দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যে মনে বাঁধে স্বপ্ন বাসা
শক্তি জন্মে সেই ক্ষণে পূর্ণ হয় আশা;
পদ্মাসেতু সে প্রমাণ জ্যান্ত তার ছবি
গর্ব ভরে ভাসমান, যেন হাসে রবি।
শেখ হাসিনার চিন্তা এ দেশের তরে
এ যে তাঁর প্রেমবার্তা অভিভূত করে;
অসম্ভব যেন হলো,
এই দুনিয়ায় রাহাজানি
লেগেই আছে হানাহানি
চারিদিকে দেখি,
পরের ভালো দেখলে পরে
জ্বলে পুড়ে যায় যে মরে
কেনো এমন সেকি !
এই ভবেতে অনেক আছে
দিন এনে সে দিনে বাঁচে
কেবা রাখে সে খোঁজ,
এসব খবর কাগজে পাই
ধুঁকে মরে জানি সবাই
দেখি সে যে হর রোজ।
বন্ধু ভাবি যখন যারে
টানি মোরা
যেই আঁধার থেকে এসেছি নেমে
সাঁঝে সেথাই এ পথ যায় থেমে;
তাকিয়ে দ্যাখো ঐ অন্ধকার
করে আলিঙ্গন সেই আবার।
হৃদয়ের গহীনে যে স্বপ্ন বাঁধে বাসা
ভেঙ্গে যায়, তবু ফুরায় কি নেশা ?
যত বার হয় তা চৌচির
ঘুরে ফিরে হৃদয়েই ভিড়।
আঁধারেই তারার মেলা নীলাম্বরে
খ্যাতিমান সবার জন্ম জীর্ণ ঘরে;
রাত হলেই হয় যেন
ওই দেখো ওই আকাশের মেঘ
ছোটাছুটি কত, এদিক ওদিক,
তবে একদিন হারায় আবেগ
ঝরে পড়ে শুনি রিমঝিম চিক।
দেখো সে পাথর ভাবি অক্ষয়
মনে হয়, কত না কঠিন কিছু,
তবু দেখি তাকে, হয়ে যায় লয়
জীবন তারও, একেবারে মিছু।
মানুষের সে কী ! সুগঠিত দেহ
ধরা বুকে সেরা তাঁর হাতে আঁকা,
সহে শুধু জ্বালা
রাতের বেলা করছে খেলা
আকাশ তলে তারা,
দিনটা হলে যায় যে চলে
না মেলে আর সাড়া।
জোনাক দলে সন্ধ্যা হলে
আলো জ্বেলে জ্বেলে,
কেনো তারা পাগলপারা
ঘোরে ডানা মেলে ?
সুরুজ মামা তার নেই থামা
সাতসকালে জাগে,
তাও প্রতিদিন কী
তোমার কারবার
যে হৃদয় ভূমিতে, রোপিত নির্মমতা
তারই ফল প্রাণীর মৃত্যু
মাটির মানুষ নিমেষে জন্তু
ইশারা তো তোমার, মহা অধিষ্ঠিতা !
যে মনে জন্ম নেয়, বিমুগ্ধ কোমলতা
তার জনমদাতা সেই তুমি
দ্যাখি বালুচরেও উর্বর ভূমি
কত যে বিভাজন, শত্রুতা এই সখ্যতা।
পাপ আর পাপীকে কে না করে ঘৃণা
করো প্রলুব্ধ, জন্মাও পাপ
শয়তানকে কে দিলে
গান কবিতা যা লিখেছি
কাগজে তা রয়,
যদি মনে দাগ না কাটে
হয়েই যাবে ক্ষয়।
আমি যবে থাকবো নাগো
কেহ পড়বে তাই
নয়ত কেহ বাজে ভেবে
পুড়ে করবে ছাই।
যে নয় তবে নামী লেখক
সবার তুচ্ছ আজ,
যেমন আমি কি লিখেছি
পাই যে ভেবে লাজ।
শব্দের ভাণ্ডার অতি অল্প
কই কবিতা হয় ?
পারি
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৮ বার দেখা
| ৫৮ শব্দ ১টি ছবি
ভেবেছিলাম বড়ো হবো অনেক
দূরের ঐ আকাশটা পারব ছুঁতে
জীবনের হাল ধরবো শক্ত হাতে
পারলাম কই, কামড়ায় বিবেক।
হলো অর্জন বহু সনদ বহু চিঠি
কাজ হয় নি কেউ দেয় নি দাম
নেপথ্যে তোমরা, ফেললে ঘাম
স্বপ্ন দাঁড়াবো পাশে সেও মাটি।
হারাতে বসেছি, বিশ্বাস আশ্বাস
কোন মুখে দাঁড়াই লজ্জা লাগে
পেলামই শুধু ঢেলে দিলে ত্যাগে
বেঁচে
আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলা
রক্ত দানের ফলে,
আজ এলো ঐ ছাব্বিশে মার্চ
সবাই খুশির ঢলে।
ফুল সৌরভে রূপ গৌরবে
কী সুন্দর যে তুমি,
ইচ্ছে মোদের সতত তাই
হে মা ! তোমায় চুমি।
শস্য শ্যামল সবুজ মাখা
দেখলে তোমার হাসি,
নয়
কত উঁচুতে ঐ আপেল বৃক্ষটি
যেন আমার বড়ই প্রিয় বন্ধুটি
ঝুঁকে আছে আমার দিকে;
নিয়ে এসেছে কত ছেকা রুটি
ঐশ্বরিক চুল্লিতে যা পরিপাটী
খাওয়াতে আমাকে।
কাছাকাছি সে, মুখ মুখের সনে
পল্লব আঙ্গুলে যেন কাছে টানে
চুমু দেবে বাহানায়;
খাইয়ে দেয় তার তৈরি প্রাণজল
তারাই পারে মমতায় যে পাগল
ডুবি প্রেম ভাবনায়।
আমি যে
মোবাইলে আজ কেড়ে নিলো
নিদ্রা সুখের স্বাদ,
নবীন যারা বুঝে না গো
টাকা লুটবার ফাঁদ।
এই প্রজন্মের পড়াশোনা
আজ যে সবই শেষ,
মোবাইল যে সাথে হলে
ভাবে আছে বেশ।
বাসে ট্রেনে যাতায়াতে
দেখি চক্ষু স্থির,
চারিপাশে তাকায় না আর
যতো হোক সে ভিড়।
যুবক তারা কই আর হাঁটে
হাড়ের হচ্ছে ক্ষয়,
বাজে ছবি দেখে দেখে
চরিত্র তার লয়।
চোখের
অবশেষে কি নিষ্ঠুর প্রতিশোধ
নিয়েই নিলো প্রকৃতি;
ক্ষুদ্র একটি করোনা ভাইরাসে
বিশ্ব জুড়ে এত ভীতি।
আসলে মানুষ আজ অবিমৃশ্য
বন কেটে বানায় নগর;
তাই যে বিশ্ব এখন এত উষ্ণ
নদী ভরে গড়ে বাড়িঘর।
মাটি আমাদের দেয় কত কিছু
বুক চিঁড়েই তবু প্রাসাদ;
তবু পাই গ্যাস তেল বহু কিছু
তার বুকেই শস্য আবাদ।
রক্ষক না হয়ে মানুষেরা