কেন তোমাকে ভালোবাসি
এর উত্তর খুঁজে পাইনা
তুমি শ্যামলী – গৌর গড়ন হলেও
মুগ্ধ হবার কারণ খুঁজে পেতাম
অর্থ বিত্ত ছোটবেলা থেকেই আমাকে টানে নি
এই বিষয়ে অনাগ্রহের কারণ আমি খুঁজতেও যাই নি
তাহলে আগ্রহ আছে কিসে?
আগ্রহ? ভাবতেই হাসি পায়
কে এই পৃথিবী নামক পাগলা গারদ বানিয়েছে!
কোন
সমস্ত ব্যস্ততা শেষে গভীর রাত্রিতে স্মার্ট ফোন বাম হাতে
তার হাসি মাখা মুখ বার বার দেখি ফেসবুকে অন্তর্জালে
কিন্তু এখন একটা কবিতা লিখতে হবে এই মধ্য রাতে
সনেট লিখতে হবে ছন্দ ব্যাকরণ মেনে এ নিশুতি কালে
কাগজ কলম নেই; রাফ নেই; লিখে যাচ্ছি টাইমলাইনে
কাগজ আমার স্মার্ট ফোন; কলম
সংগমের অনুভুতির মতোই
এক অনন্য অনুভুতি নাকি মারিজুয়ানায়
সে অনুভুতি নাকি মদেও পাওয়া যায়
ধার্মিকরা তেমন অনুভুতি নাকি নামাজেই পায়
কেউ কেউ পবিত্র কোরানেও এক অনন্য অনুভুতি পায়।
কিন্তু তুমি আশ্চর্য হবে এই কথা শুনে যে,
শতভাগ মিথ্যে কথা বলা হয় পবিত্র কোরান ছুঁয়ে আদালতে
আর শতভাগ সত্য কথা বলা
অথবা জাইগোট এর জাত কি
শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হিন্দু নাকি মুসলিম
কিংবা যে শিশুটি নিষিদ্ধ পল্লীতে জন্ম নিয়ে
জানতে পারে না কে তার পিতা
কিবা তার পিতার ধর্ম
ক্ষুধা নিবারনের জন্য দেহ বিক্রি করাই ছিল
জন্মদাত্রী মাতার ধর্ম
এবং কেউ কখনো হাত ধরে নিয়ে যায়নি মসজিদে
কেউ শোনায়নি পুরোহিতের পুরাণ পাঠ
দেখায়নি
অন্ধকার গুহা আমি একা
চারপাশে কেউ নেই
পৃথিবীর ভিতরেই
হিমযুগ ফিরে আসে
রঙিন পৃথিবীর আগে
সাদাকালো পৃথিবী
ঘড়ি নেই সময় আছে
আমার দেহ আছে
দেখতে পাই না কিছুই
অন্ধকার চারিদিকে ঘোর অন্ধকার
আমি জীবিত
এই পৃথিবীতে
আমি একা
অন্ধকার
সময়
আমি জীবিত আমি মৃত নই
প্রাণী নেই পানি নেই তৃষ্ণা নেই
বুঝতে পারি বুঝাতে পারি না
জেনেছি তবুও
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৮ বার দেখা
| ১২৮ শব্দ ১টি ছবি
আমি ভাবতেই পারছি না কখন পঞ্চাশ বছর হলো,
এইতো সেদিন পটুয়াখালীতে
বাবা ডেপুটি জেইলর ছিলেন-
গ্রাম ফেলে আসা চাচা আমাদের বাসায় থেকেই
মাদ্রাসায় পড়তেন-
দাদা দাদি ফুপুও ছিলেন আমাদের বাসায়।
এইতো সেদিন রাজশাহী বগুড়া দিনাজপুর কুষ্টিয়ায়
সরকারী কোয়ার্টার্সে শৈশব কাটালাম-
আর খুলনা যশোর কুমিল্লায় যৌবনকাল-
তারপর ঢাকা বিয়ে চাকরি সংসার কিন্তু,
আমি বুঝতেই
এবং যখন আমি বলি
কবিতা বুঝার বিষয় নয়
উপলব্ধি করার বিষয় –
তখনি কেবল পড়ন্ত বিকেলের
নীল পাখির কণ্ঠের গানের সুরের ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসে এক সূর্যহীন বর্ষার দুপুর।
অথচ লেগস্পিন বলের মতো
আকস্মিক বাঁক নিয়ে
তুমি আঘাত হানলে
আমার হৃদয়ের মিডিল ষ্ট্যাম্পে-
শুরু হলো দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা-
তথাপি তুমি সমুদ্রস্নানে গেলে
সমুদ্রের নীল সৌন্দর্য হয়ে
তীব্র
তাকে ভালোবাসার কোনও কারণ আছে কি?
না, নেই
তবুও তার জন্য এমন লাগে কেন
কেন এমন হয়?
কোনও কারণ নেই তাকে কাছে পাবার
কোনও অনুষঙ্গ নেই তাকে
আমার জীবনে জড়াবার
কোনও উৎস নেই
তাকে ভালোবাসবার
তবুও তার জন্য এমন কেন লাগে?
মহাজগতের মহাবিশ্বের
মহাগ্রহের মহাদেশের
এই মহাশহরেই সে থাকে।
থাকে নাকি সে?
তবুও কেন আমার থেকে
সুদূর বহুদূর
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৮ বার দেখা
| ১০১ শব্দ
তুমি কবে কখন কি করে আমাকে ভালোবেসেছ
তা ঘুণাক্ষরেও টের পাওনি
শুধু তোমার বুকের বাম পাশে একটা জমাট ব্যথা
তুমি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাচ্ছো দু বেলা কিন্তু ব্যথা যাচ্ছে না
অথচ তুমি আমাকে ভালোবাস কিন্তু তুমি তা জানো না।
আমাদের দেখা হয় নি, আবার হয়েছে
আমাদের কথা হয় নি, আবার হয়েছে
যতটুকু
আজ আমার বয়স আশি
যে বি এম ডাব্লিউতে এখন যাচ্ছি; সেটা আমারি কেনা
যে বহুতল ভবনের পাশ দিয়ে এখন যাচ্ছি; সেটা আমারি ফ্যাক্টরি
আজ আমার বয়স আশি
আমি আমার পরিবারকে ভালোবাসি
আমার স্ত্রী মারা গেছে আজ দশ বছর
আমার দুই সন্তান আমাকে নিয়ে যাচ্ছে আজ নতুন
শীতের ভোর আকাশে উড়ে যায় সাদা বক ঘন কুয়াশায়
ভাটার টানে সাগরে জল যায় চলে যায় অজানার পানে
গাছে পেঁপে পেকে গেলে পাখিরা যেমন করে যায় জেনে যায়
শহর ছেড়ে এলে কবিতার পঙতি তেমনি আসে এখানে
অগ্রাণের মধ্যভাগে কিষাণ যখন ধান কেটে গোলা ভরে
এমন সময় সুর্য ডুবে গেলে
হে প্রিয় কবি,
এমন একটি কবিতা লিখো আবার
বাঙালি হিন্দু বাঙালি মুসলিম
বাঙালি বৌদ্ধ বাঙালি খৃস্টান
যেনো একে অপরের সাথে হয় বাংলার।
প্রিয় আবৃত্তি শিল্পী,
কন্ঠে আনো আবার এমন কিছু পঙক্তি কবিতার
যেনো ধর্ম বিজ্ঞান পরস্পর মিলে মিশে থাকে আবার।
হে গল্পকার,
হয়ে যাও তুমি এমন কিছু গল্পের রূপকার
যেনো জেগে ওঠে বাঙালীয়ানা