কিভাবে ইকমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?

ttyyu

আপনি কি চাচ্ছেন নিলাম এর মতো একটি ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন কিভাবে কি করবেন? আপনি তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের বাংলাদেশে ২০২২ সালে কিভাবে ই কমার্স ব্যবসা শুরু করা যায় সে ব্যাপারে কিছু বলবো। আশা করছি আর্টিকেল পড়া শেষে আপনার দ্বিধা কেটে যাবে আর কিছু ভালো আইডিয়া নিয়ে আপনি আজকেই ই কমার্স ব্যবসায় নেমে যেতে পারবেন। তাহলে ঝটপট আর্টিকেলটি পড়ে নিন।

ই কমার্স কাকে বলে?
সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে ই কমার্স কি। তা না হলে আপনি ঠিক পথে এগোতে পারবেন না। ই কমার্স বলতে বুঝায় ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ব্যবসা যা মূলত ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি ব্যবসা খাত। ই কমার্সে গ্রাহকগণ স্বশরীরে প্রডাক্ট দেখতে পারেন না। শুধু ছবি বা ভিডিও দেখে কিনতে হয়। টাকা লেনদেন ও হয় অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ই কমার্স কি জানার পরে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে শুরু করবেন।

আর্থিক এবং মানসিক প্রস্তুতি
ই কমার্স ব্যবসা শুরুর আগে আপনাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। মানসিক প্রস্তুতি বলতে ই কমার্স ব্যবসায় যে ধরণের ঝামেলা পোহাতে হবে সেগুলোর ব্যপারে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো আর্থিক প্রস্তুতি। আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী যথেষ্ট টাকা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রডাক্ট রিসার্চ
অসংখ্য ই কমার্স ব্যার্থ হচ্ছে শুধুমাত্র তারা ব্যবসায় নামার আগে প্রডাক্ট রিসার্চ করেনা বলে। তারা ভেবে বসে যে কোন প্রডাক্টই অনলাইনে বিক্রয় করা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কি প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেটার উপর আপনার সাফল্যের বৃহদাংশই নির্ভর করছে। যদি নির্দিষ্ট কোন এলাকার কাস্টমার টার্গেট করেন, তাহলে সে এলাকায় কোন প্রডাক্ট চলবে সেটা আগে থেকেই রিসার্চ করে নিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ডোমেইন হোস্টিং নির্বাচন
প্রডাক্ট ও মার্কেট রিসার্চ হয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ডোমেইন নাম নির্ধারণ করুন। আপনার প্রডাক্ট সমূহ একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে রাখার জন্য আপনার নিজের ই কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন। এতে করে প্রডাক্ট নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অপটিমাইজ করতে পারবেন। মার্কেটিং এর সময় এসইও করা ও সহজ হবে।

মার্কেটিং
প্রডাক্ট বিক্রির জন্য দশটি নিয়ম, এর প্রথমটি হলো ভালো পন্য, আর বাকি নয়টি হলো মার্কেটিং। প্রডাক্ট রিসার্চ, মার্কেট রিসার্চ, ওয়েবসাইট সব হয়ে গেলে এবার মার্কেটিং এর পালা। সকল স্যোশাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সব খানে প্রোফাইল করতে হবে। সব খানে আপনার প্রডাক্টকে বুস্ট করুন। এটা গেলো অনলাইন মার্কেটিং। অফলাইনে ও প্রচুর মার্কেটিং করতে হবে।

পেমেন্ট এবং ডেলিভারি সিস্টেম
ই কমার্সের পেমেন্ট গেটওয়ে হতে হয় গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক। যত সহজে একজন গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে সে ততবেশি ঐ প্লাটফর্ম থেকে পন্য কিনতে আগ্রহী হবে। একই কথা প্রযোজ্য ডেলিভারি সিস্টেম এর ক্ষেত্রে ও। ডেলিভারি সিস্টেম করতে হবে দ্রুত ও অল্প খরচে।

আফটার সেলস সার্ভিস বা কাস্টমার সাপোর্ট
যদি আপনি আপনার বিক্রিত পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয় পরবর্তী কিছু সার্ভিস দেন, তাহলে আপনার পন্য বিক্রয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুণ। যেমন, পন্য ফেরত দেয়া সহজ করতে হবে, রিফান্ড পলিসি গ্রাহকদের জন্য সহজ ও সুবিধাজনক করতে হবে, ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি সিস্টেম রাখতে হবে।

সর্বশেষ
পরিশেষে বলবো, ই কমার্স ব্যবসায় অন্যদের সাফল্য দেখে হুটহাট শুরু করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন না। প্রথমেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি আর্থিক ও মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত। যদি সব দিক ঠিক থাকে, তাহলে উপরে উল্লেখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করে আপনার ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
কিভাবে ইকমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?, 5.0 out of 5 based on 1 rating
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ১ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ২২-১১-২০২২ | ১১:৫৭ |

    শব্দনীড়ে স্বাগতম মি. লর্ড লিজেন্ড। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...