শুরুতে পেয়েছিলাম ভয়, হৃদয় তছনছ- টুকরা
ভেবেছিলাম সম্ভব নয় বাঁচা তুমি ছাড়া
তারপর অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি ভেবে
তিলে তিলে করেছো প্রবঞ্চনা
আর নিজেকে দিয়েছি সান্ত্বনা
দূর হও, যাও সুদূরে, দরোজাটা আছে খোলা
যেভাবে এসেছো সেভাবে, অনুভবে
তোমার জন্য আর হই না একটুও উতলা-
তুমি চলে
একদিন কল্পনায় আমি হেঁটেছি কত দূর তার সাথে,
ছুঁয়েছি চুড়ির রেশ হয়ে তারই হাত সারাটি পথ ধরে।
হঠাৎ হাওয়ার মতো আমিও দুলে দিয়েছি এক গোছা চুল তার,
নীল আচলে আমি দিয়েছি তারে বসন্তে ঝরা কত
প্রতিদিন মানুষ মরছে।
এটা একটা শুরু।
প্রতিদিন মৃত্যু থেকে
নতুন বিধবা আর এতিম জন্ম লয়।
তারা হাত গুটিয়ে বসে নতুন জীবন নিয়ে ভাবে।
তারপর তারা গোরস্থানে যায়
এদের মধ্যে কেউ প্রথম বার।
তারা কাঁদতে ভয় পায়
কখনও না কাঁদতে।
কেউ কেউ গভীর সমবেদনা নিয়ে-
কি করতে
এই সত্য একদিন মোড় নেবে
একদিন পরগাছা গাছে পুষ্প ফুটলে
জেনে যাব তোমাদের অবজ্ঞায়
কিছুই যায় আসে না।
ব্যঙ্গ, বিদ্রুপে ক্ষণিকের আত্মতৃপ্তি
পেলে পেতেও পার, বক্রোক্তি
দিতে পারে ক্ষণিকের উল্লাস!
হে নির্বোধ, দিন শেষে তার মুখেই
ফুটবে হাসি যে সত্যনিষ্ঠ ছিল।
তোমাদের উল্লাসে হতাশ নই
বৃক্ষ
সে
এক
করুণ
জীবনের
পরিসমাপ্তি।
বাবা মা দুবোন
সুখের পরিবার
হাসি আনন্দ অপার
চলে যাচ্ছিলো জীবনের
উঁচু নিচু পথ বেঁয়ে তারা।
জীবন সময়ের এক বাঁকে
কেউ যেন কোনও অদৃশ্য থেকে
জীবন পথে ভিন্ন এক ছবি আঁকে।
আকস্মিক এক রক্ত রোগ ধেয়ে এলো
দু বোনের জীবন করে দিলো এলোমেলো।
হায় থ্যালাসামিয়া! প্রতি চার মাসে বদলে
দিয়ে নতুন রক্ত নিতে হয় জীবন
কে হিন্দু, কে ক্রিশ্চান, কে বৌদ্ধ, কে মুসলমান
জিগাও কেন ওরে?
সদ্য প্রস্ফুটিত কোমলমতি শিশু
জাত পাত জানে না কি ওরে –
একই বৃক্ষের শাখা প্রশাখা ওরা
হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান ক্রিশ্চান ।
মসজিদ এই, মন্দির এই, প্যাগোডা এই, গীর্জায় বলে সাম্য
কুরআন, পুরান, ত্রিপিটক, বাইবেল বলে সাম্য
তারা সন্তান মোর মার
হিন্দু, মুসলমান,
দুনিয়ার জীবন কিছু না,
কবরে দিন শেষ হবে না।
একদিন সবাই যেতে হবে,
মাটির ঘরেই ঠিকানা।
মানুষেরে যত দিবে কষ্ট, সেই কষ্টের শেষ হবে না।
আমলেতে লেখা রবে, যাবে খোদার ঠিকানা।
হাশর তোমার প্রতিদিনই,
এখন তুমি বুঝ না।
কবে যাবে পর পারে,
সেদিন বেশি দূরে না।
মরে যাব একদিন আমি,
সব ছেড়েছি জাননা।
মন মরেছে
ভালোবাসার নদী
ভালোবেসে একটা নদী চেয়েছিলাম
যার পার ছুঁয়ে জেলেদের ঘরবাড়ি থাকবে,
সরল বিশ্বাসে পুরুষের শরীর পেতে দেবো সেই
চপলার কাছে। তোমার নদী নদী মন আমাকে ভাসাবে,
আমাকে ডুবাবে, জোয়ারে কাছে টানবে, ভাটায়
একটু দূরে ঠেলে দেবে, ঠিক নদী যেমন করে তার উপরে
ভেসে থাকা বারোয়ারি পূজার
ডাকবাক্স কেঁদে বলে, হে পথিক একটু ফিরে চাও,
আমি এখন কর্মহীন বেকার, আমাকে কাজ দাও।
আমি ছিলাম ব্যস্ত তোমাদের সেবায় নিয়োজিত,
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আমি হলাম অবহেলিত!
একসময় যখন ছিলো না এই আধুনিক প্রযুক্তি,
আমাকে ছাড়া তোমাদের হতোনা কখনো মুক্তি!
তোমাদের দেওয়া চিঠি কাঁধে নিয়ে
বর্ণিল ফুলের সৌরভ,
আমার দেশের গৌরব।
অশেষ ফলের সমাহার,
আমার দেশের বাহার ।
পাখির কন্ঠের মধুর গান,
আমার দেশের প্রাণ।
কামার, কুমার, জেলে চাষার বাস,
আমার দেশ স্বপ্নের আঁশ।
রাতের আধারে তারার মেলা,
আমার দেশ প্রকৃতির খেলা।
চৈতালি আর হৈমন্তিক ফসল,
আমার দেশের কৃষকের কষ্টের মাসল।
অসংখ্য অগণিত নদী বহমান,
আমার দেশ পলিতে অম্লান।
আমার দেশের মাটিতে