মাথায় কি মাছ রেখে দেব?
না গো, কাতলের মুড়ো খেতে চায় না বাড়িতে
তুমি শুধু কানকো ফেলে ব্যাগে ভরে দাও, ডগি-টা রয়েছে
রান্নাঘরে বাজার নামিয়ে এক ঝটকায়
স্নানখাওয়া সারি
অফিসের গেটে মাছওলা বড় এক
ভেটকির আঁশ ছাড়িয়েছে
বাবু, মাথায় কি মাছ রাখতে হবে?
নারে ভাই, পাঁচ-ছ’ টুকরো করো,
ক্যান্টিনের আশপাশে
(কয়েকদিন ধরে লিখলাম ১৯২০ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ” প্রথম অর্ধ। মাত্রই গুটিকয়েক পাঠক পড়লেন, মতামত দিলেন। মৌলবাদের স্বরূপ নিয়ে লিখতে গিয়ে উপমহাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বরূপ লেখায় এসেছে, হয়তো এটা দলভক্তদের পছন্দ হয় নি, অথবা তাঁরা
মেঘাচ্ছন্ন দিনে মেঘ হৃদয়ের
মেয়েকে জিজ্ঞেস করি
বৃষ্টির খবর। ঈশানে; রাজা প্রলয়
প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, মেঘের
জবাবের পুর্বেই তিনি
জোরেশোরে এসে পড়লেন।
প্রথম ধাক্কায় উড়ে গেল
কদলী বৃক্ষ। দাদাজানের
পুকুরে পাতা ছিল মৎস শিকারির
জাল; রাজা প্রলয় তার বুক
বিদীর্ণ করে পাশের বাড়ির
সফেদা গাছের সাথে কুস্তি
করলেন।
আমার প্রেমিকা শরীফা
(শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে একটি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ সপ্তদশ পর্ব।)
“After giving careful and serious consideration to all the materials
স্বপ্নদের কোনো ডানা নেই, তারা উড়তে পারে না। তাদের তাড়িয়ে নিতে হয় পুব থেকে পশ্চিমে। মুখোমুখি ডুবতে চাওয়া সূর্যের দিকে অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে, একঝাঁক চড়ুইয়ের মতো ব্যস্ততা নিয়ে।
চিবুকের চিঠিতে রাখা আছে এক কল্প ছবি। স্বপ্নরাজ্যে মেঘ-বাতাসের ভেজা শিমূলের ছোঁয়ায় কেঁপে
উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে বাসটা নড়তে শুরু করল শেষ পর্যন্ত। স্বস্তির পাশাপাশি এক ধরনের নীরবতা গ্রাস করে নিলো বাসের পরিবেশ। কারও মুখে কথা নেই। সবাই ক্লান্ত এবং সামনে কি অপেক্ষা করছে এ নিয়ে চিন্তিত।
প্রায়
(শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে একটি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ ষোড়শ পর্ব।)
ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জোর গলায় গণতন্ত্রের কথা
অথবা জাইগোট এর জাত কি
শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হিন্দু নাকি মুসলিম
কিংবা যে শিশুটি নিষিদ্ধ পল্লীতে জন্ম নিয়ে
জানতে পারে না কে তার পিতা
কিবা তার পিতার ধর্ম
ক্ষুধা নিবারনের জন্য দেহ বিক্রি করাই ছিল
জন্মদাত্রী মাতার ধর্ম
এবং কেউ কখনো হাত ধরে নিয়ে যায়নি মসজিদে
কেউ শোনায়নি পুরোহিতের পুরাণ পাঠ
দেখায়নি
চৈত্রের শেষে বৈশাখের যখন ঘটে আগমন,
খুশিতে হয় দিশেহারা দেশের আপামর জনগণ।
ধুমধাম বাদ্য বাজে দেশের আনাচে কানাচে,
পহেলা বৈশাখে নতুন সাজে শিশুরাও নাচে।
বৈশাখের আগমনে শুরু হয় মেঘের ঘনঘটা,
শুভেচ্ছা জানায় বৈশাখ দিয়ে বৃষ্টির ফোটা।
বছরের বৈশাখ মাসে আকাশ থাকে মেঘলা,
এ যেন অন্য এক পৃথিবী। ঘন মেঘমালা আকাশ আর মাটির ভালবাসায় সেতুবন্ধন হয়ে জড়িয়ে আছে দিগন্ত জুড়ে। পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় মেঘ দৈত্যদের অলস পদচারণা প্রকৃতির নৈসর্গিক স্তব্ধতাকে স্বপ্নিল ফ্রেমে বন্দী করে তৈরি করেছে বিস্ময়কর প্যানোরমা। প্রথম ক’টা মিনিট কারও মুখে
(শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে একটি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ পঞ্চদশ পর্ব।)
ক্ষমতা দখলের মরীয়া প্রচেষ্টায় জামাত এবার অন্য চাল দিল। সেনাবাহিনীর
তোমাকে নিয়ে ঢাকায় সেটেল হব
ভেবেছিলাম
কিন্তু ধুলোয় তোমার এলার্জি
সাত পাহাড়ের মাথায় যে বাংলো
দুজন মিলে দেখে এসেছিলাম
দামে পোষালো না
একটা লাইট হাউসের সখ ছিল
দিকভ্রান্ত নাবিকের
দিশা ফিরিয়ে দিতে
আলো হয়ে জ্বলে উঠতে
এত খোঁজাখুঁজির পরেও যুতসই
লাইট হাউস পাওয়া গেল
(শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে একটি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ চতুর্দশ পর্ব।)
ঠিক এই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক ঐতিহাসিক রায় বদলে দিল
বেলা পরে আসছে। রওয়ানা হওয়ার উৎকণ্ঠা সবার চোখে মুখে। সূর্যাস্তের পর এন্ডিসের এ এলাকাটা মোটেও নাকি নিরাপদ নয়। বন্য হায়েনা আর অপহরণকারীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয় অরক্ষিত মাঠ ঘাট। বলিভিয়া পৃথিবীর অন্যতম গরীব দেশ। দুর্নীতির হিংস্র থাবায় ক্ষতবিক্ষত এর রাজনৈতিক ও