— কি সেলাই করেন!
শীতের রাত, প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে, জেলা সদরের নির্জন ফুটপাতে উদোম শরীরে বসা এক লোক, একপাশে মুচিদের ব্যবহার করার মত বাক্স, নিয়নের আলোয় স্যান্ডেল সদৃশ কিছু সেলাই করছিলেন। প্রশ্ন শুনে মাথা না তুলেই উত্তর দিলেন,
— নসীব।
এমন
আমরা রজব আলীকে এখনই গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে নামাবো এবং নামার সাথে সাথে সে প্রচণ্ড ধাক্কা খাবে। তাকে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে যে ময়মনসিংহের তুলনায় ঢাকা শহরে শীত কম। অথচ বাস থেকে নেমে সে জমে যেতে শুরু করবে। তার মনে প্রশ্ন
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬১ বার দেখা
| ১০৬০ শব্দ ১টি ছবি
”গল্প লেখা মোটেও কঠিন নয়, পুরস্কারের জন্য গল্প লেখা তো আরও সহজ। কলম আর এ ফোর সাইজের দুটো কাগজ নাও, ফরমুলা শিখিয়ে দিচ্ছি’ বলে নোমান থামে, প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরায়, লম্বা একটা টান দিয়ে মাছের খাবি খাওয়ার মত করে ধোঁয়া ছেড়ে হাওয়ায়
গল্প|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫২ বার দেখা
| ২২৬৭ শব্দ
Half of me is beautiful
but you were never sure which half
— Ruth Feldman, “Lilith”
১
— মাঝে মাঝে তোমাকে ঠিক বুঝতে পারিনা।
মইনুলের কণ্ঠ নির্বিকার,
— এমন হলে, মাঝে মাঝে, বুঝার চেষ্টা না করাই তো ভালো, তাই না!
সোমা কথা খুঁজে পায় না, খুঁজার চেষ্টা করে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৩ বার দেখা
| ১৭৭৯ শব্দ
একটা পাতাও বাকী নেই ঝরার মত, শীতের এখন অখণ্ড বিশ্রাম। মাঘ মাসের মাঝামাঝি, শীত যেনো এক পাখি, ডানা মেলার অপেক্ষারত, বিকেলের মনমরা রোদে ঠোঁট দিয়ে পালক পরিচ্ছন্নতায় মগ্ন, মাঝে মাঝে পাখা ঝাপটে শিরায় শিরায় সঞ্চালন করে উষ্ণতা, দীর্ঘ উড়ালের আগে কুয়াশার রাত্রিস্নানে ধুয়ে ফেলতে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮০ বার দেখা
| ১২৪০ শব্দ
৬
মেরিন ড্রাইভ, এক্সোটিক সাম্পান হোটেলের চার তলা, বারান্দায় তিন জন বসে আছি। সি ভিউ বারান্দা, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র দেখা যায়, খুব দূর থেকে ছোট ছোট ঢেউ একের সাথে এক যোগ হতে হতে ধেয়ে আসছে, সাদা ফেনা নিয়ে আছড়ে পড়ছে তটে,
তিন তলার গ্রিল দেওয়া বারান্দায় বসে আছি, রুবাই চা বানিয়ে এনেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস বললাম,
– রুবাই, তুই বোকা বা বেকুব- এ আলোচনা পরে হবে। আগে বল তো কি হয়েছে!
নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু পারলো না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে করতে বললো,
– তুমি
৪
মণ্ডল পাড়ার মোরে এসে অটো ছেড়ে দিতে হলো। তিন চার মিনিটের পথ হেঁটে যেতে হবে। বৃষ্টি বাড়ছে কমছে কিন্তু থামছে না। আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরাতেই বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমলো। হাঁটতে শুরু করলাম।
বৃষ্টিতে হাঁটতে হাঁটতে সিগারেট টানার অন্যরকম মজা আছে, স্বাস্থ্যের জন্য
পূর্ণ চাঁদের রাতে জোছনায় দশদিক ভেসে গেলে হাঁপানির টান তুচ্ছ করে দাদি বলতেন, ‘ফকফক্কা চান্নি রাইত, কি ফকফক্কা চান্নি! আমারে দাওয়ায় শোয়াইয়া দাও।’
মা উঠোনে মাদুর পেতে তার ওপর কয়েকপ্রস্থ সুতির চাদর বিছিয়ে আস্থায়ী জাজিম বানিয়ে দিতেন। বাবা দাদিকে কোলে তুলে এনে জাজিমে
১
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা শেষ হয়েছে একদিন আগে। অফুরন্ত অলস অবসর। সকালে দেরী করে ঘুম থেকে জাগবে, তাই একটা টাওয়েল ভাজ করে ল্যান্ডফোনের উপর দিয়ে রেখেছে নটরডেম, যাতে এনালগ সেটের কর্কশ আওয়াজে ঘুম না ভাঙে। ১৯৯২ সালে দেশে ডিজিটাল ফোন ছিলো না।
অণুগল্প|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৬ বার দেখা
| ২০১৭ শব্দ ১টি ছবি
– তুমি কি আমাকে ফিরিয়ে নিতে পারো না!
সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, অফিসে কাজের চাপ নেই। চৌদ্দ তলায় নিজের চেম্বারে বসে আছে মাহমুদ, জানালার পর্দা সরিয়ে বৃষ্টি দেখছে, কানে ধরা মোবাইল সেট। বীথির আকুতি তাকে গ্রাস করে, এক মুহুর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। স্তব্ধতা
গল্প|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৩ বার দেখা
| ৭৭০ শব্দ