আমি চোখ