তীরে যে নৌকো বাঁধা ছিল
আলগা হয়েছে নোঙর
উপড়ে গিয়ে ভেসে যাবে এবার মাঝনদীতে – হয়েছে সময়।
মাঝি থাকে না কখনও শেষ পারানীর। দাঁড় ও হালবিহীন নৌকো চলে যাবে মোহনার দিকে।
তুমি তীরে দাঁড়িয়ে শেষবার দেখে নিও,
সে নৌকো তোমার কখনও হয়তো প্রিয় ছিল!
মনে আছে, সে-বছর তোর ভীষণ অসুখ?
দিবারাত্র কষ্ট, খিদে নেই ঘুম নষ্ট –
এক অসহ্য সুখে তোর পুড়ে যেত বুক।
শোনিত মধ্যে ফুলে ভরা আস্ত একটা মার্চ গাছ
মাথা দোলাত হঠাৎ হঠাৎই হাওয়ায়
হাওয়ারও বিরাম ছিল না দু’বাড়ি আসা-যাওয়ায়
তোর মাথার ভেতর, নিঃশ্বাসে তখন একটাই নাম
বললাম, ভালো নয়,
দুটো বিরাট ষাঁড় পাশাপাশি গায়ে গা লাগিয়ে সটান দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি নৈর্ঋতে। ছবিয়ালা যেন এই ভঙ্গিতে রেখে গালে তুলি ঠেকিয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে দেখছে। একটু ওপাশে উঁকি দিলেই পাতার ঝালর পরা একটা লোক ল্যাদনা হাতে গোবেচারা মুখ। কপালে হাত রেখে দূর ঠাওর করে। ওই যে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫ বার দেখা
| ১৪৭ শব্দ
যখন নিষেকের আকাঙ্ক্ষায় ধানফুল মেলে দেবে তার গোপন ওষ্ঠপুট। এক আশ্চর্য পৃথিবী খুলে গিয়ে সেই দৃশ্য ডানায় আড়াল করে অন্ধ করে দেবে মানুষের বাচালতা। তখনই ফুলখেলার গন্ধ মাখা বাতাসের প্রবাহ ধরে তুমি আসবে বলেছিলে এই ধুলোর গ্রামদেশে। যেখানে প্রতিটি পথের বাঁকে সরল ঘাসফুলে গোপন
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১ বার দেখা
| ১৩৩ শব্দ
নিজেকে আবিষ্কার করি এক মহাশ্মশানে
তুমুল বজ্রপাত আমায় গেঁথে ফেলেছে মাটির সঙ্গে
পোড়া গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি
দেখছি করোটির স্তুপ
কবন্ধে রক্তের ফোয়ারা
কোটি কোটি মুদ্রার পত্তনিদার জ্বালিয়েছে চিতা
সদম্ভ পদচারণা করে
যত দুঃশাসনের চেলা –
তত পুতনা –
আর বারোভাতারি স্বৈরাচারীর তর্জনী করে খেলা
আজও পৃথিবীতে গোধূলি এসে নামে,
পল্লবের ফাঁকে শিস দিয়ে পাখিরা দেশে গ্রামে
দুলিয়ে যায় বাতাসের শরীর,
সুখের মতো কচি ঘাসে শিশির ঝরে পড়ে শবরীর
মতো, তাতে ফুটে থাকে সূর্যের অফুরন্ত দেয়ালা।
কার্তিকেয় বাতাস এখন প্রথম প্রেমের মতো মেদুর, আর
সবুজ প্রান্তরের উপর গড়িয়ে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৮ বার দেখা
| ১২৮ শব্দ ১টি ছবি
সকাল দরজা খোলার পর থেকে তারাদের রান্নাবাটি শুরু হওয়া পর্যন্ত। সদর দরজায় মাটির রোয়াকে বসে থাকে তো বসেই থাকে। আনা। সারাদিনে ওর সঙ্গে একবার দেখা হবেই। সবার সঙ্গে তার কথা, অবিরত মুখ দিয়ে লালের সঙ্গে ঝরে। ওর কথা না বুঝলেও
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০০ বার দেখা
| ২০৪ শব্দ ১টি ছবি
শুধু রান্নাবাটি। আর ছুটন্ত ঘোড়া ,কিংবা ফুল- প্রজাপতি ঘরের এখানে ওখানে যেখানে যেমন মানায় ঘড়ির সঙ্গে টিক্ টিক্ করতে করতে। কঠিনপাচ্যের ইংরাজী ফেল। তার বদলে আসান বোনা, রিফু করা, কাঁথা সেলাই। কুরুশ কাঁটায় পুজোর থালার খুঞ্চিপোষও। … কাঁটায় কাঁটায় ঘনিয়ে
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৩ বার দেখা
| ২৫১ শব্দ ১টি ছবি
কী-ই বা যায় আসে যখন কেউ ঝকঝকে কলারের নীচে বেখাপ্পা ময়লাটে গেঞ্জি পরে
আগডোম বাগডোম ঢোলের সঙ্গে সঙ্গতে নেমে পড়ে?
আসলে বিভাজন শব্দটা একটা সর্বৈব সত্য, কলার আর ময়লা গেঞ্জির মতোই।
বাংলা কবিতা যেমন ইংরেজির মাস্টারমশাইদের হাতে শায়েস্তা হলো, থুড়ি ফুল ফোটাল!
তারপর বিষয়টা খুব
জানলা খুলে ফেলেছি। সামনে লাফিয়ে উঠল তুষারের দেশ।
আর তুষার ঢাকা গাছে একটি হলদে বৌ অনেক বৈভব নিয়ে এসে বসল বেশ!
বৃষ্টি হলেই তো সে আসে বলে জানি।
তবে কি আশা আছে বউঠাকুরাণী?
পাত পেড়ে আবার বসব ঢলে পড়া দুপুরে পংক্তিভোজনে!
কান্নার ঝরনাগুলো আবার লাফিয়ে উঠবে আর