আহা রে ধনী হওয়ার কষ্ট! শুক্রবার সকাল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। কাঁচাবাজারে প্রচুর ভিড় হয়। অভিজাত ধনীরাও এই দিনটাতে কেনকাটা করতে বাজারে যায়। প্রাণ খুলে দুই হাতে বাজার করে। তাদের বাজার করাটা সবাই দেখে। হিংসা করে। কিন্তু পছন্দের জিনিস কেনার জন্য ধনীদের সংগ্রামটা অনুভব করে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫ বার দেখা
| ৫২০ শব্দ
ক’দিন ধরেই মা’র জ্বর। সারাদিন জ্বরকে সামাল দেন, রাতে হেরে যান। শরীরের তাপ বাড়ে। বিছনায় নির্জীব হয়ে পড়ে থাকেন। চোখ সামান্য খোলা, চোখের মণি মাঝে মাঝে চঞ্চল হয়ে ওঠে। কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমোন। না, ঘুমোন না। মা ঘুম আর জাগরণের মাঝে পেণ্ডুলামের মত দোল খান।
এক ছিলো টোনা আর এক ছিলো টুনি। একদিন টোনা আহ্লাদ করে টুনিকে বলে,
— টুনি, ও টুনিইই
টুনি হাই তুলে,
— হ্যা, বলো।
— আমার খুব ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। খুব ইচ্ছে করছে।
টুনি রাগে চোখ পাকায়,
— তোমার কি খেতে
গল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫০ বার দেখা
| ১০৫২ শব্দ ১টি ছবি
প্রায় তিন যুগ আগের কথা, “নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা/নতুন করে আজ শপথ নিলাম” গান আর “আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে” শ্লোগানে ক্ষমতাসীন এরশাদ ও তার অনুসারীরা দশদিক মুখরিত করে রেখেছে। এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এশীয় কবিতা উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। একদল শক্তিমান কবি এরশাদকে ঘিরে রয়েছে।
‘ফুলকপি’ বড়দের গল্প। আয়তনেও বড়, নভেলা বলা যায়। গল্পটা টাইমলাইনে শেয়ার করার আগে কিছু বলা দরকার- এখন একটানা তিন চার লাইনের বেশী লিখতে পারি না, চোখে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। চোখের চাপ ছড়িয়ে যায় মাথায়। ছাইপাশ বা অখাদ্য যাই লিখি, হিরো আলমের গানের এসব লেখারও
শীতের রোদে বসে ভাবনা এলো-
বহু আগের শীতকালে, আমাদের কৈশোরে দেখেছি ভাত খাওয়ার শুরুতে দুই তিন লোকমা/গ্রাস ভাত সরিষা তেল, পিঁয়াজ কুচি/ঝাঁঝপূর্ণ লাল মুলোর টুকরো দিয়ে মেখে খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। বহু যুগের অভিজ্ঞতা হতে মুরুব্বীরা দাবী করতেন- এতে মুখের স্বাদ/খাওয়ার রুচি বাড়ে এবং সর্দি/কাশি লাগে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৫ বার দেখা
| ২৭০ শব্দ
‘গল্প লেখা মোটেও কঠিন নয়, পুরস্কারের জন্য গল্প লেখা আরও সহজ। কলম আর এ ফোর সাইজের দুটো কাগজ নাও, ফরমুলা শিখিয়ে দিচ্ছি’ বলে নোমান থামে, প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরায়, লম্বা একটা টান দিয়ে মাছের খাবি খাওয়ার মত করে ধোঁয়া ছেড়ে হাওয়ায় রিং
‘২টা মাঝারি সাইজের বুদ্ধিজীবি বিক্রয় করা হবে। ঘাড়ের হাড্ডি নরম, সহজেই সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। মেরুদণ্ড ফ্লেক্সিবল। হাতের রেখা মুছে গেছে। দীর্ঘদিন পাম ওয়েল বিক্রি এবং ম্যাসেজ পার্লারে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’ বুদ্ধিজীবী দু’জন বিমর্ষ দৃষ্টিতে বিজ্ঞাপনটির দিকে তাকিয়ে আছেন। দেশের জনপ্রিয় দৈনিক
এই শহরে কেউ কথা বলেনা, তবু সব কথা ছড়িয়ে যায় কানে কানে।
মন্ত্রী পরিষদ জিরাফের দামে খরগোশ কেনার সিদ্ধান্ত নিতেই রাজ্য জুড়ে হুহু হাওয়া বয়ে যায় –‘চুপ চুপ চুপ বিনে পয়সায় তো আর কিনেনি চুপ চুপ চুপ খরগোশ বড় হলেই জিরাফ হয়।’ হাওয়া জানে এই
প্রাপ্তবয়স্কদের রূপকথা, ছোটরা এড়িয়ে যাও-
তারপর হলো কি শিয়াল এসে দেখে বাঘ বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করছে। বাঘের চোখ বন্ধ, কপালের চামড়া ব্যাথায় কুঁচকে আছে। শিয়াল জিজ্ঞেস করলো,
– বাঘ মামা, কি হয়েছে! পেটে গ্যাসের ট্রাবল না এপেনডিসাইটিসের পেইন?
বাঘ এপাশ-ওপাশ করতে করতেই চোখ খুলে তাকালো, তারপর চোখ
গল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৭ বার দেখা
| ১২৫৭ শব্দ
“বুঝলে, দিনে দুটো খেতাম, আজ থেকে একেবারেই ছেড়ে দিলাম” বলে বাবা ম্যাচটা মা’র হাতে ফিরিয়ে দিলেন। মা বহুবার বাবাকে সিগারেট ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন, বাবা ছাড়েন নাই। তবে বাবা শোভনের সামনে সিগারেট খায় না। বাবার শার্টে গন্ধ
অণুগল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩১ বার দেখা
| ১২৯৬ শব্দ ১টি ছবি
এক ছিলো টোনা আর এক ছিলো টুনি। একদিন টোনা টুনিকে বললো,
– টুনি, ও টুনিইই
টুনি হাই তুললো,
– হ্যা, বলো।
– আমার খুব ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। খুব ইচ্ছে করছে।
টুনি চোখ পাকিয়ে বললো,
– তোমার কি খেতে ইচ্ছে করছে!
– পিঠা,
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬২ বার দেখা
| ৯০৫ শব্দ ১টি ছবি
স্পর্শিয়া আজ স্কুলে যাবে না। কাল ডিনার করতে করতে বাবা বললেন,
– আগামী দু’দিন স্কুলে যাবার দরকার নেই। আমি তাবাসসুম মিসকে জানিয়ে দেবো।
যোগি সোসাইটির শিশুরা স্কুলে ফাঁকি দেয় না, স্কুল ফাঁকিও দেয় না। ঝড় হোক, ঝঞ্ঝা হোক, হরতাল হোক, বৃষ্টি বা প্লাবন হোক
বাবার যা ভুলো মন- তাই বলে এমনটা হবে ভাবেনি মিতুল। নতুন ক্লাসের নতুন নোট বই প্রয়োজন, বাবা বলেছেন আনবেন, ও অপেক্ষায় ছিল। বাবা নোট বইয়ের বদলে একমুঠো উইপোকা কিনে আনলেন, যত্ম করে স্কুলের ব্যাগে ভরে দিলেন।
মিতুল
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৫ বার দেখা
| ৬২৯ শব্দ ১টি ছবি